ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কি খাওয়াউচি

 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কি খাওয়া উচি এটা অনেকেই জানতে চাই। প্রিয় পাঠক আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ডায়াবেটিকস কি । ডায়াবেটিকস রোগের লক্ষণ। ডায়াবেটিস কত প্রকার ও কি কি, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কি খাওয়া উচিত। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কি খাওয়াউচি

ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য কোন কোন খাবারগুলো নিষিদ্ধ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই এ বিষয়গুলো জানতে হলে আমার এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়াকেই মূলত ডায়াবেটিকস বলা হয়। ডায়াবেটিকস হল শরীরের এমন একটি অবস্থা যখন আমাদের শরীরে নিজ থেকে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা তৈরি করা ইনসুলিন শরীরের কার্যকর ভাবে ব্যবহার হতে পারে না। যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাই। ইনসুলিন এর কাজ হচ্ছে মানুষের শরীরে কোষগুলোতে শর্করা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা। অর্থাৎ এটি একটি চাবি হিসেবে কাজ করে। আমরা যে দৈনন্দিন খাবার গ্রহণ করে থাকি তা থেকে যে চিনি বা শর্করা বা গ্লুকোজ পেয়ে থাকি তা রক্তের মধ্য দিয়ে বাহিত হয়ে কোষের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। তারপরে এই কোষগুলো শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি·র জন্য সে গ্লুকোজ ব্যবহার করে।

ডায়াবেটিকস কি

ডায়াবেটিকস রোগীদের কি খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে আলোচনা করার পূর্বে ডায়াবেটিকস কি তা জানা অত্যন্ত জরুরী। ডাইবেটিকস হল শরীরের সেই অবস্থা যখন অগ্নাশয় থেকে নিজে নিজে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা তৈরি হওয়া ইনসুলিন দক্ষতার সাথে ব্যবহার করতে পারে না। তখন আমাদের শরীরে শর্করা বা গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। এই ইনসুলিনের তারতোর জন্য আমাদের রক্তের শর্করার তারতম্য ঘটে। তখন শরীরে বেশ কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ

  • ঘনঘন প্রসাব হওয়া 
  •  ও পিপাসা লাগাক্ষুধার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
  • সময় মত খাওয়া দাওয়া না করলে রক্তের শর্করা কমে যাওয়া
  • মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যেতে পারে
  • কোন কারণ ছাড়াই শরীরের ওজন কমে যাওয়া
  • শরীরে কোন ক্ষত বা কাঁটা ছাড়া হলে সহজে সেটা না সারা
  • চামড়ায় খসখসে ও চুলকানি ভাব
  • মেজাজ খিটখিটে হয়েচোখে কম দেখতে পাওয়া
  •  যাওয়া এবং অল্পতেই বিরক্তি বোধ করা

ডায়াবেটিস কত প্রকার

ডায়াবেটিক প্রধানত দুই প্রকার হয়ে থাকে।
টাইপ -১ ডায়াবেটিকস
টাইপ -২ ডায়াবেটিক
গেস্টেশনাল এবং
অন্যান্য
টাইপ -১ ডায়াবেটিসের আক্রান্ত হলে নিয়মিতভাবে ইনসুলিন নেয়ার প্রয়োজন হয়। তা না হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এমনকি মারাও যেতে পারে। ৫-১০ শতাংশ মানুষ টাইপ -১ ডায়াবেটিসে সাধারণত আক্রান্ত হয়ে থাকে।

টাইপ -২ ডায়াবেটিসের সাধারণ লক্ষণ গুলো সমূহ

  • তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়া
  • ঘনঘন প্রসাব
  • খাওয়ার পরেও ক্ষুধা মেটে না
  • সামান্য কাজেই ক্লান্তি অনুভব করা অবসাদ অনুভব করা
  • স্বাভাবিকভাবে খাদ্য গ্রহণ করার পরও শরীর ওজন কমে যাবা
  • চোখে ঝাপসা দেখাবার দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া
  • চুল পড়া এবং যৌন সমস্যা দেখা দেওয়া

ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা

অনেকে জানতে চাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কি খাওয়া উচিত। তাই আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ কি খাওয়া উচিত এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবইনশাল্লাহ। একবার ডায়াবেটিস হলে তা আর পুরোপুরি ভাবে নিরাময় করা সম্ভব হয় না তবে তা নিয়ন্ত্রণে রেখে সম্পূর্ণ সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব। এর জন্য প্রথমেই আমাদেরকে জানতে হবে কি খাবার খাওয়া যাবে এবং কি খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। তাই সঠিকভাবে খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুললে ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন আমরা করতে পারি।
আসুন জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিকস রোগীর কি খাবার খাওয়া উচিত।
এই তালিকায় প্রথমেই আছে মাছ।

মাছ

খাদ্য তালিকায় প্রথমেই রাখতে পারেন মাছ।কারণ মাছ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী বিশেষ করে মাছের ওমেগা থ্রি ফাটি এসিড ইনসুলিন সংবিধানশীলতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। কারণ এতে চরবিহীন প্রোটিন রয়েছে।

সবুজ চা

সবুজ চা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কারণ সবুজ চা মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মত কাজ করে থাকে। তাই এটি ডায়াবেটিকস প্রতিরোধের সাহায্য করে।

ওয়াইল্ড স্যামন

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি অন্যতম ওষুধে খাদ্য হচ্ছে ওয়াইল্ড স্যামন।কারণ এতে উচ্চমাত্রায় ওমেগা -৩ রয়েছে। এছাড়া এতে রয়েছে ফ্যাটি এসিড। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগের পাশাপাশি কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

ডিমের সাদা অংশ

ডিমের সাদা অংশ ডায়াবেটিকস প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। কারণ ডিমের সাদা অংশে রয়েছে উচ্চ মানের চর্বিহীন প্রোটিন এবং ক্ষমতার কার্বোহাইড্রেট যা দুই ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

টক দই

টক দই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি খাদ্য। এতে চিনি পরিমাণ কম থাকাই রক্তে চিনি পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। তাই এটি দুপুরের খাবারের সঙ্গেই বা বিকেলের নাস্তাই টক দই খাওয়া যেতে পারে।তাই দই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।

সবুজ শাকসবজি

আমরা সবাই জানি সবুজ শাকসবজি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। বিশেষ করে পালং শাক পাতাকপি ফুলকপি লেটুস পাতা ইত্যাদি ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কম। তাই সবুজ শাকসবজি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

লেবু

লেবু ও লেবু জাতীয় ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন সি এর অভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যাই। তাই লেবু খেলে ভিটামিন সি এর অভাব বা ঘাটতি পূরণ হয়। যেমন জাম্বুরা কমলালেবু এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলের মত কাজ করে থাকে।

শস্য দানা

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে। কারণ শস্যদানা মানুষের শরীরে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমে যায় অন্যদিকে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

বাদাম

ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য চিনা বাদাম একটি খুবই উপকারী খাদ্য। ডায়াবেটিসের ঝুঁকির প্রায় ২১শতাংশ পর্যন্ত কমায়।তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১ আউন্স পরিমাণ আখরোট বা কাজুবাদাম রাখা উচিত। এছাড়াও নিয়মিত বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে এবং হৃদরোগের ঝুকি কামাই।

 মটরশুটি

মটরশুটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি খুবই উপকারী খাদ্য। এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ মটরশুটি খেলে দুই ধরনের ডায়াবেটিসেতে ঝুঁকি কমে। কারণ এতে উচ্চমাত্রায় শর্করা চর্বি হীন প্রোটিন এবং পাশে থাকে। যেটা শরীরের রক্তে চিনি কমাতে সাহায্য করে এবং পাশাপাশি হৃদরোগেরও ঝুঁকি কমায়।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ফল

এই ১২টি ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
  • বেরি
  • আপেল
  • নাশপাতি
  • সাইট্রাসফল
  • চেরি
  • পীচ
  • বরই
  • কিউই
  • আঙ্গুর
  • তরমুজ
  • এপ্রি কট

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শাকসবজি

আমাদের নিয়মিত ডায়েটে শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই শাকসবজি গুলো আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল ও খনিজেরঘাটতি পূরণ করে থাকে। তবে ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য সব শাকসবজি উপকারে আসে না। কিছু শাকসবজি আছে যা শরীরে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যেমন, লেডিস ফিঙ্গার বা ওকরা, করলা, ফুলকপি, এসপারাগাস টমেটো, গাজর, পালং শাক, বাঁধাকপি, কালে,ব্রকলি, ইত্যাদি তাই এ শাকসবজি গুলো নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্বপূর্ণ শাকসবজি গুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধি ওজন হ্রাস হাটের স্বাস্থ্য এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সুবিধা ও পেতে পারেন।

লেডিস ফিঙ্গার বা ওকরা

লেডিস ফিঙ্গার বা ঢেরশ একটি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (১৭-২০)সবজি যা পটাশিয়াম ভিটামিন বি এবং সি ফলেট ফাইবার এবং ক্যালসিয়ামের মত পোস্টিতে ভরপুর। লেটেস্ট ফিঙ্গার বা ঢেঁড়স এ আছে উচ্চফাইবার উপাদান উন্নত গ্লুকোজ সহনশীলতা এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা যা ডায়বেটিস চিকিৎসায় সাহায্য করে থাকে। এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে।

করোলা

করলা ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি। তবে এর তিতা স্বাদের জন্য অনেকেই এড়িয়ে চলে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে করলা রক্তে শর্করার মাত্র কমাতে খুবই উপকারী একটি সবজি। এটিতে পলিপপ টাইট -পি নামে একটি উপাদান রয়েছে যা ইনসুলিন এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।

ফুলকপি

ফুলকপি ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য খুবই চমৎকার এবং উপকারী একটি সবজি। এটি সালাত স্যান্ডউইচ বা গ্রেভি তরকারিতে ব্যবহার করা হোক না কেন পরিমাণে ফাইবার ভিটামিন সি এবং ফলিক এসিড থাকে এবং ফুলকপির উৎসব ফাইবার অস্বস্তি দূর করে এবং রক্তে সরকারের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।

অ্যাসপারাগাস

এটি ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সবজি। এতে লোহা এবং তামার জমার জন্য ব্যাপকভাবে স্বীকৃত এবং এটিতে পটাশিয়ামও রয়েছে যা ডায়াবেটিস চিকিৎসার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। অতিরিক্ত উপাদান যেমন ম্যাগনেসিয়াম ফসফেট এবং আয়রন ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

টমেটো

টমেটো ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ বাড়িদ রোগের যদি কমাতে ও সাহায্য করে। এতে ভিটামিন সি এ এবং পটাশিয়াম বেশি এবং কার্বোহাইড্রেট খুবই কম। ক্যালোরিও সীমিত। যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

গাজর

গাজর খুবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সবজি। এতে রয়েছে বিটাকা রুটিন k1এবং এ পটাশিয়াম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি। এক গবেষণা দেখা গেছে যে গাজার এই পুষ্টিগুণ টাইপ ওয়ান ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

পালং শাক

পালংশাক ডায়াবেটিকস বান্ধব সবজি হিসেবে স্বীকৃত। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যার রক্তে সরকারের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া এর পাতায় থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা সুস্থ রক্ত প্রবাহের জন্য অত্যাবশক। এছাড়াও পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তে সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।

বাঁধাকপি

বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে এবং এটি হাটের স্বাস্থ্যের উপকার করে থাকে এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই ফাইবার হজম প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে।

ব্রকলি

ব্রুকলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যাডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে । এর পুষ্টিগুণ বিশেষ টাইম টু ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে থাকে।

শসা

শসা মানুষের শরীলের জন্য খুব উপকারী একটি সবজি। এটি তরকারি খাওয়ার পাশাপাশি মানুষ সালাত হিসেবেও খেয়ে থাকে। এটি শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতেও সাহায্য করে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডাক্তাররা শসা সুপারিশ করে থাকেন। ভোজ্য উদ্ভিদের উপর গবেষণা দেখা গেছে শসা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।

লেটুস

লেটুস এ রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ। এটি পানি ও ফাইবার সমৃদ্ধ একটি সবজি। বিশেষ করে লাল পাতার লিটুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে যা দৈনিক চাহিদার চেয়েও বেশি থাকে। যা হাড়ের স্বাস্থ্য এবং রক্ত জমা করতে সাহায্য করে। ফলে লেটুস শরীরে সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।

সবুজ মটরশুটি

সবুজ মোটরসুটিতে রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে এবং পাশাপাশি একটি ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। তবে সবুজ মটরশুটি এড়িয়ে চলুন কারণ এতে সোডিয়াম বেশি থাকে। স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের সুবিধার জন্য পাস্তা সসে কাটা সবুজ মটরশুটি ব্যবহার করতে পারেন।

যে সকল শাক সবজি ডায়াবেটিক্স রোগীদের জন্য এড়িয়ে চলা উচিত

মনে রাখবেন সবজির জন্য কোন কঠোর নিজের ধাক্কা বা সীমাবদ্ধতা নেই। তবে কিছু কিছু সবজি ডায়াবেটিকস রোগীদের এড়িয়ে চলাই ভালো।
মোটামুটি সকল শাকসবজি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে কিছু শাকসবজি আছে যেগুলো ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য এড়িয়ে চলা ভালো। তবে মনে রাখবেন কোন শাকসবজি ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য কঠোর ভাবে সীমাবদ্ধতা বা নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য কিছু সবজি এড়িয়ে চলাই ভালো। নিম্নে এ ধরনের কিছু সবজি আলোচনা করা হলো।

আলু
 এ তালিকায় প্রথমে রয়েছে আলু। কারণ মিষ্টি আলু এবং তরকারি খাওয়া আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। এতে অন্যান্য সবজির চেয়ে কার্বোহাইড্রেট এর রয়েছে। সাদা আলুতে ১১১ এর Gi থাকে যেখানে মিষ্টি আলুর Gi থাকে ৯৬। উভয় আলিরই রয়েছে উচ্চ মাত্রার Gi।এগুলো খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার কমবেশি হতে পারে। তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।

মোটর

ডায়াবেটিকস থাকলে মোটর খাওয়ার পরিমাণ কমই দিতে হবে
কারণ এগুলো অতিরিক্ত ব্যবহার আপনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ ১০০ গ্রাম মোটরে প্রায় চৌদ্দগ্রাম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।

ভুট্টা

ভোটটাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার প্রোটিন এবং খনিজ রয়েছে তবে এটি উচ্চ পরিমাণে খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে পেটের গ্লাইসেমিক inte ৪৬ এটি একটি কম জিআই খাবার তৈরি করে অন্যদিকে পপকন এবং কনফে উচ্চতর জি আই যথাক্রমে 65 এবং 81 এবং এটি পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য।

শেষ কথা

দিন দিন ডায়াবেটিসের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই ডায়াবেটিকস রোগী রয়েছে। তাই অনেকেই জানতে চাই ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে কি খাওয়া উচিত। প্রিয় পাঠক আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে ডায়াবেটিকস কি খাওয়া উচিত তা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমার এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন। যারা এই পোস্টটি পড়েছেন তার অবশ্যই উপকৃত হতে পেরেছেন বলে আমি আশা করি। তাই আমাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আমার এই পোস্টটি
সবার মধ্যে শেয়ার করে দেবেন সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url