মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা বা কুফল ও সুফল
প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম, আমার আজকের পোষ্টের বিষয় হল মোবাইল ফোন। আমাদের মধ্যে অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা বা কুফল ও সুফল সম্পর্কে জানতে চাই।
তাই আজ আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা বা কুফল ও সুফলসম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। তাই এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যার যতগুলো বিষময় কর আবিষ্কার রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল মোবাইল ফোন বা মুঠো ফোন। যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনের সাথে আত্মপ্রত্য ভাবে জড়িত। তাই বর্তমানে মোবাইল ফোন ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা ভাবাই যায় না। এই ক্ষুদ্র যন্ত্রটির সাহায্যে আমরা মুহূর্তের মধ্যেই আমাদের বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি খুব সহজে। কাউকে আর চিঠি লিখে চিঠির উত্তরের আশায় বসে থাকতে হয় না।
এখন ইচ্ছে করলেই মুহূর্তের মধ্যেই এক দেশ থেকে অন্য দেশের খবরা খবর নেয়া যায়। ১৯৭৩ সালে মার্টিন কুপার নামক এক গবেষক এই বিষময় কর মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন। মোবাইল আবিষ্কারের পর থেকে এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিটি জিনিসেরই যেমন সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে তেমনি মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। তাই আমাদের মাঝে অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা বা কুফল ও সুফল সম্পর্কে জানতে চাই। তাই আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এই পুরো বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা বা কুফল ও সুফল
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের নাম হলো মোবাইল ফোন। বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু হয়তোবা আমরা অনেকেই মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানিনা। তাই আমাদের মাঝে অনেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা বা কুফল ও সুফল সম্পর্কে জানতে চাই। তাই আস দেরি না করে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা বা কুফল ও সুফল সম্পর্কে জেনে নিই।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা বা সুফল
প্রিয় পাঠক, প্রথমেই আমরা জানবো মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা বা সুফল সম্পর্কে।
যোগাযোগ
যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য ও বিপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে মোবাইল ফোন। আমরা এখন ইচ্ছা করলেই মোবাইলের একটি বাটনে টিপ দিলেই মুহূর্তের মধ্যে এক দেশ থেকে অন্য দেশের খবরা খবর নেয়া যায়। পরিবার বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন ও সহকর্মীদের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। তাই মোবাইল ফোন আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে খুবই সহজ করে দিয়েছে।
ব্যবসার প্রসার
ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ব্যবসায়ীরা খুব সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। ফলে ব্যবসায়িক বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করা সহজ হয়। এমনকি মোবাইল শিল্পেও অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেকেই মোবাইল ফোনের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছে।
অবস্থান ট্রাকিং
অবস্থান ট্রেকিং এর ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। স্মার্ট ফোনগুলো( GPS)ডিভাইসের মতো কাজ করে। তাই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে আপনি এখন কোথায আছেন তা ট্রাকিং করে খুব সহজেই অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। এটা বিশেষ করে ড্রাইভার বা পর্যটকদের জন্য খুবই উপকারী।
বিনোদন
বিনোদন আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের কর্মব্যস্ততার পরে যে অবসর সময়টুকু থাকে আমরা বিভিন্নভাবে বিনোদন করে থাকে। যেমন টেলিভিশন দেখা, খেলাধুলা করা, বই পড়া ইত্যাদি। আর এই কাজটি খুব সহজ করে দিয়েছে স্মার্ট ফোন। কারণ এখন এই স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে আপনি চাইলে গান শুনতে পারেন, বিভিন্ন ভিডিও দেখতে পারেন এমনকি গেম খেলতে পারেন।তথ্য আদান-প্রদান
মোবাইল ফোনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা বা সফল হচ্ছে তথ্য আদান প্রদান। পূর্বে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সাধারণত চিঠি ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন খুব সহজেই মুহূর্তের মধ্যে এক স্থান থেকে তথ্য অন্য স্থানে স্থানান্তর বা আদান প্রদান করা যায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। এর মধয় রয়েছে, অডিও কল, ভিডিও কল, মেসেজিং, বিভিন্ন অ্যাপস, ইত্যাদির মাধ্যমে খুব সহজেই তথ্য আদান প্রদান করা যায়।
সামাজিকতা রক্ষায়
মোবাইল ফোন সামাজিকতা রক্ষায় অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করে থাকে। কর্ম ব্যস্ততার কারণে আমাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধের যাওয়ার সুযোগ হয় না। ফলে তাদের সাথে সম্পর্কের একটি ঘাটতি দেখা দেয়। কিন্তু মোবাইল ফোন আবিষ্কারের পরে খুব সহজেই ঘরে বসেই তাদের খোঁজখবর নেয়া যায়। ফলে আত্মীয়তা রক্ষার পাশাপাশি সামাজিকতা ও রক্ষা পাই।
মোবাইল ফোন দিয়ে ইনকাম
মোবাইল ফোনের আরেকটি ভালো দিক বা সুবিধা হচ্ছে ঘরে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। ঘরে বসেই স্মার্ট ফোন দিয়ে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন কাজ করার মাধ্যমে যেমন ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। তাই স্মার্টফোনের মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে খুব সহজেই ইনকাম করা সম্ভব।
মোবাইল ফোন দিয়ে চাকরি বিজ্ঞাপন জানতে পার
বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞাপন দেখার ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে খুব সহজেই সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন চাকরির খবরে খবর পাওয়া যায়।
মোবাইল ফোন দিয়ে সময় দেখা
মোবাইল ফোনের আরেকটি সুবিধা বা সুফল হল সময় দেখা। পূর্বে মানুষ সময় দেখার জন্য ঘড়ি ব্যবহার করত। এই ঘড়ি ব্যবহার করাটা অনেকেই অস্বস্তি অনুভব করত। এখন খুব সহজেই মুঠোফোন বা স্মার্টফোন দিয়ে সময় দেখা যায়। এক্ষেত্রে আর বাড়তি টাকা ব্যয় করে ঘড়ি কেনার প্রয়োজন হয় না।মোবাইল ফোন দিয়ে ক্যালেন্ডার হিসাব জানা
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এখন ক্যালেন্ডারের দিন তারিখ দেখা যায়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এখন মাসিক এবং বাৎসরিক ক্যালেন্ডার এর দিন ও তারিখ খুব সহজেই সঠিক এবং নির্ভুলভাবে পাওয়া যায়। তাই দিন তারিখ নির্ণয়ের জন্য অতিরিক্ত কোন ক্যালেন্ডারের প্রয়োজন হয় না।
মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তোলা
মোবাইল ফোন আবিষ্কারের পূর্বে মানুষের সুন্দর মুহূর্তগুলো ধরে রাখার জন্য ক্যামেরা ব্যবহার করতেন। যেটা খুব অ্যাভেলেবল ছিল না। তাই এখন মানুষের জীবনের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত বা ঘটনা ফ্রেমবন্দি করে রাখার জন্য ছবি তুলে থাকেন। যেটা এখন খুব সহজেই মোবাইল ফোনে থাকা ক্যামেরার মাধ্যমে তোলা সম্ভব।
মোবাইল ফোন দিয়ে গান শোনা
আমরা বিনোদনের জন্য গান শুনে থাকি, মোবাইল আবিষ্কারের পূর্বে, আমরা রেডিও, ক্যাসেট টেলিভিশন ইত্যাদি ব্যবহার করে গান শুনতাম। কিন্তু এখন খুব সহজেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, গান শোনা ভিডিও দেখা, কুরআন শরীফ তেলাওয়াত শোনা যাই।
মোবাইল ফোন দিয়ে মেইল পাঠানো
আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে, যেমন, অফিসের কাজে, বা ব্যক্তিগত কোন তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ইমেইল ব্যবহার করে থাকি। আর এই ইমেল সাধারণত আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে আদান-প্রদান করে থাকে।এক্ষেত্রে মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই ইমেল আদান প্রদান করা যায়।
পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া
বর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব। কারণ মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে খুব সহজেই বিভিন্ন ক্লাসের পড়াশোনা বা ক্লাস করা যায়। তাই এই স্মার্ট ফোন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
মোবাইল ফোন দিয়ে খবরে কাগজ পোড়া
নিয়মিত খবরে কাগজপাড়া অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে। তাই যারা দৈনিক খবরের কাগজ পড়ে থাকেন তারা খবরের কাগজ বিক্রেতার কাছ থেকে দৈনিক খবরের কাগজ ক্রয় করে পড়ে থাকেন। কিন্তু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এখন খুব সহজেই অনলাইনে সার্চ দিয়ে দৈনিক খবরের কাগজ পাওয়া যায় খুব সহজেই। এতে করে সময় এবং অর্থের অপচয় রোধ হয়।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের অসুবিধা বা কুফল
খরচ
মোবাইল ফোনের একটি অন্যতম অসুবিধা হচ্ছে খরচ। কারণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি মোবাইল ফোন কিনতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে একটি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে। এবং এর সাথে ফোনে কথা বলার জন্য রিচার্জ করতে হয়, ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য ইন্টারনেট প্যাক কিনতে হয়। এক্ষেত্রে অর্থের অপচয় ঘটে।
স্বাস্থ্য সমস্যা
এছাড়াও স্মার্টফোন ব্যবহারের আরেকটি অন্যতম কুফল বা অসুবিধা হলো স্বাস্থ্য সমস্যা। মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে যেমন, ব্রেনের ক্ষতি করে, চোখের নানা সমস্যা দেখা দেয়, এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটে। তাই আমাদেরকে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ডেটা চুরি
আপনার স্মার্টফোনে আপনার বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য, ভিডিও প্রোফাইল ইত্যাদি থাকতে পারে,। আর এই ডেটা গুলো খুব সহজেই একজন ইচ্ছে করলে এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে স্থানান্তর করতে পারে। তাই মোবাইল ফোন বা স্মার্ট ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সজাগ থাকতে হবে।
প্রিয়জনদের থেকে দূরত্ব সৃষ্টি
মোবাইল ফোনের আর একটি অসুবিধা হচ্ছে প্রিয়জনদের কাছ থেকে আলাদা করে ফেলা বা দূরত্ব সৃষ্টি করা। বিভিন্ন কর্মব্যস্ততার কারণে এখন আর সশরীরে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যাওয়া হয় না। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করা হয়,খোঁজখবর নেয়া হয়। ফলে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে একটি সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
গোপনীয়তা
মোবাইল ফোনের মধ্যে আমাদের ব্যক্তিগত অনেক তথ্যই থেকে থাকে। এছাড়া আমাদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন ছবি বা সেলফি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে থাকি। এতে করে আমাদের গোপনীয়তা বজায় থাকে না।
মোবাইল ফোন ব্যবহারে শিশুদের উপর একটি ক্ষতিকর প্রভাব বা কুফল বা অসুবিধা
টিউমার
অতিরিক্ত স্মার্ট ফোন ব্যবহারের ফলে শিশুদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এমনকি শিশুদের টিউমার পর্যন্ত হতে পারে। শিশুদের উপর স্মার্টফোনের বিকিরণের প্রভাব বোঝার জন্য এক গবেষণা করা হয়েছিল।এখন শিশুরা তাদের দেহের পরিবর্তন এবং বড় ধরনের মধ্য দিয়ে চলছে। যেসব শিশুরা তাদের কানের কাছে ফোন রেখে ঘুমাই গান শুনে এক্ষেত্রে মস্তিষ্কের অঞ্চলে আন্টি ম্যালিগলেন্ট টিউমার হওয়ার অনেক সম্ভাবনা থেকে যাই।
কারণ এখনো তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গুলো শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি। মস্তিষ্কের মত অঙ্গ, হাড়,টিস্যু ইত্যাদি এই আবরণ গুলো পাতলা। ফলে মোবাইল ফোন থেকে নির্গত ৬০% রেডিয়েশন শোষণ করে নে। ফলে এই ক্ষতিকর রেডিয়েশন মানুষের শরীরে অনেক প্রভাব ফেলতে পারে। কখনো কখনো সরাসরি স্নায়ুতন্ত্র কেউ প্রভাবিত করে। তাই অবশ্যই স্মার্ট ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিভাবকের সচেতন থাকতে হবে।
মস্তিষ্কের ক্রিয়া কলাপের সমস্যা
মোবাইল ফোন গুলোতে প্রাথমিকভাবে যোগাযোগের জন্য বৈদ্যুতিক চুম্বকীয় তরঙ্গগুলো কাজ করে। আর এই তরঙ্গগুলো খুব সহজেই শিশুদের মস্তিষ্কের ভিতরের অংশগুলোতে প্রবেশ করতে পারে কারণ তাদের মস্তিষ্কের রক্ষাব্যবস্থা খুব শক্তিশালী হয় না। এর ফলে শিশুদের মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
একাডেমিক পড়াশোনার ক্ষতি সাধিত হয়
একাডেমিক পড়াশোনার ক্ষতি সাধিত হয়। কারণ অনেক শিশুই পড়াশোনা বাদ দিয়ে ফোন দিয়ে বিভিন্ন কার্টুন দেখে বা গেম খেলে থাকে। ফলে শিশুরা দিনে দিনে মোবাইল ফোনের দিকে আকৃষ্ট হতে থাকে। স্কুল বিরতির সময় বা অনেক সময় ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কার্টুন দেখে, গেম খেলে, বা বন্ধু বান্ধবের সাথে চ্যাটিং করে থাকে। তাই মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার না করলে শিশুরা পড়াশোনা থেকে ছিটকে পড়তে পারে।
বিদ্যালয়ে অন্যায়
পড়াশুনা ফাঁকি দেয়ার পাশাপাশি এই স্মার্ট ফোনগুলো শিশুদের বিভিন্ন অন্যায় মূলক কার্যকলাপের সাথে লিপ্ত করছে। তারা দিন দিন বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অন্যায় মূলক কাজের সাথে জড়িত হয়ে পড়ছে।ফলে তারা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে না পেরে পড়াশোনা থেকে ছিটকে পড়ছে।
ঘুমের সমস্যা
স্মার্টফোনের আরেকটি কুফল বা অসুবিধা হলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা। অনেক সময় শিশুরা স্মার্টফোন পেলে, সারা রাত জেগে, বিভিন্ন গেম খেলে, বন্ধু বান্ধবের সাথে কথা বলে বা চ্যাটিং করে থাকে। ফলে তাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। আর ঘুম কম হওয়ার কারণে তাদের শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে।
মেডিকেল ইস্যু
শিশুরা সারাক্ষণ ঘরে বসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে তারা বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়ায় অংশ নেয় না এবং বাইরের তাজা বাতাস পাই না। ফলে তারা শারীরিকভাবে ওমানসিকভাবে ক্ষতি সাধিত হয়। যার ফলে ডায়াবেটিকস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ হতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য
বর্তমান ইন্টারনেটের যুগ। আট ইন্টারনেটের এই যুগে খুব সহজেই শিশুরা সাইবার অপরাধের কাছাকাছি আশতে পারে ফলে তাদেরকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে হ্যারাস করে থাকে। যার ফলে তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং হতাশাগ্রস্থ হয়।
অনুপযুক্ত মিডিয়া
শিশুরা অল্প বয়সে মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার কারণে তারা মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার জানে না। যার ফলে ভুল উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে।এর ফলে তারা বিভিন্ন রকম গেম এবং অন্যান্য অসামাজিক মূলক ভিডিও গুলো দেখতে পাই এবং এগুলো অন্যের কাছে শেয়ার করে। ফলে তাদের মধ্যে রুচির এবং চিন্তার পরিবর্তন আসে। যার ফলে তারা খুব সহজেই বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িয়ে পড়ে। যেটা তাদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
মন্তব্য
উপসংহারে আমরা বলতে পারি, মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মানকে যেমন উন্নত এবং সচ্ছল করেছে তেমনি যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও বিপ্লবিক পরিবর্তনের এনেছে।কিন্তু মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার সর্ম্পকে অনেকেই জানেনা ।তাই অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা বা কুফল ও সুফল সর্ম্পকে জানতে চাই।কারন মোবাইল ফোনের সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধা বা কুফলও রয়েছে অনেক।এইটা বিশষ করে কিশোর বা ছাত্র সমাজ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে।ফলে সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে।তাই আমাদেরকে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা বা কুফল ও সুফল সর্ম্পকে সঠিক ধারনা দিতে হবে।সবাইকে অনেক ধন্যবাদ এতক্ষন আমার সাথে থাকার জন্য।আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url