চর্ম রোগের মহা ঔষধ ও এলার্জির সামাধান
মানব দেহের যত অঙ্গ রয়েছে ত্বক হল তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অঙ্গ। আর চর্মরোগ মূলত মানুষের ত্বকেই হয়ে থাক। বিভিন্ন রকম চর্মরোগ আছে যা মানুষকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ব্রণ, ফুসকুড়ি, এলার্জ্ একজিমা বা চুলকানিইত্যাদি নানা ধরনের চর্মরোগ হয়ে থাকে। অনেকেই ভুল চিকিৎসার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই চর্মরোগে ভুগতেছে।
চর্ম রোগের ,মহা ওষুধ বা এলার্জির সমাধান রয়েছে। অনেকেই সঠিক চিকিৎসার অভাবে বা হাতুড়ি ডাক্তারের দ্বারা প্রতারিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগতেছে। তবে এই রোগের সঠিক চিকিৎসা পেলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ভূমিকা
চর্ম রোগ সাধারণত মানুষের ত্বকেই হয়ে থাকে। ত্বক মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটা যেমন আমাদের বাহিরের ক্ষতিকর বস্তু থেকে প্রটেকশন দেয় অন্যদিকে মানবদেহের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাই ত্বক আমাদের একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মানবদেহের মুখের ত্বক দেহের অন্যান্য ত্বকের থেকে সফট বা নরম হয়ে থাকে। তাই এর যত্ন নেয়া অবশ্যই জরুরী।
চর্মরোগ কি এই রো কি কি কারণে হয়ে থাকে। কি কি ঔষধ বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এ রোগের ঘরেও চিকিৎসা কি ইত্যাদি বিষয় আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক আপনি যদি আমার এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন। আমি আশা করি আপনার কাঙ্খিত সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। তাই আমার এই পোস্টটি ধৈর্য ধরে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
সূচিপত্র
- কি কি কারনে চর্ম বা এলার্জি হয়ে থাকে
- চর্ম রোগের মহা ঔষধ বা
- এলার্জির সমাধান
- চর্ম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
- চর্ম রোগের অ্যান্টিবায়োটিক
- চর্ম রোগের ক্রিম
১।কি কি কারণে চর্ম বা এলার্জি হয়ে থাকে
চর্মরোগের সবচেয়ে বড় ওষুধ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। প্রথমে নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে নিয়মিত গোসল করতে হবে জামাকাপড় ও বেডরুমের বিছানা পত্রনিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মানবদেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গটি হলো আমাদের ত্বক। এটা মানবদেহের যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তেমনি বাহিরের বিভিন্ন ক্ষতিকর বস্তু থেকে রক্ষা করে। তাই ত্বকের প্রতি যত্ন নিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ত্বক বা চামড়া বিভিন্ন ফরেন পাটিকেলের সঙ্গে স্পর্শ এসে এলার্জি সৃষ্টি করে। বিভিন্ন কারণে এলার্জি হতে পারে। যেমন ধুলাবালি, ফুলের দিনু, গরু ছাগলের লোম ইত্যাদি থেকে এলার্জি হতে পারে। তাই এগুলো এভোয়েড করে চলাই উচিৎ।
- বিভিন্ন কারণে এলার্জি হতে পারে
- খাদ্য অভ্যাসের কারণে
- পোকামাকড়ের কামড় থেকে
- পরিছন্নতা থেকে
- ধুলাবালি থেকে
- ফুলের রেনু থেকে
- বিভিন্ন পশুপাখির লোম থেকে
- রাসায়নিক বিকিরণের কারণে
- ছত্রাক জনিত কারণে
ইত্যাদি কারণে চর্মরোগ বা এলার্জি হয়ে থাক।
তাই এগুলো আমাদের এড়িয়ে চলাই ভালো।
২।চর্ম রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
চুলকানি ফুসকুড়ি ব্রণ মেস্তা ইত্যাদি সাধারণত আমাদের তোকে হয়ে থাকে। চুলকানি খুবই বিরক্তিকর বা অস্বস্তিকর বিষয়। এর ফলে অনেক সময় ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাই।এ সময় চর্ম বা এলার্জি রোগের বাড়াবাড়ি থেকে বাঁচতে। সাবধানতা বা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চর্মরোগ দেখা দিলে ঘরেই সমাধান করা সম্ভব।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমাধান করা যায়।প্রথমেই আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প্রতিদিন গোসল করতে হবে। ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে। নিজের পরার পোশাক পরিষ্কার করতে হবে। বেডরুমের বিছানা পরিষ্কার করতে হবে।
অ্যাথলেট ফুট
এটা ছত্রাক জনিত রোগ। এটা সাধারণত পায়ের পাতা বা দুই আঙ্গুলের মাঝখানে হয়ে থাকে। অ্যাথলেট ফুট চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি টিনিয়া পেডিস নামে পরিচিত। এই রোগের লক্ষণ এবং লক্ষণ সমূহের মধ্যে প্রায়ই চুলকানি দাগ দাগ থাকে।পা ফাটা এবং লালভাব অন্তর্ভুক্ত থাকে। এটা পায়ের আঙ্গুলে ভাঙ্গলে বা ফাকে দেখা দিতে পারে। পা সব সময় শুষ্ক বা পরিষ্কার রাখতে হবে।
পা সবসময়ই পরিষ্কার রাখতে হবে ভিজা বা স্যাঁতস্যাঁতে রাখা যাবে না। মজা বা জুতা না পারা। বাহির থেকে এসে পা ভালোভাবে ধুয়ে শুকাতে হবে।অন্যের তোয়ালে রুমাল বা মুজা ব্যবহার করা যাবেনা নরম চটি বা স্যান্ডেল পরিধান করতে হবে। এতেও যদি সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে দেরি না করে। যৌন চর্ম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সরণাপন্ন হতে হবে। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হব।
দাদ
দাদএই রোগটি সাধারণত চামড়ার উপর গোল চাকার মত লালচে ক্ষতস্থানে সৃষ্টি হয়। ওই স্থানে চুলকানি হয়। ঘাড় পায়ের পাতা বগলে এ ধরনের ক্ষত হতে পারে। এক্ষেত্রে পরিষ্কার জামা কাপড় পড়তে হবে। গোসল করার পরে শরীরে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হব। এতে সমাধান না হলে চিকিৎসায়কের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টি ফাংগাল ক্রিম লাগাতে হবে।
একজিমাতক জালা ত্বক ফেটে যাওয়া চুলকানি ইত্যাদি এগুলোই হলো একজিমার লক্ষণ। এক্ষেত্রে নারিকেলের তেল লাগানো যেতে পারে। এবং সুতির কাপড় পড়ার চেষ্টা করতে হবে। ও নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
টেনিয়া ক্যাপিটিস
এটা সাধারণত মাথার ত্বকে হয়। মাথার ত্বকের দাগ দেখা দেয়। এটা ছত্রাক জনিত কারণে হতে পারে। এক্ষেত্রে এন্টিফাঙ্গাল শ্যাম্পু কার্যকরী সমাধান হতে পার।
৩।চর্ম রোগের অ্যান্টিবায়োটিক
- অ্যান্টি সিস্টেম হিসেবে খাওয়া যেতে পারে
- বিলাস্টিন(Bilastin) Bilastati group
- ভরিকোনাজল গ্রুপের ট্যাবলেট
- যেমন ভাইভরি (Vivori)
- (ভরি)Vori
- Flugal 50 Capsule
- Cefaclave 250/500
- এগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।
- চর্ম রোগের ক্রিম
- বিভিন্ন ক্রিম রয়েছে
- যেমন:Bactriben Cream
- Retabac cream.
- Unix c Lotion.ইত্যাদি।
৪। চর্ম রোগের মহা ঔষধ এলার্জির সমাধান
এলার্জির চিকিৎসা
কিছু কিছু বিষয় এড়িয়ে চললে বা সচেতন হলে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যেমনঃ খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তন আনা, লক্ষ্য রাখতে হবে যে, যেসব খাবার খেলেএলার্জি দেখা দেয্ সেসব খাবার পরিহার করা।তবে পারসন ভেদে একেক জনের কাছে একেক রকম হয়ে থাকে।কারো কারো ক্ষেত্রে বেগু, কচু, ডি, দুধ ইত্যাদি খেলে এলার্জির লক্ষণগুলো ধরা পড়ে বা দেখা দেয়।
সে ক্ষেত্রে এসব খাবার গুলো অ্যাভয়েড বা এড়িয়ে চলাই ভালো।আবার এলার্জি সৃষ্টিকারী অনেক বস্তু রয়েছে যেগুলোর সংস্পর্শে এলে এলার্জি দেখা দিতে পারে। যেমন ধুলাবালিঘাম, সূর্য রশ্ম্ নির্দিষ্ট কিছু খাবার ,গৃহ পালিত পশুপাখির লোম, পরাগ রেন্ ও ফুলের রেনু, কীটনাশক বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি সংস্পর্শে এলে এলার্জি হতে পারেসুতরাং এগুলো এড়িয়ে চলাই।
ঔষধ
এলার্জি চিকিৎসায় সাধারণত এন্টিহিসষ্টামিন জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হতে পারে। এই ওষুধগুলো এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে বা লক্ষণ দেখা দেয়ার পূর্বেও সেবন করা যেতে পারে। যেমন কারো ধুলাবালিতে এলার্জি থাকতে পারে।কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে তাকে ধুলাবালি পরিষ্কার করতে হবে সে ক্ষেত্রে, সে কাজের পূর্বেই অ্যান্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারে।
এই ওষুধগুলো আবার বাজারে বিভিন্ন ফরমেটে পাওয়া যায়। যেমন ট্যাবলেট, ক্যাপসুল্সিরাপ ইত্যাদি। এগুলো বয়স ও লক্ষণ ভেদে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। সাধারণত এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সেবন করলে ঘুম ঘুমবা মাথা ঝিমঝিম করার মত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।এতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধগুলো সেবন করা ভালো।
লেখক এর বক্তব্য
আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এলার্জি কি, কি কি কারণে এলার্জি হয়ে থাকে এবং এর সমাধান কি, এবং কি কি ওষুধ সেবন করতে হবে ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আমার এই পোষ্টটি পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনার আত্মীয়স্বজ বন্ধুবান্ধব, বা প্রতিবেশীর মধ্যে এই পোষ্টটি শেয়ার করবেন।
যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে এবং এই পেজটিতে লাইক ও ফলো দিয়ে রাখবেন ,যাতে করে আমার পরবর্তী পোষ্টটি প্রকাশ করা মাত্রই আপনারা পেতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url