গরমকালে রুপ চর্চা ওগরমে মেয়েদের ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায়

বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীতও বসন্ত। এই ছয়টি ঋতুর মধ্যে গ্রীষ্ম বর্ষা ও শীত বেশি প্রভাব বিস্তার করে। বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাস নিয়ে গ্রীষ্মকাল। এই ঋতুতে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ পরিলক্ষিত হয়। তাই এ সময় ত্বকের বাড়তি যত নেয়ার প্রয়োজন পড়ে।
গরমকালে রুপ চর্চা ওগরমে মেয়েদের ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায়


তাই অনেকেইগরমকালে রুপ চর্চা ওগরমে মেয়েদের ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে গরমকালে রুপ চর্চা ওগরমে মেয়েদের ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

ভূমিকা 

গ্রীষ্ম ঋতুতে রোদের তীব্রতা সবচাইতে বেশি থাকে। এ সময় প্রখর রোদ ও তীব্রতাই ত্বক ধীরে ধীরে শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে ওঠে এবং উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। অনেকেই প্রশ্ন করেনগরমকালে রুপ চর্চা ওগরমে মেয়েদের ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। কারণ এ সময় তৈলাক্ত বা শুষ্ক সব ধরনের ত্বকেই নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় বাইরে প্রচুর পরিমাণে ধুলো ময়লা ত্বকে বিশেষ করে মুখের ত্বকে আটকে গিয়ে ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যা হতে দেখা যায়। তাই এ সময় এ সমস্ত সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে কিছু ঘরোয়া ফেসপ্যাক বা পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। তাই আসুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক গরমকালে রুপ চর্চা ওগরমে মেয়েদের ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায়গুলো সম্পর্কে।

গরমে ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

গ্রীষ্ম এলেই তাপমাত্রার পরিমাণ বাড়তে থাকে। বছরের এ সময় ত্বকের বাড়তি ও সঠিক যত্ন নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সময় ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতেই থাকে। এ সময় ব্রণ ফুসকুড়ি ঘা ফোশড়া ইত্যাদি হতে পারে।তাই এই সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস জেনে রাখা ভালো। আসুন জেনে নেয়া যাক গরমে ত্বক ভালো রাখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপ সম্পর্কে।

এক্সফোলিয়েটিংত্বকেরকে খুব বেশি ঘষা যাবেনা যত্নের 

এক্সফোলিয়েটিংত্বকেরকে খুব বেশি ঘষা যাবেনা যত্নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ এটার মাধ্যমে ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর হয়ে যায়। তবে এটা করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ত্বক খুব বেশি ঘষাঘষি না করা হয়। কারণ এতে ত্বকের স্তর গুলি পাতলা হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমনকি জ্বালাপোড়াও হতে পারে। তাই মুখে আলতো হাতে এক্সফোলিয়েট করতে হবে এবং এটি শুকনোর জন্য তুলা ব্যবহার করতে হবে। তক উজ্জ্বল রাখতে সপ্তাহে দুই বার এটি করা যেতে পারে।

তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

ত্বক ভালো রাখতে তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে তৈলাক্ত বা ভাজা খাবার আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত খারাপ হতে পারে। কারণ এতে ব্রণসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই এ সময় এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চললে একদিকে যেমন পেট ভালো থাকে অন্যদিকে ত্বকের জন্য ভালো।

ক্যাফিন বা চিনি যুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে

গরমের সময় আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সময় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হলে ক্যাফিন এবং অতিরিক্ত চিনি যুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। তবে এই ধরনের পানীয়ের পরিবর্তে বিশুদ্ধ খাবার পানি তাজা ফলের রস ডাবের পানি ইত্যাদি পান করে হাইড্রেট রাখা যেতে পারে।

সুন্হেটিক কাপড় পরা এড়িয়ে চলতে হবে

গরমের সময় আমাদের শরীল দিয়ে অত্যন্ত ঘামাই। এই অত্যাধিক ঘাম এড়িয়ে চলতে হলে সিন্থেটিক কাপড় পড়া এড়িয়ে চলাই ভালো। এর পরিবর্তে সুতির জামা কাপড় পড়তে হবে। কারন সুতি জামা কাপড়ের মধ্যে দিয়ে খুব সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। এর ফলে ত্বকে, ঘাম, ফুসকুড়ি এবং চুলকানি প্রতিরোধ করা সহজ হয়।

সানস্ক্রিন ব্যবহার

গ্রীষ্মকালে ত্বকের যত্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সানসক্রিম। এ সময় এসপিএফ ৩০ বা তার চেয়েও বেশি সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। বাহিরে যাওয়ার ১৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এতে আপনার ত্বককে ক্ষতিকারক ইউপি রশ্মি থেকে রক্ষা করবে। এতে করে রোদে পোড়া অকাল বার্ধক্য এবং ট্যানিং হাওয়া থেকে ত্বক রক্ষা পাবে।

বেশি বেশি পানি পান করা

গ্রীষ্মকালে সূর্যের আলো তীব্রতা ও প্রখরতা বেড়ে যাই। এতে করে আমাদের ত্বক দ্রুত ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। তাই এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। ফলে ত্বক ডিহাইড্রেট হাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। তাই বাহিরে গেলে সব সময় একটি ওয়াটার বোতল রাখতে হবে। কারণ এ সময় ঘামের মাধ্যম দিয়ে প্রচুর পরিমাণে লবণাক্ত পানি শরীর থেকে বের হয়ে যাই। এছাড়াও পানি সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসবজি যেমন তরমুজ শসা ও অন্যান্য ফল বেশি বেশি খেতে হবে। কারণ এতেই অতিরিক্ত পুষ্টি ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে।

ম্যসাস করতে হবে

এ সময় মুখের ত্বক ভালো রাখতে ঊর্ধুমুখী গতিতে ৫ মিনিটের জন্য আপনার মুখ মেসার্স করতে হবে। এতে ফোলা ভাব কমে যায় এবং ত্বক পানি ধরে রাখে। এছাড়াও এ সময় লাইট স্ক্রিন এয়ারপোর্টে ব্যবহার করতে পারেন এতে করে ত্বকের ছিদ্র গুলিকে আটকাবে না। তোক ভারী বধ করবে না।

রোদে পড়ার দাগ দূর করা

এ সময় প্রচন্ড রোদে ত্বক পড়ে গেলে বা কালো হয়ে গেলে সপ্তাহে দুইবার অ্যালোভেরা জেল বা এলোভেরা আইস কিউব মুখে লাগাতে পারেন। এতে করে ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি মিলবে।

ব্রণ থেকে মুক্তি

এছাড়া ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে গ্রিন টি আইস কিউব ব্যবহার করতে পারেন। এর সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করে করে এগুলো আইস কিউবে রাখুন।এগুলো বরফ হয়ে গেলে মুখে ঘষুন।

মাক্স

গরমের সময় ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।এর জন্য মুলতানি মাটি বা চন্দনের মাক্স ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ এ মার্কসগুলো ব্রুন এড়াতে তোকে গভীরভাবে পরিষ্কার করে।

ঠোঁটের যত্ন

ঠোটকে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করতে মোর্চারাইজড রাখুন। ইউভি রোশ্মি থেকে সুরক্ষিত রাখতে এস পি এফ ১৫ বা তার বেশি যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন।

গরমে মেয়েদের ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায়

১।হলুদ ও অ্যালোভেরা জেলের ফেসপ্যাক

উপকরণ

  • অ্যালোভেরা জেল
  • এক্সামটি হলুদের গুঁড়া
  • ২ টেবিল চামচ দুধের সর বা দুধ

তৈরি করার উপায়

  • অ্যালোভেরা জেলের সাথে হলুদের গুঁড়া এবং দুধের সর ভালোভাবে মিশাতে হবে।
  • এই প্যাকটি ফেইসে ব্যবহার করতে হবে।
  • ২০-৩০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

কার্যকারিতা

অ্যালোভেরার প্রায় 98% পানি ফলে গরম এটি ত্বকের জন্য খুবই ভালো কাজ করে। এছাড়াও এতে আছে এন্টিব্টেরিয়াল ও আন্টিফাঙ্গাল প্রপারটিজ। অ্যালোভেরা ব্যবহারে চোখের চারপাশের কালো দাগ ব্রণের দাগ বলি দেখা বয়সের ছাপ দূর হয়। এবং সেইসঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

২।মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক

উপকরণ

  • দুই টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
  • দুই টেবিল চামচ টমেটোর রস
  • এক টেবিল চামচ চন্দনের গুড়া
  • এক চিমটি হলুদের গুঁড়া

ব্যবহার

মুলতানি মাটি টমেটোর রস চন্দনের গোড়া এবং হলুদের গোঁড়া একসঙ্গে মিশে প্যাক তৈরি করতে হবে।
এ ব্যক্তি ফিসি ব্যবহার করে অপেক্ষা করুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট।
শুকিয়ে গেলে হালকা রাব করে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

কার্যকারিতা

এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মুখে ব্রণ ব্রণের দাগ দূর্গত সাহায্য করে। হলুদের গোড়া এবং চন্দনের গুড়া ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৩।টমেটো ও ব্রাই ট্রেনিং মার্কসের ফেসপ্যাক

উপকরণ

  • প্রথমে একটি টমেটো লাগবে
  • এক টেবিল চামচ স্ক্রিন ক্যাফে ব্রাইটেনিং মাস্ক
  • দুই ফোঁটা লেবুর রস

তৈরির নিয়ম

এই সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে ব্যাগ তৈরি করতে হবে।
এই প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে। এরপর ১০ থেকে ১২ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

কার্যকারিতা

গরম ত্বকের উর্যতে বৃদ্ধি করতে এই প্যাকটি খুবই কার্যকরী।ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে তোকে মসৃণ ও লাবণ্যময় করে তোলে।

৪।হলুদ ও বেসনের ফেসপ্যাক

উপকরণ

  • ১/২বা ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া
  • চার টেবিল চামচ বেসন
  • দুধ অথবা পানি

তৈরির নিয়ম

হলুদের গুড়া এবং ব্যাসন একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এর সাথে দুধ অথবা পানি মিশাতে হবে।এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে বিশ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

কার্যকারিতা

হলুদে থাকা কারকিউমিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা ক্ষতিকর ফ্রী রেডিকেল থেকে তোকে রক্ষা করে। এবং এটি ব্যবহারে তোকে কোলাজিন বৃদ্ধি পায় উজ্জ্বল ও লগণ্যময় হয়।
ি

৫।শশা ও টক দইয়ের ফেসপ্যাক

উপকরণ

  • একটি ছোট শশা
  • দুই থেকে তিন টেবিল চামচ টক দই

তৈরির নিয়ম 

শসা কুচি করে এর সাথে টক দই মেশাতে হবে। এ ব্যক্তি ত্বকে রাখুন ৫-৭ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বক হবে নরম লাবণ্যময়।

কার্যকারিতা

শসাতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট জানিস প্রান তোকে প্রাণ ফিরিয়ে আনে। এ ব্যক্তির রোদে পোড়া দাগ দূর করে এবং ত্বককে নরম ও কোমল করে তোলে। এছাড়াও অতিরিক্ত তেল অপসারণ করে ত্বকের স্বাভাবিক আর দ্রুত বজায় রাখে।

৬।দুধ ও বেসনের ফেসপ্যাক

উপকরণ

  • ২ চা চামচ দুধ
  • ১ চা চামচ মধু
  • ১ চা চামচ বেসন

তৈরির নিয়ম

এই সবগুলো প্রধান একসঙ্গে মিশে প্যাক তৈরি করতে হবে। এ ব্যক্তি ত্বকে ব্যবহার করে 20 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

কার্যকারিতা

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে দুধ প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার করে আসছে। দুধু মধু তোকে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এটি সবচেয়ে দুইবার তিনবার ব্যবহার করতে পারবেন।

গরমে মেয়েদের ত্বকের যত্ন

গ্রীষ্মকালে অধিকাংশ মানুষের শরীর তেলতেলে থাকে। তাই এ সময় আলাদাভাবে ত্বকের যত্ন নেয়ার প্রয়োজন হয়। লাবণ্যময় মসৃণ ত্বক কে না চাই। সবাই সুন্দর হতে চাই। নিজের সৌন্দর্যের মাধ্যমে অন্যদেরকে ইমপ্রেস করতে চাই।আমরা সবাই সৌন্দর্যকে ভালোবাসি ।সৌন্দর্যকে ভালোবাসে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।

বিশেষ করে মেয়েরা একটু বেশি রূপচর্চা করে থাকে। তাই যারা নিজের ত্বককে বেশি ভালোবাসেন এবং নিজের ত্বকের যত্ন নিতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আমরা বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতি এবং বৈজ্ঞানিক এবং ডাক্তারি পদ্ধতিতে রূপচর্চার বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আসুন দেরি না করে গরমে মেয়েদের ত্বকের যত্নের কিছু কৌশল জেনে আসি।

১।গরমকালে ত্বক ভালো রাখার যতগুলো কৌশল বা টিপস রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করা। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে প্রতিদিন ৫থেকে ৬ লিটার পানি পান করা উচিত। এবং যতটা সম্ভব আপনার মুখে ঠান্ডা পানি ঝাপটা দিতে হবে। মুখ গরমে ঘন ঘন ঘেমে যেতে পারে তাই সব সময় মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।

২।গরমে বাহিরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। যদি আপনি ছাতা ব্যবহার করতে অস্বস্তি বোধ করেন তাহলে তার পরিবর্তে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ত্বকে ধরনের অনুযায়ী সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।

৩।এই গরমে আপনার তোকে ভালো রাখতে বরফ খুশি লাগাতে পারেন। তবে সরাসরি না লাগিয়ে কাপড় ব্যবহার করে লাগালেই ভালো। এক চামচ গোলাপ জল ও ২ চামচ পানি ব্যবহার করে বরফ তৈরি করে এটা আপনি মুখে লাগাতে পারেন। এবং এর সাথে শসা এবং তরমুজের রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক নষ্ট হবে না বরং তখন ভালো থাকবে।

৪।আমাদের দেশে অনেক মৌসুমী ফল পাওয়া যায়। এই গ্রীষ্মকালে তরমুজ পেঁপে ডাব শসা এ ধরনের ফলগুলো বেশি পরিমাণে খেতে হবে। এই ফলগুলো খাওয়ার পাশাপাশি আপনার ত্বকে মেখে নিতে পারেন। এতে করে ত্বকের বাহ্যিক দিকটা ভালো থাকবে।

৫।প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখতে পারেন। কারণ বাদাম ত্বক ভালো রাখার পাশাপাশি হাট কেউ ভালো রাখে এবং হৃদরোগের ঝুকে কামাই।

৬।হালকা কুসুম গরম পানির সাথে চকলেট মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার মুখে বয়সের সাপ করতে দেয় না। কিভাবে মেয়েরা তাদের ত্বকের যত্ন নিতে পারেন।

৭।ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চার একটি অন্যতম প্রধান উপাদান হলো হলুদ। কাঁচা হলুদ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে মুখে হলুদ লাগানোর পরে কোনভাবে রোদে যাওয়া যাবে না। এতে করে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

৮।হলুদ মেখে রোতে গেলে মুখ পুড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে বা কালো হয়ে যায়। হলুদে সরাসরি মুখে না লাগিয়ে কুসুম গরম এক গ্লাস দুধ দিয়ে দুই চাচা মোচ কাঁচা হলুদের রস খান। এর সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এটা আপনার সৌন্দর্যকে ভিতর থেকে ফুটিয়ে তুলবে।

৯।প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে একটি করে ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেতে পারেন অথবা ভিটামিন ই লাগিয়ে নিতে পারেন। ভিটামিন ই ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কারণ ভিটামিন ই ত্বক ভালো রাখে।

১০।যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত তারা ময়দার পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন। আর যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক তারা দুধের সর গোলাপের পাপড়ি আর ময়দার সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।

১১।এক চামচ গ্লিসারিন এর সাথে তিন চামচ পানি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।

১২।সব সময় নিজেকে হাসি খুশি ও টেনশন ফিরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।

১৩।গরমের সময় অতিরিক্ত মেকআপ না করাই ভালো এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই মেকআপ করার আগে মুখের ত্বকে বরফ খুশি ব্যবহার করে নিতে হবে।

১৪।এ সময় আপনি বেসন ব্যবহার করতে পারেন। তবে বেসন ব্যবহার করার কিছু নিয়ম রয়েছে। বেসনের সাথে অল্প পরিমাণে পানি এবং তার সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহার করা ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে এতে ত্বক খুবই ভালো থাকে।

১৫।আপনি গরমের সময় এবং টক দই ব্যবহার করে পেস্ট তৈরি করে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক ভালো থাকে।

লেখকের মন্তব্য

গরমের দিনে তোকে ভালো রাখা খুবই একটি চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে। তাই এ সময় নিজের সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে হলে উপরে উল্লেখিত টিপসগুলো ফলো করলে আশা করি ভালো ফল পাওয়া যাবে। তাই গরমকালে রুপ চর্চা ওগরমে মেয়েদের ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার অনেকেরই আগ্রহ থাকে। তাই আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এই টিপসগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমার এই পোস্টটি পড়েছেন আশা করি তারা উপকৃত হয়েছেন। আমার এই পোস্টটি পুরো পড়ার জন্য আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url