গর্ভাবস্থায় কলা খেলে কি হয় ? গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা পছন্দ করে না এই রকম লোকের সংখা খুবই কম।ছোট বড় সবাই আমরা কলা পছন্দ করে থাকি।অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে,গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া যায় কিনা বা কলা খেলে কি হয়? কখন কলা খাওয়া উচিৎ ইত্যাদি।কলাতে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম,মিনারেল,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি, ইত্যাদি থাকে ।
এই ভিটামিন গুলো মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। তাই এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে । আশা করি আপনারা আমার সাথেই থাকবেন ।
ভূমিকা
কলকে সরল ফল বলা হয়। কারন ফুলের একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে যে ফলের উৎপত্তি হয় তাকে সাধারণত সরল ফল বলে।সহজ কথায়, একটি ফুল থেকে একটি মাত্র উৎপন্ন ফল হলে তাকে সরল ফল বলে। আজ আমি আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া যায় কিনা, গর্ভাবস্থায় কলা খেলে কি হয়। কলা কখন খাওয়া উচিৎ। রাতে কলা খেলে কি হয়। খালি পেটে কলা খেলে গ্যাস হয়কিনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।
কলার বৈজ্ঞানিক নাম কি?
কলার দুই ধরনের বৈজ্ঞানিক নাম পাওয়া যায়। এক দিকে কাচ কলার বিজ্ঞানসম্মত নাম (Musa Paradisiaca)। কলা বৈজ্ঞানিকরা কলা গাছগুলোকে মূলত লিনিয়াস দারা দুটি প্রজাতিতে ভাগ করে ছিল। যেগুলোকে মুসা প্যারাডিসিয়াকা নামে অভিহিত করে ছিলেন সেগুি কাঁচা কলা বা যে কলা রান্না করা হয়। এবং (Musa Sapientum)কলা বা মিষ্টি কলা।যেটা সরাসরি ব্যবহার করা হয়।
কলার বৈশিষ্ট্য
কলা ফলটির আকার আকৃতি রং পরিবর্তনশীল, তবে কলা সাধারণত লম্বাটে ও বাঁকা হয়,স্টারস সমৃদ্ধ নরম মাংস একটি ছিদ্র দিয়ে আবৃত থাকে, যা পাকলে সবুজ, হলুদ,বেগুনি,বা বাদামি রঙ্গের হয়ে থাকে। ফলগুলো গাছের শীর্ষে গুচ্ছ আকারে উপরের দিকে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
কলা কোন অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায় বা ভালো জন্মে।
কলা একটি সরল ফল যা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। সাধারণত উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলের দেশ সমূহে কলা ভালো জন্মে। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কলার উৎপত্তিস্থল হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অনেক দেশে কলা একটি জনপ্রিয় ও প্রধান ফল।
বাংলাদেশের কোথায় কোথয় কলা বেশি পাওয়া যায়
বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই কলার চাষ হয়। তবে বিশেষ করে নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, যশোর বরিশাল বগুড়া রংপুর জয়পুরহাট কুষ্টিয়া ঝিনাইদা ঝিনাইদাহ,চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর এই জেলাগুলোতে কলা বেশি জন্ম বা পাওয়া যায়। এই জেলাগুলোতে শত শত বছর ধরে ব্যাপকভাবে কলার চাষ হয়ে আসছে। কলা সাধারণত উচু জমিতে ভালো জন্মায়।
তাই বাংলাদেশের উচুজেলাগুলোতে প্রায় বারোমাসি কলা জন্মে বা কলা পাওয়া যায়। বিশেষ করে পার্বত্য এলাকায় বন কলা ,বাংলা কলা, মামা কলা , সহ বিভিন্ন ধরনের বুনো জাতের কলা চাষ হয়। প্রাগ আধুনিক যুগে ভারতীয় অর্থনীতিতেও একটি অন্যতম অর্থকারী ফসল হিসেবে কলা চাষ করা হয়। এছাড়া ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলোতে বিশেষ করে কলম্বিয়ার প্রধান অর্থকারী ফসল হলো কলা। একটি খনার বচন আছে "কলা রুয়েনা কেটোপাত,তাতেই কাপড় তাতেই "।
কলা গাছের বর্ননা
উদ্ভিদ বিজ্ঞানী মালানের মতে ভারতবর্ষ ও চীন কলার জন্মভূমি। অন্য একজন উদ্ভিদবিজ্ঞানী হিল পাক ভারত ও মালয়কে কলার উৎপত্তিস্থল হিসেবে বিবেচিত করেছেন। কলা গাছ একটি বিরুৎ শ্রেণীর উদ্ভিদ। এটি একটি একবীজপত্রী উদ্ভিদ। অধিকাংশ কলাগাছই বহুবর্ষজীবী। এটি মাটির নিচে রাইজোম বা কান্ড এবং মাটির উপরে একটি ছদ্মকান্ড বা সিউডোস্টেম নিয়ে এ গাছ গঠিত। কলা গাছের কাণ্ড পাতা উভয় সবুজ।
কলা গাছের প্রজাতি ও জাত
কলা (Musaceae)পরিবারের একটি উদ্ভিদ। কলা গাছে দুটি গণ আছে যথা :Ensete ও Mus। এই পরিবারের প্রায় ৫০টি প্রজাতি আছে। Ensete গণের মাত্র ৬ থেকে ৭ টি প্রজাতি আছে। Musa গণের প্রায় ৪০টি প্রজাতি রয়েছে। এর বেশিরভাগ প্রজাতির উৎপত্তিস্থল ধরা হয় দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ায়। প্রায় সব আবাদ কৃত কলাই এই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশে প্রায় এর ১৯ টি জাত রয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য এলাকায় বন কলা ,বাংলা কলা, মামা কলা ইত্যাদি নামেও কিছু বুনো জাত দেখা যায়। তবে পর্যায়ক্রমে কলার জাতের সংখ্যা বাড়তেছে। গাছের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন জাতের কলা গাছ গুলোকে দুইভাবে ভাগ করা হয়েছে। যথা : লম্বা জাতের গাছ ও খাটো জাতের গাছ।
পাকা অবস্থায় খাওয়ার জন্য কলার জাত গুলোকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১।সম্পূর্ণ বীজ মুক্ত কলা
যেমনঃ সবরি, অমৃতসাগর,অগ্নিশ্বর, দুধ সর, দুধ সাগর ইত্যাদি।
২।দু একটি বীজ যুক্ত কলা
যেমন :চম্পা, চিনি চম্পা, কবরী, চন্দন কবরী, জাবকাঁঠালি প্রভৃতি।
৩।বীজ যুক্ত কলা
এটে কলা যেমন -বতুর আইটা, গোমা,সাংগী আইটা ইত্যাদি।
৪।আনাজি লাসমূহক
যেমন:-ভেড়ার ভোগ,চোয়াল পউশ,বর ভাগনে, বেহুলা, মন্দিরা,বিয়েরবাতি ইত্যাদি।
গর্ভবস্থায় কলা খেলে কি হয়?
যখন নিজের আত্মীয়-স্বজন বা নিকট আত্মীয় গর্ভবতী হয় তখন তাকে নিয়ে সবাই উদ্দিগ্ন থাকে। তার চিকিৎসা স্বার্থ খাবার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে চিন্তিত থাকেন। গর্ভবতীর জন্য কোন কোন খাবার নিরাপদ কোন কোন খাবার পুষ্টি সমৃদ্ধ। কোন ফল খাওয়া যাবে কি যাবে না বা কখন খাওয়া উচিত নিরাপদ কিনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েন।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া যাবে কিনা বা কখন খাওয়া উচিত কি পরিমানে খাওয়া যাবে অনেকের মনেই এ প্রশ্ন জাগে। প্রিয় পাঠক আজ আমি এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার নিরাপদ,তবে এই ফলটি খাওয়ার পূর্বে কয়েকটি বিষয় তবে এই ফলটি খাওয়ার পূর্বে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
কলাতে যে ভিটামিন গুলো থাকে তার মধ্যে পটাশিয়াম ভিটামিন সি ও ভিটামিন বিসহ বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। কলাতে প্রচুর পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার থাকে।তুলনামূলকভাবে গর্ভবতী মেয়েদের বেশি বেশি কলা খাওয়া উচিত কারণ গর্ভবতী মেয়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। আর কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়। তবে খুব বেশি কলা খাওয়া উচিত নয় এতে কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্যান্য হজমের সমস্যা হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া উপকার গুলো কি কি
গর্ভবতী কলা খেলে মা ও শিশু উভয়ের জন্যই খুবই উপকারী
- কলা একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ফল কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম ভিটামিন সি ভিটামিন বি ও মিনারেল। যা ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে।
- গর্ভাবস্থায় অনেক সময় বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। কলা খেলে বমি বমি ভাব কমে যায়। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে অনেক গর্ভবতী মহিলারা সকালে একটি কলা খেলে মর্নিং সিকনেস কমে যাই।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- কলাতে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তাদের প্রতিদিন দুই থেকে তিনটা কলা খাওয়া উচিত।
- বুক জ্বালায় সাহায্য করে :কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি আন্টি আলসারেন্ট হিসেবেও কাজ করে। যাদের বুক জ্বালাপোড়া করে তারা কলা খেলে বুকে জ্বালাপোড়া কমে যায়। এটি(Gerd) কমাতেও সাহায্য করে।
- ওজন বৃদ্ধিতে কলাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকায়, কলা খেলে ওজন বেড়ে যায়।গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয়। এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে। তাই কলা খেলেসাহায্য ক
যে কারণে আপনি গর্ভাবস্থায় কলা খাবেন না?
এতক্ষণ আমরা কলার গুনাগুন বা কলা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করলাম। আসলে প্রতিটা জিনিসেরই ভালো-মন্দ দুইটা দিক থাকে। কলার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নই। এটারও কিছু মন্দ বা খারাপ দিক রয়েছে। নিম্ন কয়েকটি দিক তুলে ধরা হল।
এলার্জির সমস্যা
শরীরে সব রকম খাবার শুট করে না। কলা খেলে অনেকের এলার্জি দে খা যায়।যদি আপনার এই সমস্যা দেখা যায় তাহলে গর্ভ অবস্থায় কলা না সবাই ভালো।
হজমের সমস্যা
যাদের আগে থেকেই হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের গর্ভাবস্থায় কলা না খাওয়াই ভালো। এতে কষ্ট কাঠিন্য ও ফুলে ওঠার মত সমস্যা হতে পারে।
ওজন বাড়ায়
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি অশোকার থাকে, তাই কলা খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যারা ওজন বানাতে চান না তারা কলা খাওয়া এড়িয়ে চলুন। বা কলা খেলে সীমিত পরিমানে খান।
কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
আমরা কম বেশি সবাই কলা খেতে পছন্দ করি, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই কাঁচা কলার থেকে পাকা কলা খেতে বেশি পছন্দ করি। খুব কম সংখ্যক মানষ আছে যারা কাঁচা কলা খেতে পছন্দ করে। কিন্তু কাঁচা কলার উপকারিতা যে কত বেশি তা হয়তোবা অনেকেই জানে না।প্রতিটা জিনিসেরই ভাল ও মূল্য দুইটা দিক রয়েছে। যেটা কলার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়।
কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা কি কি
নিম্নে কাঁচা কলা খাওয়ার কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হল
উপকারিতা
কাঁচা কলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন ই ও বিভিন্ন পুষ্টি গুণাবলী যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কলা বদহজম সমস্যা ক্যান্সার ডায়াবেটিক্স হৃদরোগ ইত্যাদি থেকে মুক্তি দে। এছাড়াও কাচা কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও চুল ও ত্বককে ভাল রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
অনেকেই আছেন শরীরের ওজন নিয়ে চিন্তিত বা গর্ভবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে কি করবেন বা কি খাবেন এটা নিয়ে চিন্তীত হয়ে পড়েন। চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১-২ টি করে সবুজ কলা বা কাঁচা রাখুন। কাঁচা কলাতে রয়েছে অনেক ক্যালরি যা আপনার দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা নিবারণ করে। তাহলে আপনি ভারী খাবার না খেয়ে দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারবেন এতে আপনার শরীরের ওজন কমে যাবে।
বদহজম দূর করে
কলা একটি ফাইবার যুক্ত খাবার। আর ফাইবার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে। তাই তাদের পেট ফাঁপা, আমাশয়, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি হজমের সমস্যা রয়েছে বা পেটে সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন কাঁচকলা বা কাঁচা কলা খেলে এ সমস্যা সহজেই দূর হয়।
হাড়,চুল এবং ত্বকের উপকার করে
কাঁচা কলাতে আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন B6 যা , হাড়কে মজবুত করে চুল পড়া বন্ধ করে, এবং ত্বকে উজ্জল মসরিন রাখে।
হৃদরোগের ঝুকি কমাই
কাচা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। যা ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
কিডনি রোগের ঝুঁকি কমে
নিয়মিত কাচা কলা খেলে কিডনির ক্যান্সার সহ কিডনির নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবং এটি কিডনির কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
সবুজ কলা বা কাচা কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন B6 রয়েছে যেটা টাইপ টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কাঁচা কলাতে ফাইবার বা আশ থাকাই রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা
রাতে কলা খাওয়া ভাল না , স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই প্রশ্ন অনেকের মনে জাগে। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক রাতে কলা খাওয়া ভালো না খারাপ বা রাতে কলা খেলে কি উপকার হয়। একটি খুব সাধারণ সমস্যা হচ্ছে রাতে ঘুমের সময় পেশিতে টান । আমরা জানি কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা পেশিতে টান কমাতে সাহায্য করে। এবং পেশির আরাম অনুভবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে কলা খেলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
সকালে কলা খাওয়ার উকাপরিতা
রাতে ৬-৭ ঘন্টা ঘুমানোর পর সকালবেলা পেট খালি হয়ে থাকে। আমাদের পেটে যে প্রাকৃতিকভাবে হাইড্রোক্লোরাইড এসিড উৎপন্ন হয় তা জমতে থাকে। যা পেটে আলসার বা ঘা এর সৃষ্টি হয়। এবং ক্যালোরির ঘাট্তি দেখা দেয়। তাই সকাল বেলা খালি পেটে না থেকে সর্বপ্রথম পানি খাওয়া ভালো। যদিও অনেকেই খালি পেটে পানি খেতে পারেন না।
পানি খাওয়ার পরে কলা খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পূরণ করে। এবং শরীরে শক্তি যোগায়। কারণ কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম , ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন খনিজ ইত্যাদি। তাই সকাল বেলা কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
কলা খাওয়ার সঠিক সময়
ছোট-বড় সকলেই আমরা সবাই কলা খেতে পছন্দ করি। কারণ কলা একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার এবং খেতে অনেক মজা। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কলা কখন খেতে হয় বা কলা খাওয়া সঠিক সময় কখন। অনেকেই সকাল বেলা খালি পেটে কলা খেতে পছন্দ করে। তবে এ অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো। কারণ কলায় প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক গ্লুকোজ থাকে।
যার শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে টাইপ টু ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই সকালবেলা খালি পেটে এক গ্লাস পানি খাওয়ার পরে কলা খাওয়া যেতে পারে। কলাতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পটাশিয়াম ভিটামিন বি সিক্স ভিটামিন এ এবং ফাইবার রয়েছে। একটি মাঝারি আকারে কলাতে প্রায় ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে। কলাতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সুগার থাকে, তাই সকাল বেলা খালি পেটে খোলা না খাওয়াই ভালো।
খালি পেটে কলা খেলে কি গ্যাস হয়
কলা খুবই জনপ্রিয় একটি ফল। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কলা পছন্দ করে। দিনের প্রায় সব বেলাতেই মানুষ কলা খেয়ে থাকে।বিশেষ করে সকালের নাস্তায় কলা একটি খুবই জনপ্রিয় ফল। অনেকেই মনে করেন সকালে কলা খেলে পেটে গ্যাস হয়। তাই সকালে কলা খাওয়া থেকে অনেকে বিরত থাকেন। কিন্তু কলা পেটে গ্যাস দূর করতে দারুন কার্যকরী ফল । কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যেটা প্রাকৃতিক এন্টাসিড বা এন্টি আলসারেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই কলা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়।
শেষ কথা
কলা একটি অনেক জনপ্রিয় ফল।তাই কলা খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি।আমি এই পোষ্টের ম্যাধমে কলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। তবে কোন মানষই ভূলের ঊর্ধ্বে নয়, মানুষ মাত্রই ভূল করে।তাই আমার লেখার মধ্যে ভুল থাকতে পারে। ভূল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । দয়াকরে এই পৌষ্টি সবার মধ্যে শেয়ার করে দিবেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য ধরে আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য। আবার কথা হবে অন্য কোন পৌষ্ট নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url