প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায়
প্রসবের জ্বালাপোড়া বা(urinary Tech infection) রোগে ভোগে নাই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। এটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে হতে পারে আবার শরীরে পানি স্বল্পতার কারণে হতে পারে।
তাই আমাদের মাঝে অনেকেই প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। তাই প্রিয় পাঠক,আজ আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় মহিলাদের প্রসবের রাস্তায় জ্বালাপোড়ার ঔষধ ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবে ইনশাল্লাহ।
ভূমিকা
প্রসবের জ্বালাপোড়া শব্দটির সাথে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। এটা নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে হতে পারে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই অনেকেইপ্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। আসলে প্রসবের জ্বালাপোড়া কোন রোগ নয়। এটি কোন রোগের উপসর্গ মাত্র। তবে এটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। যেমন, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনের কারণে হতে পারে আবার ছত্রাক বা ফাঙ্গাস দ্বারা আক্রান্ত হলেও এ সমস্যা হতে পারে।
এমনকি শরীরে পানির স্বল্পতার কারণে এমনটা হয়ে থাকে। তাই আজ আমি আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় মহিলাদের প্রসাবে রাস্তায় জ্বালাপোড়া কমানোর ওষুধ, প্রসবের জ্বালাপোটার কারণ লক্ষণ এবং ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবেন ইনশাআল্লাহ। তাই এই পুরো বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
প্রসবের জ্বালাপোড়া কারণ
বিভিন্ন কারণে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে। সবার একই কারণে প্রসাবে ইনফেকশন হয় না। একেকজনের একেক রকম কারণে প্রসবের ইনফেকশন হয়ে থাকে। তাহলে আসুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক প্রসবের জ্বালাপোড়া করার বিভিন্ন কারণ সমূহ।
- আমি পূর্বেই বলেছি প্রসাবের জ্বালাপোড়া হওয়ার অন্যতম কারণ হলো পর্যাপ্ত পানির অভাব। আমরা অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করি না। কিন্তু এ পানি আমাদের দেহের বেশিরভাগ রোগ নিরাময় সাহায্য করতে পারে। আর এই পর্যাপ্ত পানির অভাবে দেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন প্রসবের জ্বালাপোড়া হতে পারে, আবার কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
- নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি হয়ে থাকে এবং নারীদের জন্য এটা বেশ কষ্টদায়ক। কারণ মেয়েদের পায়ুপথের খুব কাছেই মূত্রনালী অবস্থিত। যে কারণে পায়ুপথের মাধ্যমে অনেক ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস মূত্রনালীতে খুব সহজে প্রবেশ করতে পারে এবং আক্রমণ করে থাকে ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়।
- নারীদের প্রসবের জ্বালাপোড়া করার আর একটি অন্যতম কারণ হলো মাসিক বা পিরিয়ড। প্রত্যেক মাসেই একটি নির্দিষ্ট সময়ে মেয়েদের এ পিরিয়ড হয়ে থাকে। এ সময় মহিলারা কাপড় বা ন্যাপকিন ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু অনেক মহিলায় রয়েছে বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের মহিলারা এগুলো ব্যবহার করার পূর্বে ভালো্ট করে পরিষ্কার করা বা জীবানু মুক্ত পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করে না। ফলে বিভিন্ন রোগ জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালীতে প্রবেশ করে এবং মূত্রনালীকে আক্রমণ করে থাকে। এর ফলে প্রসবের জ্বালাপোড়া হতে পারে।
এ ছাড়া আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন,
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার অভাব
- নিয়মিতভাবে যৌনাঙ্গ পরিষ্কার ও শুকনা রাখা
- যেকোনো কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে
- মূত্রনালী বাধাপ্রাপ্ত হলে যেমন :কিডনিতে পাথর হলেপ্রসাবের জ্বালাপোড়া হতে পারে।
- এছাড়াও টাইপ টু ডায়াবেটিকস হলে অথবা এইচআইভি আক্রান্ত হলে
- গর্ভবতী হলে
- মূত্রথলি পুরোপুরি বা সম্পন্ন খালি করতে বাধা সৃষ্টি করে এমন রোগ বালাই যেমন, পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া, শিশুদের ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য বা স্নায়ুতন্ত্রের কোন অসুখ হলে
- পিরিয়ড বা মাসিক চিরতরে বন্ধ হয়ে গেলে। এটা কি আবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে মেনোপজ বলা হয়ে থাকে।
- অসতর্কভাবে যৌন সহবাস করলে
- প্রসবের রাস্তায় নল বা ক্যাথেটার পরানো থাকলে ইত্যাদি কারণে প্রশাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে।
ইউরিন ইনফেকশনের বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম।
- প্রসব করার সময় ব্যথা অথবা জ্বালাপোড়া অনুভব করা
- সাভাবিকের চেয়ে ঘনঘন প্রসাব হওয়া
- দিনের চেয়ে রাতে প্র্রসাব বেশি আসা
- অস্বাভাবিক গন্ধ যুক্ত বা ঘোলাটে প্রসাব হওয়া
- তলপেট ব্যথা হওয়া
- অনেক সময় প্রসাবের সাথে রক্ত আসা
- হঠাৎ করে প্রসবের বেগ আসা কিন্তু বেগ ধরে রাখতে না পারা
- কমরের পিছনের অংশে ব্যথা হওয়া
- জ্বর আসা অথবা গা গরম গরম লাগা এবং শরীরে কাঁপুনি আসা
- অতিরিক্ত ক্লান্তি ও বমি বমি ভাব লাগা
- শরীরে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৯৬. ৮ডিগ্রি ফারেনহাইটের চেয়ে কম হওয়া।
আবার বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই সাধারণ লক্ষণগুলো পাশাপাশি নিম্নের এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে যেমন,
- মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া
- ঠিকমতো বা সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না কার
- শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
- ঘনঘন প্রসাব করা কিংবা হঠাৎ বিছানায় প্রসাব করতে শুরু করা
- বমি হওয়া
প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায়
এখন আমরা আলোচনা করব বা জানবো প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।আর দেরি না করে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
প্রসাবের জ্বালাপোড়া হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ইউরিন ইনফেকশন রোধ করতে হলে পানির কোন বিকল্প নেই। পানি বা তরল জাতীয় খাবার প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এতে ঘনঘন প্রসাব হবে এবং প্রসাবের সাথে সাথে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস বের হয়ে যাবে। ফলে প্রসাবের জ্বালাপোড়া দূর হবে। এছাড়াও আপনি খুব তাড়াতাড়ি নিরাময়ের জন্য হালকা গরম পানি খেতে পারেন।
শাকসবজি
প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর আরেকটি কার্যকারী ঘরোয়া উপায় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খাওয়া। শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর রয়েছে যা দেহের ভিটামিনের অভাব পূরণের পাশাপাশি দেহের ভিতরের অপ্রয়োজনীয় পদার্থগুলো বের করে দে। ফলে প্রসবের জ্বালাপোড়া দূর হয়। তাই প্রসবের জ্বালাপোড়া কমাতে প্রচুর পরিমাণে টাটকা সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।
গরম চাপ
গরমচাপ ইউরিন ইনফেকশন বা প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। হট ওয়াটার ব্যাগ বা কাপড় গরম করে তলপেটে এবং এর আশেপাশে এবং কমরের নিচে সেক দিলে ব্যথা কমে যায়। এতে করে তলপেটের ব্যথা দূর হওয়ার পাশাপাশি প্রসাবের জ্বালাপোড়াও কমে যায়।
পানি শূন্যতা দূর করা
ইউরিন ইনফেকশন বা প্রসাবের জ্বালাপোড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে পানি শূন্যতা। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পেলে ইনফেকশন হতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। দৈনিক কমপক্ষে৭-৮ লিটার পানি পান করতে হবে। এছাড়া তরল জাতীয় খাবার ও ফল বেশি পরিমাণে খেতে হবে। যেমন ডাব, আঙ্গুর, তরমুজ, লেবুর শরবত ইত্যাদি খাবারগুলো বেশি পরিমাণে খেতে হবে। এতে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি প্রসবের ইনফেকশন দূর হবে এবং প্রসবের জ্বালাপো কমে যাবে।
দই
প্রসবের জ্বালাপোড়া কমাতে দই কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। কারণ টক দই এবং মিষ্টিতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া থাকে। এ ব্যাকটেরিয়া গুলো দেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করে এবং জীবানু দূর করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১-২ কাপ দই রাখতে হবে।
লেবু পানি
লেবুর রস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমাতে লেবু মিশ্রিত পানি পান করতে হবে। তাই প্রতিদিন সকালে উঠে হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এক চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এভাবে নিয়মিত পানি পান করলে প্রসবের জ্বালাপোড়া কমে যাবে। কারণ লেবুর রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এটি সব ধরনের সংক্রামন প্রতিরোধ করতে কাজ করে। এছাড়াও লেবুর রসে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট হয়েছে যা প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। এবং শরীরের অপ্রয়োজনীয় পদার্থগুলো বের করে দেয়।
ডাবের পানি
ডাবের পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে প্রসাবের জ্বালাপোড়া হলে এটি দূর করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কারণ ডাবের পানি পান করলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ব্যালেন্স ঠিক রাখে। পাশাপাশি আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে কাজ করে এই উপাদানটি। তাই নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে প্রসবের জ্বালাপোড়া কমে যায়।
শসার রস
ইউরিন ইনফেকশন বা প্রসবের জ্বালাপোড়া কমানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান হলো শসা বা শসার রস। কারণ সশাতে রয়েছে বিভিন্ন উপকারী উপাদান। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি প্রসবের বিভিন্ন ইনফেকশন বা জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। শসার সালাদ বা জুস তৈরি করে এর মধ্যে সামান্য মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
ক্র্যাননেরি জুস
ক্র্যাননেরি জুস ইউরিন ইনফেকশনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কারণ ক্র্যানারিতে এমন যৌগও রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়াকে মূত্রনালীর সাথে লেগে থাকতে বাধা দেয়। যার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।
ব্রেকিং সোডা
ব্রেকিং সোডা প্রসাবের ইনফেকশন বা জ্বালাপোড়া কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করতে হবে।কারণ বেকিং সোডা প্রসবের অম্লতা নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে এবং প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরার রস
প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমাতে অ্যালোভেরার রস খাওয়া যেতে পারে। অল্প পরিমাণে খাঁটি এলোভেরা রস নিয়মিত পান করলে প্রসাবের জ্বালাপোড়া উপশম হয়।
কঠোর সাবান এড়িয়ে চলতে হবে
বেশি ক্ষার যুক্ত বা কঠোর সাবান ব্যবহার করা যাবে না। এটি যৌনাঙ্গের চারপাশে ব্যবহার করলে জ্বালাপোড়া আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই অধিক ক্ষার যুক্ত সাবান ব্যবহার করা যাবে না।
টাইট বা পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে
টাইট বা আটোসাটো পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে। ঢিলে ঢালা পোষাক পড়তে হবে যাতে করে বাইরের বাতাস সহজেই চলাচল করতে পারে। এতে করে প্রসাবের এলাকায় জ্বালাপোড়া কম হবে।
মহিলাদের প্রসবের রাস্তায় জ্বালাপোড়ার ঔষধ
মহিলাদের প্রসাবের রাস্তায় জালাপোড়ার বিভিন্ন কারন রয়েছে।যেমন ,পানির সল্পতা,প্রিয়রডের সময় অনেক সময় প্রসাবের জালাপোড়া হতে পারে।তাই মেয়েদের প্রসাবের জালাপোড়া কমানোর উপরের ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে যদি জালাপোড়া না কমে তাহলে ডাক্তারের পর্মশ অনুযায়ী এই এ্যান্টিব্যয়োটিক গুলো খাওয়া যেতে পারে।যেমনঃ
- Amoxicillin,
- ciprofloxacin,
- Ampicilin
- Cefroxime.Etc.
উপরের উল্লেখিত ঔষধ গুলো অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।
শেষ কথা
অনেকেই প্রসশ্ন করেন যে প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো কি।তাইপ্রিয় পাঠক আপনারা যদি আমার এই পোষ্টিটি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে এতক্ষনে প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায় প্রসবের জালা পোড়ার লক্ষন,জালাপোড়ার কারন ইত্যাদি সর্ম্পকে জেনে গেছেন।কারন আমারএই পোষ্টে এই সম্পুর্ন বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।উপরে উল্লেখিত ঘরোয়া উপায়গুলো প্রাথামিক চিকিৎসা হিসাবে প্রয়োগ করতে পারেন ।এতে যদি ভাল না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।ধন্যবাদ।আল্লহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url