চোখ উঠলে করনীয় ১০ টি ঘরোয়া চিকিৎসা


প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম, আশা নয়,বিশ্বাস, আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আজকে আমরা জানবো একটি সমস্যার সমাধান অর্থাৎচোখ উঠলে করনীয় ১০ টি ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।
চোখ উঠলে করনীয় ১০ টি ঘরোয়া চিকিৎসা

আজ আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমেচোখ উঠলে করনীয় ১০ টি ঘরোয়া চিকিৎসা ,এবং চোখ উঠার লক্ষণ চোখ কেন ওঠে,কিভাবে বুঝব চোখ উঠেছে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। তাই বিস্তারিত জানতে হলে খুব মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমার এই পোস্টটি পড়তে হবে।

ভূমিকা

চোখ উঠা একটি সাধারণ রোগ। জীবনে একবারও চোখ উঠে নাই এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। চোখ উঠার অপর নাম হচ্ছে কনজাংটিভাইটিস অর্থাৎ চোখের কনজাংটিভাই ইনফেকশন ।এটা ছোট বড় সবারই হতে পারে। এটা একটি ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের একজন সদস্যের চোখ উঠেছে কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সদস্যেরা আক্রান্ত হয়নি এমন ঘটনা দেখা যায় না। তবে চোখ উঠলে ভয়ের কোন কারণ নেই। এটা সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাই। বিশেষ করে আমাদের দেশে শীতকালে এ রোগ বেশি দেখা দেয়। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চোখ উঠার বিভিন্ন ড্রপ বা মলম ট্যাবলেট ইত্যাদি অনেকে ব্যবহার করে থাকেন। তবে আজ আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে চোখ উঠলে করনীয় ১০ টি ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করবেন ইনশাল্লাহ।

চোখ উঠলে করনীয় ১০ টি ঘরোয়া চিকিৎসা

আসুন জেনে নেয়া যাক চোখ উঠলে করনীয় ১০ টি ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।

সানগ্লাস

আমি আগেই বলেছি চোখ উঠা একটি ছোয়াছে রোগ। পরিবারের একজন সদস্যের চোখ উঠলে অন্যদের ওঠার সম্ভাবনা থাকে। তাই আক্রান্ত চোখ নিয়ে খালি চোখে বাহিরে যাওয়া ঠিক নয়। বাহিরে বিভিন্ন ধুলাবালি রোদ ইত্যাদি চোখে লাগতে পারে এতে চোখ জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই বাহিরে যাওয়ার সময় অবশ্যই সানগ্লাস পড়তে হবে।

নোংরা পানি ও ধুলাবালি থেকে সাবধান

আক্রান্ত চোখে অবশ্যই যেন নোংরা পানি ধুলাবালি দূষিত বাতাস যেন চোখে প্রবেশ না করতে পারে সেদিকে অবশ্য লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে সকালে উঠে পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে হবে। কিন্তু বারবার পানি ঝাপটা দেয়া বা ঘনঘন পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা মোটেও ঠিক নয়।

তুলা বা সাদা পরিস্কার কাপড়

একটু সাদা তুলা বা সুতি কাপড় হালকা গরম পানিতে ডুবিয়ে চিপে নিয়ে আলতো করে ওই কাপড় বা তুলা দিয়ে আক্রান্ত চোখের পাতা ও পাপড়ি পরিষ্কার করতে হবে। এটা দিনে কয়েকবার করা যেতে পারে। এভাবে সেক দেয়ার কয়েক মিনিট পরে তুলা বা সুতি কাপড় বরফ বা ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে সেক দেয়া যেতে পা

চোখ উঠলে করনীয় ১০ টি ঘরোয়া চিকিৎসা

আসুন জেনে নেয়া যাক চোখ উঠলে করনীয় ১০ টি ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।

সানগ্লাস

আমি আগেই বলেছি চোখ উঠা একটি ছোয়াছে রোগ। পরিবারের একজন সদস্যের চোখ উঠলে অন্যদের ওঠার সম্ভাবনা থাকে। তাই আক্রান্ত চোখ নিয়ে খালি চোখে বাহিরে যাওয়া ঠিক নয়। বাহিরে বিভিন্ন ধুলাবালি রোদ ইত্যাদি চোখে লাগতে পারে এতে চোখ জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই বাহিরে যাওয়ার সময় অবশ্যই সানগ্লাস পড়তে হবে।

নোংরা পানি ও ধুলাবালি থেকে সাবধান

আক্রান্ত চোখে অবশ্যই যেন নোংরা পানি ধুলাবালি দূষিত বাতাস যেন চোখে প্রবেশ না করতে পারে সেদিকে অবশ্য লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে সকালে উঠে পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে হবে। কিন্তু বারবার পানি ঝাপটা দেয়া বা ঘনঘন পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা মোটেও ঠিক নয়।

তুলা বা সাদা পরিস্কার কাপড়

একটু সাদা তুলা বা সুতি কাপড় হালকা গরম পানিতে ডুবিয়ে চিপে নিয়ে আলতো করে ওই কাপড় বা তুলা দিয়ে আক্রান্ত চোখের পাতা ও পাপড়ি পরিষ্কার করতে হবে। এটা দিনে কয়েকবার করা যেতে পারে। এভাবে সেক দেয়ার কয়েক মিনিট পরে তুলা বা সুতি কাপড় বরফ বা ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে সেক দেয়া যেতে পারে

সাবধানতা

এ সময় চোখের উপর চাপ পড়ে এমন কোন কাজ করা ঠিক নয়। যেমন বেশিক্ষণ কম্পিউটার বা মোবাইল টিপা ছোট ছোট লেখা , ড্রাইভিং করা , সেলাই করা,ইত্যাদি মোটেও ঠিক নয়।

চোখ উঠার আরো কিছু চিকিৎসা বা সতর্কতা

  • চোখ উঠা একটি ছোঁয়াচে রোগ। তাই চোখ উঠা ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা যাবেনা এবং তার ব্যবহার্য রুমাল কাপড় চোপড় তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না।
  • হাত দিয়ে চোখ চুলকানো উচিত নয়। কারণ চোখে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু থাকতে পারে এতে করে চোখ আরো বেশি আক্রান্ত হতে পারে।
  • রোগীকে বাহিরে যাওয়ার সময় অবশ্যই কালো চশমা বা সানগ্লাস পরতে হবে।
  • রোগীকে অবশ্যই ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। অর্থাৎ যেখানে মানুষের চাপ বেশি সেসব স্থানে না যাওয়ায় ভাল।
  • সাদা তুলা বা পরিষ্কার সুতি কাপড় দিয়ে চোখ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • চোখ মোছার সময় আলাদা আলাদা কাপড় ব্যবহার করতে হবে।

চোখ উঠা রোগের ড্রপ

  • অনেক সময় ভাইরাসের আক্রমণের পরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটে। এ সময় ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক চোখের ড্রপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিম্নে কিছু ড্রপের নাম দেয়া হলো
  • যেমন মক্সিফ্লোক্সাসিন
  • সিপ্রোফ্লক্সাসন
  • টোব্রামাইসিন
  • আফলাক্সাসিন
  • গ্যাটিফ্লক্সাসিন
  • আর্টিফিশিয়াল টিয়ার ইত্যাদি।

এলার্জির জন্য চোখের ড্রপ

  • কেটোরোলাক
  • ওলাপাটাডিন
  • বেপোটাস্টাইন
  • সোডিয়াম ক্রোমোগ্লাইকেট

চোখের শুষ্কতার জন্য ড্রপ

এইচপি এমসি+গ্লিসারিন
পলিথিন গ্লাইকল+প্রোপিলিন+প্রোপিলিন গ্লাইকন
সোডিয়াম Hay

কিভাবে বুঝবেন আপনার চোখ উঠেছে

চোখ ওঠার অনেকগুলো কারণ রয়েছে তার মধ্যে অপরিষ্কার বা নোংরা জীবন যাপন করা চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। চোখ উঠলে সাধারণত চোখ লাল হয়ে যায়। আর এমনটি হওয়ার কারণ কনজাংটিভার রক্তনালীর প্রদাহর কারণে। ফুলে বড় হয়ে যায় এবং রক্ত প্রবাহ বেড়ে যাই। এবং ঘুম থেকে ওঠার পরে চোখ আঠা আঠা লাগে চোখের উপরের পাতা নিজের পাতার সাথে লেগে যায়। সব সময় মনে হয় চোখের ভিতরে কিছু পড়ে আছে। চোখ চুলকায় এবং জ্বালাপোড়া করে আলোর দিকে তাকানো যায় না সবকিছু ঘোলা ঘোলা লাগে চোখ দিয়ে পানি পড়ে চোখের কোনায় ময়লা জমে চোখ ফুলে যায় ইত্যাদি লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে।

চোখ উঠার আরো কিছু লক্ষণ

  • চোখ উঠলে সাধারণত চোখ লাল হয়ে যায়। প্রথমে একচোখ লাল হতে পরে পরে আবার অন্য ছোখ লাল হয়।
  • চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে
  • চোখ ব্যথা করে
  • চোখের পাতা ফুলে যাই
  • চোখের পিচটি হয়
  • চোখ হালকা জ্বালাপোড়া করতে পারে।
  • চোখ ঋাপসা লাগে ঝাপসা লাগে

আপনি কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন

  • এসব লক্ষণ গুলো দেখা দিলে অবশ্যই একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। যেমনঃ
  • যদি চোখের খুচখুছে ভাবটা বেশি হয় এবং বেশি পরিমাণে কেতুর জমে চোখের ঝাপসা দেখা তাহলে অবশ্যই একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • শিশু এবং বড়দের ক্ষেত্রে রোগী চিকিৎসা প্রায় একই রকম, তাই শিশুদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া অবশ্যই উত্তম।
  • যদি বেশি পরিমাণে চোখ ফুলে যায় এবং কনজাংটিভায় পানি জমে তাহলে অবশ্যই একজন চোক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
  • কারো কারো ক্ষেত্রে চোখ দিয়ে রক্ত পড়ে এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
  • স্বাভাবিকভাবে চোখ লাল হলে বা চোখ দিয়ে অল্প পরিমাণে পানি পড়লে সাত দিন অপেক্ষা করতে হবে। তারপর যদি ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

মন্তব্য

চোখ উঠ বা কনজাংটিভাটিস একটি সাধারণ রোগ। অনেক সময় এটি সাত থেকে দশ দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তাই এ রোগ হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অনেকেই আবার ভয় পেয়ে যান কি করবেন ভেবে পান না। প্রিয় পাঠক, তাই আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমেচোখ উঠলে করনীয় ১০ টি ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেছি। হয়তোবা ইতিমধ্যে আপনারা তা জেনে গেছেন। তাই ভয় না পেয়ে উপরে উল্লেখিত ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো অ্যাপ্লাই করলে আশা করি ভালো ফল পাবেন। আমার এই পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই সবার মাঝে শেয়ার করে দেবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url