কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। একজন প্রাপ্তবয়স্কের দৈনিক প্রায় ৭-৮ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে আমাদের শারীরিক এবং মানসিক উভয়ের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়।
তাই অনেকেই প্রশ্ন করেন বা জানতে চান কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আমার এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে মনোযোগ সহকারী পড়তে হবে।
ভূমিকা
শরীরকে সুস্থ রাখতে গেলে যেমন খাবারের প্রয়োজন হয় তেমনি ঘুমের প্রয়োজন হয়। তাই একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রায় ৭-৮ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেকেরই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না। এজন্য অনেকেই প্রশ্ন করেন কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। ঘুম কম হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যেমন, মানসিক, শারীরিক, পরিবেশগত, এমনকি ভিটামিনের অভাবেও ঘুম কম হয়ে থাকে। শরীরে কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবে ঘুমের ঘাটতে হতে পারে। তাই আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ঘুম কম হওয়ার বিভিন্ন কারণ যেমন, মানসিক চাপ অনিয়মিত কাজের সময়সূচী খাদ্যাভ্যাস এবং কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। তাই এই পুরো বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমার এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
ঘুম কম হওয়ার কারণ
বিভিন্ন কারণে ঘুম কম হতে পারে। যেমন, মানসিক চাপ, কাজের পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস, ঘুমানোর পরিবেশ, শারীরিক দুর্বলতা, ভিটামিনের ঘাটতি, ইত্যাদি কারণে ঘুম কম হতে পারে। তাই ঘুম কম হলে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে ঘুম কম এর জন্য কোন কারণটা দায়ী। যদি আপনি বুঝতে পারেন যে এ কারণগুলো ঘুম কম জন্য দায়ী তাহলে আপনাকে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হওয়ার লক্ষণ
ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হচ্ছে কিনা আপনি কিভাবে বুঝবেন। এ লক্ষণগুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিনের অভাব রয়েছে। তাই এ লক্ষ্য গুলো দেখা দিলে অবহেলা না করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে আরো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক লক্ষণ গুলো কি কি।
- দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকলেও পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
- ঘুমের চক্রে ব্যাঘাত ঘটানো(অর্থাৎ বারবার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া)
- সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করা
- মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া এবং মানসিক অবসাদ অনুভব করা
- ঘুমের পরও শরীর ম্যাচ ম্যাচ করা অর্থাৎ শরীরের শক্তি না পাওয়া
ঘুমের সাথে ভিটামিনের কি সম্পর্ক
ঘুম কম হওয়ার পিছনে যে শুধু মানসিক চাপ অনিয়মিত কাজের পরিবেশ খাদ্যাভ্যাস ঘুমের পরিবেশ এ কারণগুলোই দায়ী তা নয় এর পিছনে নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিনদেরও সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের শরীরে যখন এই ভিটামিন গুলো ঘাটতি দেখা দেয় তখন আমাদের ঘুমের চক্র ব্যথাগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে ভিটামিন -ডি, বি-১২এবং ম্যাগনেসিয়াম এর অভাবে ঘুমের উপর প্রভাব পড়তে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য এই ভিটামিনযুক্ত খাবারগুলো খাওয়া উচিত।
কোন কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন হয়। এই ভিটামিন গুলো আমাদের শরীরের ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের বিভিন্ন রকম কাজ করে থাকে। এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রিয় পাঠক, ঘুম কম হওয়ার পিছনে কোন ভিটামিন গুলো দায়ী তা এখন আলোচনা করব।
ভিটামিন B1
ঘুম কম হওয়ার পিছনে ভিটামিন B12 অনেকাংশে দায়ী। কারণ ভিটামিন B12 সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রমই প্রভাব ফেলতে পারে যা ঘুমের অপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই শরীরে ভিটামিন B12 এর অভাব হলে শরীরে ক্লান্তি অস্থিরতা এবং ঘুম কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভিটামিন B6
আমাদের শরীরে মেলাটোনিন নামক একটি হরমোন রয়েছে যা ঘুমের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কিন্তু আমাদের শরীরে যখন ভিটামিন B12 ,ভিটামিন B6 এর অভাব দেখা দেয় তখন মেলাটোনিন উৎপাদন কমে যায় ফলে ঘুমের চক্র বাধা সৃষ্টি হয়। এই মেলাটোনিন হরমোন ঘুমের সংকেত দিয়ে থাকে এবং ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
ভিটামিন -D
আমাদের শরীরে ভিটামিন -D এর অভাব হলে সারকাডিয়ান রিদম বিঘ্নিত হয়। যেটা আমাদের নিদ্রা এবং জাগরণের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই আমাদের শরীরে ভিটামিন -D এর ঘাটতি হলে অনিদ্রর পাশাপাশি ঘুমের মানও কমে যায়।
ম্যাগনেসিয়াম
ম্যাগনেসিয়াম ঘুমের মানের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ম্যাগনেসিয়াম আমাদের গভীর ঘুমের জন্য দায়ী। তাই শরীরে ম্যাগনেসিয়াম এর অভাব দেখা দিলে গভীর নিদ্রা কমে যায়।তাই শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হলে অনিদ্রার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঘুমের ঘাটতি পুরানে পুষ্টিকর খাবার
ভিটামিনের অভাবে ঘুমের ঘাটতি দেখা দিলে খাদ্যভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। তাই সঠিক পুষ্টটি এবং খাদ্য অভ্যাস ঘুমের ঘাটতি পূরনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ঘুমের উন্নতি করা সম্ভব। তাই নিচে কিছু ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা দেওয়া হলো।
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার
- সামুদ্রিক বা চর্বিযুক্ত মাছ যেমন (স্যামন মাছ, টোনা ইত্যাদি)
- ডিমের কুসুম
- দুধ এবং দুধ যত পণ্য
- সূর্যমুখি বীজ
- মাশরুম
- সয়াবিন তেল
ভিটামিন B6সমৃদ্ধ খাবার
- কলা
- আলু
- বাদাম এবং বিস
- পাখি
ভিটামিন B12সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ
মাংস (গরু,হাঁস, মুরগি)
ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
- সবুজ শাকসবজি (পালং শাক, কলমি শাক ইত্যাদি)
- বাদাম
- কলা
- বিট জাতীয় খাবার (যেমন, মিষ্টি কুমড়ার বিচি,সূর্যমুখীর বিচি ইত্যাদি)
- ডার্ক চকলেট
- এভোকাডো
- ব্রকলি
- দই
- ইত্যাদি।
- তাই এই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো নিয়মিত খেলে ঘুমের মান উন্নত করে। এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয়।
ওষুধ ছাড়াও আরো কিছু প্রয়োজনীয় ব্যায়াম
ভিটামিন ছাড়া বা ওষুধ ছাড়াও ঘুমের গুনগত মান উন্নতি করার আরো কিছু কৌশল। এই কৌশলগুলো নিয়মিতভাবে অনুসরণ করলে ঘুমের মাকে উন্নত করে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে অনেক ঘুম হয়
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করতে হবে। তাই ব্যায়ামের রুটিন তৈরি করি নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করলে যেমন শরীর ভালো থাকে তেমনি মানসিক অবসাদ দূর করে এবং ঘুমের মান উন্নয়ন করে। যার ফলে নিয়মিতভাবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হয়।
সারকাডিয়ান রিদম বজায় রাখা
প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী একই সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে এবং একই সময়ে ঘুম থেকে উঠতে হবে। এতে করে সারকাডিয়ান রিদম বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই ঘুমের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করলে এবং এ রুটিন অনুযায়ী ঘুমাতে গেলে এবং ঘুম থেকে উঠলে ঘুমের মান উন্নত হয়।
মেডিটেশন ও স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
ঘুম কম হওয়ার পিছনে যে কারণগুলো দায়ী তার মধ্যে অন্যতম হলো মানসিক চাপ। তাই প্রতিদিন কিছু সময় মেডিটেশন এবং মানসিক চাপ কমানোর পদ্ধতি প্রয়োগ করে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই মেডিটেশন শরীর ও মনকে শিথিল করে এবং ঘুমের সময় মনকে শান্ত রাখে।
ঘুমের সঠিক পরিবেশ তৈরি করা
ঘুম কম হওয়ার পিছনে আরেকটি অন্যতম কারণ হলো ঘুমের সঠিক পরিবেশ। তাই ঘুমের মান উন্নত করতে হলে ঘুমের সঠিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ঘুমের সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আলো কমাতে হবে এবং যথাসম্ভব শান্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
কোন ভিটামিনের অভাবে শিশুদের ঘুম কম হয়
প্রায় প্রতিটি বাবা-মায়ের একটি অভিযোগ থাকে যে তার সন্তানেরা রাত্রে ঘুমায় না বা কম ঘুমাই। দিনের পর দিন না ঘুমানোর ফলে শিশুর মধ্যে বিভিন্ন ধনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে অল্পতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলা, খুটখিটে মেজাজ হওয়া, সঠিক সময় না খাওয়া, ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই রাত্রে সঠিক সময় খাবার খাওয়ানোর পরে রুটিন মাফিক শিশুকে ঘুম পাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এবং নিয়মিতভাবে এই পুষ্টিকর খাবার গুলো খাওয়াতে হবে
ঘুম কম হলে যেসব খাবারগুলো খাওয়াতে হবে
- দুধ
- ডিম
- কলা
- কিউই
- খেজুর
- ছোলা
- আখরোট
- ডুমুর
- মিষ্টি আলু
- বাদাম
দুধ
প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ দুধ ভালো ঘুমের জন্য খুবই উপকারী। কারণ দুধে এমাইনো এসিড থাকে যেটা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই দুধ আমাদের ঘুমের মানকে উন্নত করে।
ডিম
ডিমের পুষ্টিগুণদের কথা আমরা সবাই জানি। ডিম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডিম শুধুমাত্র উচ্চমানের প্রোটিন এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ তাই নয় এটি হলো ট্রিপটোফ্যান এর প্রাকৃতিক উতস বটে। যা এক ধরনের এমাইনো এসিড।এই এমাইনো এসিড সেরোটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে।
কলা
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপ্টোফ্যান এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। তাই এটি ঘুমাতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে ঘুমের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই আপনার বাচ্চাকে নিয়মিত কলা খাওয়াতে পারেন। আর যদি কলা খেতে পছন্দ না করে তাহলে ম্যাগনেসিয়ামের অন্যান্য উৎস যেমন, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, পালং শাক, এটা মামে এই জাতীয় খাবার গুলো খাওয়াতে পারেন।
কিউই
কিউই ভালো ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে। তাই প্রতিদিন ঘুমানোর আগে দুই থেকে তিনটি কিউই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিতভাবে ঘুমের আগে দুটি করে কিউই খাই তাদের ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ দ্রুত ঘুম আসে। তবে এই গবেষণাটি প্রাপ্তবয়স্কদের উপর করা হয়েছিল, বাচ্চাদের উপর নয়। তাই বাচ্চাদের কিউই খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
খেজুর
আপনার বাচ্চাকে খেজুর খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন। কারণ খেজুর ভালো ঘুমের পক্ষে দুর্দান্ত কাজ করে থাকে। খেজুরে ভিটামিন B6 এবং পটাশিয়াম থাকে যেটা ঘুমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ভিটামিন।
ছোলা
ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে এমাইনো এসিড, ট্রিপটোফ্যান মেলাটোনিন থাকে। এছাড়াও ছোলা ভিটামিন ভিটামিন B6 এবং সেরোটোনিন উৎপাদনের সাহায্য করে। যেগুলো ঘুমের জন্য খুবই উপকারী।
আখরোট
আখরোট মেলাটনিল হরমোনের একটি অন্যতম উৎস। যা ঘুম নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর ভ্যাট ফাইবার এবং উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন থাকে যা ভালো ঘুমের জন্য খুবই কাজ করে থাকে। তাই বাচ্চাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আখরোট রাখা উচিত।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু বাচ্চাদের খাওয়ার ঘুমের জন্য খুবই উপকারী। এমনিতেই শিশুরা মিষ্টি খেতে বেশি পছন্দ করে। তাই তাদের মিষ্টি আলু খেজুর ইত্যাদি খাওয়ানো যেতে পারে। খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম ও ভিটামিন B6 এগুলো ঘুমের জন্য খুবই ভালো। তাই নিয়ম করে মিষ্টি আলু এবং খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
শিশুদের ঘুম কম হওয়ার লক্ষণ
এ লক্ষণগুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে শিশুর ঘুম কম হয়েছে। যেমন :
দুর্বলতা ও ক্লান্তি ভাব
শরীর অতিরিক্ত দুর্বল এবং ক্লান্ত অনুভব করা এটা দেখা দিলে বুঝতে হবে শিশুর শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে। এছাড়াও মাংসপেশিতে ব্যথা যেকোনো কারণে শিশুর মনোযোগ না দেয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
ফ্যাকাসে ত্বক
যদি দেখেন যে শিশুর শরীরের ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে গেছে তাহলে বুঝতে হবে ভিটামিন -D এর অভাব রয়েছে। ভিটামিন -D কোষ ভালো রাখতে কাজ করে। তাই সূর্যের আলো থেকেভিটামিন -D নিতে পারেন অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন -D খাওয়াতে পারেন।
খাদ্যে অনীহা
এছাড়া ঘুম কম হওয়ার আর একটি লক্ষণ হল খাদ্যে অনীহা। ভিটামিন -D এর অভাবে শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে শিশু সব সময় ক্লান্তি অনুভব করতে থাকে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং খাবারে অনিহা দেখা দেয়। এর ফলে ওজনে কমে যেতে পারে।
শেষ কথা
আমাদের শরীরের একটি অপরিহার্য উপাদান। তাই প্রতিদিন আমাদের পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের শরীর মন কোন কিছুই ভালো থাকে না। ঘুম কম বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তাই অনেকেই প্রশ্ন করে বা জানতে চাই কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। তাই প্রিয় পাঠক, আজ আমি আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ঘুম কম হওয়ার বিভিন্ন কারণ যেমন, কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়, শিশুদের কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়, ঘুম কম হলে কোন কোন খাবারগুলো খেতে হবে, খাদ্য তালিকায় কি কি পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের চলাফেরার মধ্যে কি কি পরিবর্তন আনতে হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাই যারা আমার এই পোস্টটি পুরোপুরি পড়েছেন আশা করি তারা অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url