আম কী?আম খাওয়ার উপকারিতাও অপকারিতা গুলো কি কি

প্রিয় পাঠক আজ আমি আলোচনা করব আম কি? আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি?আম গাছের বৈশিষ্ট্য ,ইতিহাস ,বৈজ্ঞানিক নাম এবং বাংলাদেশের কোন কোন জেলায় উন্নত জাতের আম পাওয়া যায় ইত্যাদি বিষয় ইনশাল্লাহ,।

আম খাওয়ার উপকারিতাও অপকারিতা গুলো কি কি

প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনারা ধৈর্য সহকারে আমার এই পোস্টটি পড়বেন তাহলে আপনাদের কাঙ্খিত উত্তরগুলো পেয়ে যাবেন আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে।

ভূমিকা  

আম ম্যাঙ্গিফেরা গনের  বিভিন্ন প্রজাতির গ্রীষ্ম মন্ডলীয়  উদ্ভিদে জন্মানো এক ধরনের সুস্বাদু ও রসালো ফল। সাধারণত আম কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকা অবস্থায় হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। তবে আবহাওয়া মাটি এবং আমের  জাতের উপর ভিত্তি করে আরো অন্যান্য রঙ্গেরও আম হয়ে থাকে। আম সাধারণত খাওয়ার জন্যই চাষ করা হয়ে থাকে। আম মূলত ভারতীয় উপমহাদেশীয় ফল। 

ঈতিহাস

আমের জন্ম নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক থাকলেও এর আদি  নিবাস  দক্ষিণ এশিয়াতে ধরা হয়। আমের বৈজ্ঞানিক নাম হল মেঙ্গিফেরা ইন্ডিকা (Mangifera  indica)। ম্যাগনিফেরা গণের অন্যান্য প্রজাতিগুলো (যেমন:হর্স ম্যাংগো ম্যাঙ্গিাফেরা ফ্লোটিডা)স্থানীয়ভাবে আবাদ করা হয়। ধারণা করা হয় যে, আম প্রায় সাড়ে ৬০০ বছরের পুরনো।


আম পুরো পৃথিবীতে একটি অনেক জনপ্রিয় ফল এরকম জনপ্রিয় ফল পৃথিবীতে আর একটিও নেই। আম পছন্দ করে না এরকম লোকের তালিকা খুবই কম। তাই এই ফলটিকে আমের রাজা বলা হয়ে থাকে। 

আমের জন্ম  স্থান নিয়ে তর্ক বিতর্ক থাকলেও আমাদের এ জনপদেই যে আমের আদি বাস এ সম্পর্কে আম বিজ্ঞানীরা একমত হয়েছে। ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি যে খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ এ আলেকজান্ডার আম দেখে এবং খেয়ে  মুগ্ধ হয়েছিল। এ সময় আম ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর বেশ কিছু রাষ্ট্র যেমন মালের উপদ্বীপ ইন্দোনেশিয়া ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ ও মাদাগাস্কারে।

হিউয়েন সাঙ চীনা পর্যটক ৬৩২ থেকে ৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অঞ্চলের ভ্রমণি আসেন এবং ভারতীয় উপমহাদেশেীয় অঞ্চলের আমকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করেন। আফ্রিকায় আম চাষ শুরু হয় ১৩৩১ খ্রিস্টাব্দে থেকে। ১৬ শতাব্দীতে পারসোপসাগরে ১৬৯০ সালে ইংল্যান্ডের কাচের ঘরে, ১৭ শতাব্দীতে ইয়েমেনে উনবিংশ শতাব্দীতে ক্যানারি দ্বীপুঞ্জে ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইতালিতে আম গাছের খবর জানা যায়। এভাবে আম ফল কি বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে যায়। 

পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম দেখতে পাওয়া যায়। এবং আমের প্রায় কয়েকশো জাত রয়েছে। যেমনঃ ফজলি, ল্যাংড়া্ গোপাল ভোগ, হিমসাগর্হা‌ ,ড়িভাঙ্গা ল্যাংড়া লক্ষণভোগ আম রুপালি, তোতা পরি সূর্যপুর, ত্রিফলা ছাতা করা গুটলি মিষ্টান্ন কালাবতী ইত্যাদি। রামপালের ফাঁকার আকৃতি রং ত্বকের ভিতরে এবং উপরের রং বর্ণ (একাশি হলুদ সোনালী বা কমলা হতে পারে) আবহাওয়া ও জাত ভেদে  পরিবর্তিত হয়।

ভারতের মালদা মুর্শিদাবাদে প্রচুর পরিমাণে আম চাষ হয়ে থাকে। ভারত হাইতি ফিলিপাইন ও পাকিস্তানের জাতীয় ফল  আম।এবং বাংলাদেশের জাতীয় গাছ হল আম গাছ। বাংলাদেশের রাজশাহী নওগাঁ দিনাজপুর নাটোর ,সাতক্ষীরা যশোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রচুর  পরিমাণে আম উৎপন্ন হয়। 

ব্যুৎপত্তি 

আমের ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে ম্যাংগো (Mango)( বহুবচন "mangoes "বা "Mangos") পর্তুগিজ শব্দ, manga এবং দ্রাবিড়  ভাষা সমূহ (তামিল) শব্দ, mankay থেকে উদ্ভূত হয়েছে  যেখানে  man অর্থ  'আমের গাছ "এবং  kayঅর্থ "ফল"।১৫০০ এবং ১৬ শতাব্দীতে mango নামটি দক্ষিণ ভারতের সাথে ইংল্যান্ডের মসলার ব্যবহারের সময় বিকশিত হয়েছিল।বাংলায় আম শব্দটির সংস্কৃত শব্দ আম্র থেকে উদ্ভূত এবং একটি   বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহূত হয়ে থাকে। আম অর্থ -অম্র,  আম্র, চূত, ফলে তা জান আমি পরিচিত হল বিশেষ প্রভৃতি । 

আম গাছের বৈশিষ্ট্য 

সাধারণত আম গাছ (৩৫ থেকে ৪০ মিটার) এবং (১১৫ থেকে ১৩০ ফিট) লম্বা হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন জাতভেদে  আম গাছের আকার আকৃতি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। আম গাছ সর্বোচ্চ ১০ মিটার (৩৩)ব্যাসার্ধের হয়ে থাকে। আম বহু বছর বাঁচে এর কিছু প্রজাতি ,আবার ৩০০ বছর বয়সেও  ফল দিতে দেখা যায়। আম গাছের পাতা সাধারণত সবুজ, সরল, পর্যায়ক্রমিক, ১৫-৩০সেমি লম্বা এবং ৬ থেকে ১৬ সেমি চওড়া হয়ে থাকে। তবে কচি পাতাগুলো দেখতে লালচে গোলাপি। 

আমের বৈশিষ্ট্য 

আমের আকার আকৃতি রং স্বাদও গুণগতমান  মাটি আবহাওয়া ও জাতভেদে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। এই ফলটি একক ত্বক  বিশিষ্ট লম্বা ও গোল আকৃতির হয়ে থাকে। তবে ফলটির ভিতরে লম্বা আকৃতির   আটি বা বীজ থাকে। দৈর্ঘ্যে এক একটি আম ৫ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার (২-১০ ইঞ্চি)  এবং ওজনে ১৪০ গ্রাম থেকে ২  কিলোগ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফলের ত্বকটি চামড়ার মত মোমের   আস্তরণ  যুক্ত মসৃণ এবং সুগন্ধযুক্ত। আমের রং  কাঁচা অবস্থায়  সবুজ এবং পাকা অবস্থায় হলুদ লালচে বেগুনি ও গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। 

বিভিন্ন প্রজাতির আম 

প্রকৃতিতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম দেখতে পাওয়া যায়। এবং শতাধিক আমের জাত রয়েছে। আমের বাগানে পরাগায়নের সময় প্রায়শই নতুন জাত জন্মে। আমের বিভিন্ন জাত ও প্রকার ভেদ থাকলেও সব প্রজাতির আম সব রকম আবহাওয়াতে জন্মায় না। একটি জলবায়ুতে ভালো জাত অন্য কোথাও লাগালে ব্যর্থ হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জুলি একটি ভারতীয় জাত যা জামাই কাতেও ব্যবসা সফল। তবে  ফ্লোরিডাই এটিকে চাষ করা যায় না। এতে প্রাণঘাতী  ছত্রাক জনিত রোগ হতে পারে। 


সাধারণত তাকে আমি কমলা হলুদ লালচে খোসা থাকে এবং সরস্ হওয়ায় এটি খাওয়ার জন্য উপযুক্ত হয়। তবে রপ্তানি করার জন্য প্রায়শই সবুজ খোসাযুক্ত   কাঁচা আম বাছাই করা হয়। আম পাকানোর জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হলেও বিভিন্ন দেশের সরকারিভাবে এটা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় কারণ এটা মানব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই হুমকিস্বরূপ 

  • নিম্নে কিছু দেশি জাতের আমের নাম উল্লেখ করা হলো 

  • ক্ষীর মন হনভোগ 
  • পাল মার
  • কারাবাউ
  • নিসার পছন্দ 
  • আরুমানিশ
  • বেলখাস
  • বৃন্দা বনি
  • গৌড়মতি
  • পাহুতান
  • বোররন
  • হিমসাগর 
  • বাতাসা 
  • সুন্দরী 
  • বৈশাখী 
  • আরো মানিষ
  • কালুয়া 
  • বাদশা ভোগ 
  • কালি ভোগ 
  • পাট নাই 
  • বাগান বিলাস 
  • গুটি ল্যাংড়া 
  • মাল গোভা
  • রুবি
  • হুঁশনেয়ারা
  • সারোহী 
  • জিল 
  • মাবরোকা
  • এস পাঠা 
  • ম্যানিলা 
  • দুধিয়া 
  • রোমানি 
  • মিছরিদমদম
  • কুমড়া জালি
  • মাডু 
  • নীলম
  • পিয়ারী 
  • জান মাহমুদ 
  • মিশ্রি ভোগ
  • বৃন্দাবনি
  • গোল বোম্বাই 
  • সুরমা ফজলি 
  • বারি -৪
  • হাইব্রিড ১০ 
  • গুলবাহার 
  • চিনি দানা 
  • বারোমাসি 
  • মধু বুলবুলি 
  • সুরমা 
  • হিন্দি 
  • দুধ সর 
  • বারি -৭
  • অগ্রবতি 
  • গোলমতি 
  • ব্যানানা ম্যাংগো 
  • মধুগুটি 
  • রাং গুহায় 
  • বের্ণরেখা 
  • কালি ভোগভারতী চোষসিন্ধু
  • কুহেলভোগ 
  • সুবতুর 
  • কাঁচা মিঠা 
  • খিরসাপাতফজলি
  • সুরমা ফ
  • হাড়িভাঙ্গা 
  • ল্যাংড়া 
  • তোতাপুরী 
  • আম্রপালি গোপাল ভোগ 
  • লক্ষণ ভোগ  সুরমা রানী প্রসাদ ইত্যাদি 
বাংলাদেশ আমার জন্য বিখ্যাত  কোন কোন জেলা
বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতে কম বেশি আম উৎপাদন হয়। তবে রাজশাহী বিভাগে  বেশি আম  পাওয়া যায়। বিশেষ করে  চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, ও রাজশাহী  জেলাতেই  বেশি আম পাওয়া যায়। বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চল  আমের জন্য বিক্ষাত।জেলা প্রশাসন  বলেছেন। স্থানীয় এই সুনাম ধরে রাখতে এবং বাজারে মানসম্মত আম সরবরাহ করতে ম্যাংগ ক্যালেন্ডার তৈরী ও প্রকাশ  করা হয়। প্রতি বছর রাজশাহী জেলা প্রশাসক এই ক্যালেন্ডার তৈরি ওপ্রকাশ করে থাকে।

 আম খাওয়ার  উপকারিতা ও অপকারিতা

আম পছন্দ করে না এরকম লোকের সংখ্যা অনেক কম। প্রায় সব শ্রেণীর মানুষই আম পছন্দ করে। আম রসালো মিষ্টি ও অনেক সুস্বাদু একটা ফল। তাই ছোট বড় সবাই আম খেতে  পছন্দ করে। তবে প্রতিটি ফলেরই কিছু ভালো-মন্দ দিক রয়েছে। তেমনি আমের ও কিছু উপকারী ও অপকারী দিক রয়েছে। যদিও উপকারের দিকটাই অনেক বেশি। 

নিম্নে আম খাওয়ার উপকারিতা সকিছু তথ্য তুলে ধরা হলো ম্পর্কে 

আম কাচা অবস্থায় টক হয় আর টক বাত পিত্ত পরিচিত, মন্ত্রকে সংকুচিত করে যা ঘা শুকাতে এবং ডায়রিয়া মুত্রাশয়  যোনি প্রদাহে উপকারী। পাকা ফল খেতে অনেক মিষ্টি। বিশেষ করে পাকা আম খেতে অনেক মিষ্টি হয় যা বীর্য বর্ধক কামদ্দীপক,ঠান্ডা প্রদাহ রোধী ও আলসার রক্তের রোগ দূর করে। এটা শ্বাসকষ্ট অম্লতা হেপাটিক বৃদ্ধি এবং খোয়ে উপকারী।

আমে (স্যাচুরেটেড ফ্যাট),কোলেস্টেরল এবং সোডিয়াম খুবই কম। এটি আস জাতীয় একটি ফল, এবং ভিটামিন বি -৬,ভিটামিন সি ভিটামিন এ এর একটি ভালো উৎস। আমের অনেক উপকারিতারয়েছে। 

নিম্নে আম খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা তুলে ধরা হলো

 আম ওজন বাড়াতে সাহায্য করে 

যারা ওজন বাড়াতে চান তারা বেশি বেশি আম খান কারণ আম ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। 

হজম শক্তির বৃদ্ধি করে

আম একটি আঁশযুক্ত ফল। আমি ফাইবার থাকার কারণে ফাজলামি শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেটের প্রদাহ কামাই।

চোখের উপকার 

আম চোখের জন্য উপকারী। কারণ কাঁচা আমে ভিটামিন  এ থাকে। যা চোখ ভালো রাখতে এবং রাতকানা রোগ দূর করতে সাহায্য করে। 

আম ত্বকের জন্য উপকারী 

কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে  ভালো রাখে। বয়সের ছাপ কমায় এবং ত্বকের সংক্রমণ কমাই। 

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় 

আমে পটাশিয়াম থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুকি অনেক কমে যায়। 

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে 

ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও আম সহযোগিতা করে। আমে অনেক এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যেটা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। 

মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী 

আমে ম্যাগনেসিয়াম থাকাই মানুষের মেজাজকে উন্নত করে এবং বিষন্নতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।

আম খাওয়ার অপকারিতা 

এতক্ষণ আমরা আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। আম পছন্দ করে না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। আম একটি রসালো মিষ্টি ও খুবই সুস্বাদু ফল। তাই ফলপ্রেমীরা আম দেখলে না খেয়ে থাকতে পারে না। সেটা কাঁচা হোক আর পাকা হোক। আম সুশাদু বলে যে আমরা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবো সেটা নয়, কারণ এটি প্রাকৃতিক চিনির  একটি সমৃদ্ধ উৎস,তাই অতিরিক্ত আম খেলে রক্তে শর্করার  মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

 বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশি আম না খাওয়াই ভালো। কারন আম খেলে অনেক সময়, ডায়াবেটিকস বেড়ে যায়। এছাড়াও আম একটি  আশযুক্ত ফল। এতে রয়েছি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই অতিরিক্ত আম খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।এছাড়া যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের অতিরিক্ত আম খেলে  এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আম খাওয়ার অপকারিতা 

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় 

আম একটি রসালো মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল। আম পছন্দ করে না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। তাই আম কমবেশি সবাই খেয়ে থাকে। আম অনেক সুস্বাদু বলে যে আপনি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন তা কিন্তু নয়। কারন আমের কিছু অপকারিতা রয়েছে। আমে রয়েছি প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি। যা শরীরে শর্করার  মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। তাই অতিরিক্ত আম না খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস  রয়েছে তাদের অতিরিক্ত আম না খাওয়াই ভালো। 

ডায়রিয়ার ঝুকি বাড়ায়

আম একটি আশ বা ফাইবার যুক্ত ফল। এটি অতিরিক্ত গ্রহণ করলে পাতলা পায়খানা সহ ডায়রিয়া হতে পারে। 

ঘুম বৃদ্ধি করে 

অনেক সময় পাকা আম খেলে অতিরিক্ত ঘুমের উদ্যোগ হয়। তাই যারা ড্রাইভিং পেশার সাথে জড়িত তাদের অতিক্ত আম না খাওয়াই ভালো। এতে করে এক্সিডেন্টের ঝুঁকি বাডতে  পারে। এবং জীবন নাসের সম্ভাবনা থাকে। 

আম খেলে কি সত্যি মোটা হয় 

অনেকের মনে এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খায় যে আম খেলে মোটা হয় কিনা। অনেকেই মনে করেন আম খেলেই মোটা হয়। আম ক্যালরি মাত্রা বেশি থাকে। তাই প্রতিদিন আম খেলে মোটা হওয়ার চান্স থাকে। তার মানে এই নয় যে আম খেলেই মোটা হয়ে যাবে। যারা মোটা হওয়ার ভয়ে আম খেতে চান না তারা নিঃসন্দেহে আম খেতে পারেন। কারণ আমে ক্ষতিকর চর্বি নেই এবং ফাইবার থাকাই আপনার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে। তাই আপনার প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় আম রাখতে পারেন। 

লেখকের মন্তব্য 

আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আমের বিভিন্ন দিক  তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আম কি? আমের বিভিন্ন জাত বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটুকু তথ্য দিতে পেরেছি। আমার লেখার মধ্যে ভুল ত্রুটি বা অসংগতি থাকতে পারে। ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে যাবেন। যাতে করে আমি নতুন নতুন পোস্ট লেখার উৎসাহ পাই।


 এবং আপনাদের নতুন নতুন তথ্য দিয়ে আপনাদের জ্ঞান  ভান্ডার কে সমৃদ্ধ করতে পারি। আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে যদি আপনারা উপকৃত হন। তাহলে আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব এবং পাড়া-প্রতিবেশীর মধ্যে বেশি বেশি শেয়ার করবেন। যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমার সাথে থাকার জন্য। আজকের মত আল্লাহ হাফেজ। কথা হবে অন্য কোন পোস্ট নিয়ে  ইনশাল্লাহ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url