প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত ও গর্ভব্যস্থায় কালজিরা খেলে কি হয়
কালজিরার নাম আমরা প্রায় সবাই শুনেছি।কালজিরার গুনাগুন সম্পর্কে মোটামোটি আমরা সবাই জানি।কালজিরাতে প্রায় শতাধিক পুষ্টিগুন ও উপকারি উপাদান রয়েছে।কালজিরাতে যে কত উপকারি উপাদান আছে তার গুরুত বোঝাতে গিয়ে ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে কালজিরা মৃত্য ব্যতীত সকল রোগের মহা ঔষধ ।
প্রতিদিন কটটুকু কালজিরা খাওয়া উচিত ও গর্ভাব্যস্থায় কালজিরা খেলে কি হয়, এ সর্ম্পকে জানা দরকার। এ পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আরও জানব খালি পেটে কালজিরা খেলে কি হয় ।কালজিরার উপকারিতা কি ও অপকারিতা কি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।তাই আশাকরি আমার পোষ্টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ভুমিকা
কালোজিরার ইংরেজি প্রতিশব্দ( Nigella এবং kalonji) এটি একটি মাঝারি আকৃতির মৌসুমী গাছ, এ গাছে একবারই ফুল ও ফল হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলNigella Sativa Linn।এর দুই ধরনের ফুল হয় স্ত্রী ও পুরুষ। এর রং বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এর রং সাধারণত নীলচে ও সাদা বেশি দেখা যায় (জাত বিশেষে হলদে ভাব দেখা যায়), এরফুল পাঁচটি পাপড়ি বিশিষ্ট হয়। এর বীজ সাধারণত তিন কোনা আকৃতির কালো রঙ্গের হয়ে থাক।
এর ফল গোলাকার হয় এবং প্রতিটি ফলে প্রায়( ২০-২৫)টি বিজ থাকে। কালোজিরা চিকিৎসার পাশাপাশি মসলা হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে থাক। এর বীজ থেকে পাওয়া যায় তেল যা কালোজিরা তেল নামে পরিচিত। কালোজিরা তেলও বিভিন্ন উপকারে আসে। যেমন চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়, চুলকে কালো ও ঘন করে। তবে প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া যাবে বা উচিত এবং গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয়। এ বিষয়গুলো আমরা বিস্তারিত জানবো।
উপাদান
কালো জিরাতে বিভিন্ন উপকারী উপাদান রয়েছে যেমন ফসফেট লৌহ ও ফসফরাস। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক , ক্যারোটিন ওবিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান এবং অম্ল রোগের প্রতিষেধক। এর প্রধান উপাদান গুলোর মধ্যে আমিষ ২১,শতাংশ, শর্করা ৩৮শতাংশ, স্নেহ ওচর্বি ৩৫ শতাংশ, এছাড়াও ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আছে।
এছাড়া প্রতি গ্রাম কালোজিরাতে থাকে প্রোটিন ২০৮ মাইক্রো গ্রাম, ভিটামিন বি১ ১৫ মাইক্রোগ্রাম, নিয়াসিন ৫৭ মাইক্রোোগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১.৮৫মাইক্রোোগ্রাম, আইরন ১০৫ মাইক্রোগ্রাম ,ফসফরাস ৫.২৬ মিলি গ্রাম, কপার ১৮ মাইক্রোগ্রাম, জিংক ৬০ মাইক্রোগ্রাম, ফলাসিন ৬১০ আই ইউ।এছাড়াও কালোজিরার অন্যান্য উপাদান গুলোর মধ্যে আরো আছে নাইজেলুন, থাই মোকিনোন, স্থায়ী তেল। কালোজিরার তেল আছে লিলোনিক অ্যাসিড, ফলিক এসিড, ফসফেট, লৌহ , ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম আয়রন জিংক ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ ভিটামিন -বি ভিটামিন বি টু, এছাড়া রয়েছে হাজারো উপকারী উপাদান।
ঔষধি গুনাগুন
কালোজিরাতে প্রায় শতাধিক ওষুধি গুনাগুন ও উপকারী উপাদান আছে। কালোজিরা নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাই।আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে মজবুত করে । কালোজিরার মধু উৎকৃষ্ট মানের মধু নামে পরিচিত এবং কালোজিরা তেল আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে। এখন বর্তমানে বাজারে কালোজিরা ক্যাপসুলও পাওয়া যায় এতে থাকে ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্যারোটিনএবং শক্তিশালী হরম।
কালোজিরা তেলের উপকারিতা
কালোজিরা তেল আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, স্মৃতি শক্তি বাড়ায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, ত্বককে সুস্থ রাখে, আর্থাইটিসও মাংসপেশির ব্যথা কমায় , এন্টি হিসেবে কাজ করে। এর তেল ব্যবহারের ফলে অনিদ্রা দূর করে ও প্রশান্তির নিদ্রা দেয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে আমাদের শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটে এবং সমস্যা সৃষ্টি হয় সেসব সমস্যা কালোজিরা তেল ব্যবহারের মাধ্যমে দূর হয়।তাই কালোজিরা ও কালোজিরার তেল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন উপকারে আসে। আমাদের প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব।
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত এবং কালোজিরা খেলে কি কি উপকার হয় এ পোষ্টের মাধ্যমে আমরা সেগুলো জানব। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে খেলে পেটের গ্যাস্ট্রিক দূর করে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও রং চা ও গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে দৈনিক দুবার করে খেলে অনেক উপকারে আ্সে। এছাড়াও নারী পুরুষ উভয়েরই যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং যৌন সমস্যা দূর করে।
গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় প্রতিটি গর্ভবতী মাই চিন্তিত থাকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে, বিশেষ করে কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে, কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে কোন ওষুধ খাওয়া যাবে ,আবার কোন ওষুধগুলো এড়িয়ে চলতে হবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়া যাবে কিনা এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মতামত দেখা যায়। যদিও কালোজিরা একটি অনেক পুষ্টিকর খাবার তবে এটিকে শুধু খাবার বললে ভুল হবে এটি সকল রোগের মহা ঔষধ।
গরম ও ঠান্ডা জনিত কারণে অনেকের জ্বর হয়। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় জ্বর কফ গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালোজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। কালোজিরাতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেমন ১৫ টি অ্যামাইনো এসিড আছে। এছাড়া ২১ শতাংশ প্রোটিন আছে ও ৩৮ শতাংশ শর্করা আছে।
এবার আমরা জানবো কালোজিরাতে কি কি রাসায়নিক উপাদান রয়েছে
লিলুনিক অলীক স্টিয়ারিক এসিড ,প্রোটিন নিজেলোন, গ্লোটামিক অ্যাসিড, এছাড়াও রয়েছে, নিজেনিন, পটা।এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, কপার আইরন, জিংক ইত্যাদি রাসায়নিক উপাদান।
এখন আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে গর্ভবতী মায়ের শরীরের কি কি উপকার হয়
স্বাভাবিকভাবে কালোজিরা খেলে শরীরে প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে ও স্বাস্থ্যের উন্নতি করে । অরুচি শরীর ব্যথা গলা ব্যথা ও দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, চুল পড়া সর্দি-কাশি, হাঁপানি, নিরাময়ে কালোজিরা অনেক সাহায্য করে থাকে।যেটা সুস্থ ও স্বাভাবিক সন্তান জন্মদানের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কালোজিরা অনেক উপকার করে।
মাথা ব্যথা নিরাময়ে
গর্ভাবস্থায় প্রায় প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের মাথাব্যথা একটি কমন সমস্যা হিসেবে দেখা যাই। হঠাৎ মাথা ব্যথা হলে এক থেকে দুই চা চামচ কালোজিরা তেল মাথায় ভালোভাবে মালিশ করতে হবে,এছাড়াও কপালের দুই চিবুকেএবং কানের চার পাশে প্রতিদিন ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
চারটি গবেষণার রিভিউতে বলা আছে কালোজিরার তেল রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু কালোজিরা তেল রক্তচাপ কেন কমায় এ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত ভাবে জানেন না। তবে ধারণা করা হয় যে এই তেলের উচ্চ থাইমকইনন রক্তচাপ কমানোর কারণ হতে পারে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুটি রসুনের কোষ চিবিয়ে খেতে হবে এবং সমস্ত শরীরের কালোজিরা তেল মালিশ করে কমপক্ষে সূর্যের তাপে আধা ঘন্টা বসে থাকতে হবে। এবং এক চা চামচ কালোজিরা তেল ও সমপরিমাণ মধু প্রতি সপ্তায় দুই থেকে তিনবার খেতে হবে তাহলে আল্লাহর রহমতে ব্লাড প্রেসার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইনশাল্লাহ।
হজমের সমস্যা দূর করনে কালোজিরার ভূমিকা
গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়ের প্রায় হজমের সমস্যা দেখা যায়। হজমের সমস্যায় ১/২চা-চামচ কালোজিরা বেটে পানির সাথে খেতে হবে।এভাবে প্রতিদিন নিয়মিত ২-৩ বার এক মাস খেলে হজম শক্তি বেড়ে যাবে এবং পাশাপাশি পেট ফাঁপা দূর হবে।
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
যেসব মায়ের বুকের দুধ কম হয় বা পর্যাপ্ত নয় সেসব মায়েরা প্রতিরাতে শোয়ার আগে ৫ থেকে ১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে নিয়মিত খেতে থাকতে হবে। এতে মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই ভালো ফল পাওয়া যাবে। মায়ের বুকের দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এ সমস্যার সমাধানে কালোজিরার ভর্তা করে ভাতের সাথে খেলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে ইনশাল্লাহ।
গ্যাস্ট্রিক বা আমাশাই কালোজিরার ভূমিকা
গ্যাস্ট্রিক বা আমাশায় প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের জন্য একটি কমন সমস্যা। এ সমস্যা দেখা দিলে এক চা চামচ কালোজিরার তেল ও সমপরিমাণ মধু দিনে দুই থেকে তিনবার তিন থেকে চার সপ্তাহ ধরে খেলে গ্যাস্ট্রিক বা আমাশার সমস্যা দূর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
এছাড়া কালোজিরা আরো কি কি উপকার করে থাকে নিচে সেগুলো দেওয়া হল
চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে
চুল পড়া একটি কমন সমস্যা। এটি বংশগতভাবেও হয়ে থাকে। আবার বিভিন্ন কারণে ও চুল পড়ে থাকে। তাই চুল পড়া নিয়ে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন বিশেষ করে মেয়েরাএকটু বেশি উদ্দিন্ন হয়ে পড়েন। প্রথমে লেবু দিয়ে মাথার খুলি বা চামড়া ভালোভাবে ঘষতে হবে। ঘষার পনের মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো হবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এবং মাথা ভালোভাবে মুছে ফেলতে হবে। এরপর মাথার চুল ভালো করে শুকানোর পর সম্পূর্ণ মাথার খুলি বা তকে কালোজিরা তেল মালিশ করতে হবে। এভাবে কয়েক সপ্তাহ মালিশ করলে চুল পড়া বন্ধ হবে ইনশাল্লহ।
কিডনির পাথর ভালো করে
২৫০ গ্রাম কালোজিরা ভালোভাবে গুড়া করে সমপরিমাণ মধুর সাথে মিশিয়ে 2 চা চামচ মিশ্রণ আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে আধা কাপ পরিমাণ তেল সহ পান করতে হবে। এভাবে নিয়মিত পান করলে আল্লাহর রহমতে কিডনির পাথর ভালো হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা ওএক গ্লাস পানি নিয়মিত খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিকসের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যৌন দুর্বলতা নিয়ন্ত্রণে
যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কালোজিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কালোজিরা নারী-পুরুষ ওয়েরই যৌন ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন কালো জিরা খাবারের সাথে নিয়মিত খেলে পুরুষের স্পাম সংখ্যা বেড়ে যাই এবং পাশাপাশি পুরুষত্ব বেড়ে যাই। কালোজিরা চূর্ণ ও জয়তুনের তেল (অলিভ অয়েল) ৫০০ গ্রাম হেলেঞ্চা রস ও দশ গ্রাম খাঁটি মধু একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে এ সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি মিলে।
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে
প্রতিদিন কালোজিরার তেল ও অলিভ অয়েল পরিণত পরিমাণ একত্রে মিশিয়ে এক ঘন্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাই।
অনিয়মিত মাসিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে
অনিয়মিত মাসিক মহিলাদের জন্য একটি কমন সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে কালোজিরার ভূমিকা অত্যান্ত গুরুতপুর্ন। এক কাপ পরিমাণ কাঁচা হলুদের রস ও সমপরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক কাপ চা চামচ কালোজিরা তেলের সাথে মিশিয়ে দৈনিক তিন থেকে চার বার নিয়মিত খেলে এ সমস্যা শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আসবে ইনশাল্লাহ।
জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যার দূর করনে কালোজিরার ভূমিকা
এক গ্লাস ত্রিপলার শরবতের সাথে এক চা চামচ কালোজিরার তেল দিনে ৩ থেকে ৪ বার, চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ নিয়মিত খেলে এ সমস্যা দূর হয় ইনশাল্লাহ।
শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে কালোজিরার ভূমিকা
দুই বছরের বেশি বয়সি শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। বিভিন্ন খাবারের সাথে বা খাবার তেল তৈরি করে জোস করে নিয়মিত খাওয়ালে শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। এছাড়া শিশুর মস্তিষ্কেকে সুস্থ রাখে ,এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও কালো জিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন বা খাওয়ানো উচিত নয়। তবে শরীরে ব্যবহার করা যাবে।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
প্রতিদিন মধুসহ কালোজিরা নিয়মিত সেবন করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে স্বাস্থ্য ভালো থাক।
দাঁত ব্যথা দূর করনে
দাঁতের ব্যথা এটি একটি কমন সমস্যা। এটি প্রায় সবারই হয়ে থাকে। দাঁতের ব্যাথা হলে কুসুম গরম পানির সাথে কালোজিরা মিশিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে যায় ,এছাড়া জিহ্বা,তালু, দাঁতের মাড়ির জীবানু মরে যাই।
লেখকের মন্তব্য
আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে কালোজিরা কি ,গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয়। গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়া যাবে কিনা। কালোজিরা মানব দেহের জন্য কি কি উপকার করে। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কালোজিরার ভূমিকা। কালোজিরা বিভিন্ন কার্যকারিতা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি আমি তা জানিনা। এতোটুকু জানি আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি। কোন মানুষই ভুলের ঊর্ধে নয়। তাই আমারও ভুল হতে পারে ।
প্রিয় পাঠক আমার এই ভুলত্রুটি গুলো আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমাকে পরামর্শ দিয়ে যাবেন। যাতে করে আমি আপনাদের জন্য আরো ভালো পোস্ট লিখতে পারি। আশা করি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পেরেছেন। আপনারা উপকৃত হলেই আমার লেখাটি সার্থক হবে । সবাইকে অনেক ধন্যবাদ এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য। আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url