স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির কিছু ঘরোয়া কৌশল
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যেতে থাকি। এটা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এই ভুলে যাওয়ার পরিমাণটা যখন বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে তখন স্বাভাবিক জীবন যাপনে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তখন এটাকে বলা হয় ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রোম।
তাই অনেকেই জানতে চান স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর কৌশল।প্রিয় পাঠক, আজ আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির কিছু ঘরোয়া কৌশল নিয়ে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ। তাই মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার এই পোস্টটি পড়তে হবে।
ভূমিকা
অনেক মানুষ আছে যাদের স্মৃতিশক্তি অনেক কম। খুব সহজেই অনেক কিছু ভুলে যাই। অনেকেই সারারাত জেগে পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করেন কিন্তু পরীক্ষার হলে গেলে সবকিছু ভুলে যান। এটাকে সাভাবিক ভাবে বলা হয় ভুলে যাওয়া রোগ বা স্মৃতি ভ্রম। তাই অনেকেই স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক রকম কৌশল প্রয়োগ করে থাকেন। প্রিয় পাঠক, আজ আমি আলোচনা করতে চলেছি, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির কিছু ঘরোয়া কৌশল।তাই আশা করি এগুলো জানতে আমার এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। যেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির কিছু ঘরোয়া কৌশল
বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকবে এটা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটা কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। কিন্তু অল্প বয়সে যদি স্মৃতিশক্তি অনেক কমে যায় তখন এটা একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। এটা কোন ভাল লক্ষণ নয়। যেটা স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই স্মৃতিশক্তিটি ধরে রাখা খুবই জরুরী আর এই স্মৃতি শক্তি ধরে রাখতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়। তাই শুধু কৌশল বা অনুশীলনের মাধ্যমেই নয় বিভিন্ন ধরনের খাবারও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন ধরনের খাবার
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন,
জামের মিল্ক শেক
দুধের উপকারিতার কথা আমরা সবাই জানি। এই দুধের সাথে জাম মিশিয়ে মিল্কি শেক তৈরি করতে হবে। এই মিল্ক শেখ প্রতিদিন এক গ্লাস করে খেলে মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এই জাম ব্লাড প্রেসার এর পরিমাণ ঠিক রাখে। এবং পাশাপাশি কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দে।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেটে প্রায় ৭০ শতাংশ পরিমাণ কোকোয়া থাকে। যেটা ধমনীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটা শুধু ওজন কমাতে সাহায্য করে না স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে থাকে। গ্রিন টি তে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট। আর এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। ইহা ছাড়াও এই অবদানটি নিউরো ট্রান্সমিটারের ক্রিয়া কোলাপ বাড়িয়ে দে। ফলে উদ্বেগ এবং অতিরিক্ত মেজাজ কমে। এবং সেই সাথে স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায়
কফি
কফিতে রয়েছে ক্যাফিন এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যেটা মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও মনোযোগ বৃদ্ধি মন ভালো রাখতে এবং কর্মদক্ষতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও ক্যাফিন সাহায্য করে।
বাদাম
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির অন্যতম কার্যকরী উপাদান হতে পারে বাদাম। কারণ বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই যা স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে দেয় না বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। যেমন, কাঠবাদাম ,আখরোট ভিটামিন- ই এর অন্যতম উৎস। তাই সকাল কিংবা বিকেলের নাস্তায় বাদাম রাখা যেতে পারে।
তৈলাক্ত মাছ
মানব শরীরে যে পরিমাণ ফ্যাটি এসিড দরকার সে পরিমাণ উৎপন্ন হতে পারে না। তাই বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিট গ্রহণ করতে হয়। যেমন -স্যামন,সারডিন,সহ মিঠা পানি এবং সামুদ্রিক মাছ থেকে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড গ্রহণ করা যেতে পারে। এগুলো স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ব্রকলি
ব্রকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং গ্লুকোসিনোলেটস। যা নিউরোট্রান্সমিটার,এসে টাইকো লাইন ভেঙ্গে শক্তি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। যেটা আবার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতা পরিচালনা করতে এবং স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখতে সহযোগিতা করে।
টমেটো
টমেটোতে লাইকোপেন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।যেটা কোষের রেডিকল খয় প্রতিরোধ করে। ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন সালাত হিসাবে টমেটো খেতে পারেন।
পালং শাক
আমরা জানি সবুজ শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আর বিশেষ করে পালং শাকে ভিটামিন ই থাকে। যেটা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ডিম
ডিমের পুষ্টি গুণের কথা কে না জানে। বিশেষ করে ডিমের কুসুমে কোলিন নামক এক ধরনের অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান থাকে যা কোষে সংকেত পৌছাতে সাহায্য করে। ফলে স্মৃতি শক্তি বেড়ে যায়।
কুমড়ার বীজ
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কুমড়োর বীজের তুলনা হয় না। কারণ একমুঠো কুমড়ার বীজে থাকে জিংক যেটা স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও কুমড়োর বিজে ভিটামিন বি ট্রিপ্টোফেন পাওয়া যায়।
কিছু ফল স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী। কারণ এখন কম্পিউটার এবং কম্পিটিশনের যুগ চলতেছে। তাই সকল বাবা-মাই চাই তাদের শিশুদের স্মৃতিশক্তি কিভাবে তীক্ষ্ণ হবে। স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করার অনেকগুলো পদ্ধতি বা উপায় রয়েছে তার মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট ফল রয়েছে যেগুলো খেলে স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ হয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি এই ফলগুলো খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। নিম্নে কিছু ফল উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- কমলালেবু
- আপেল
- বিট রুট
- চেরি
- কলা
- ডালিমের রস
- কাজুবাদাম
- স্ট্রবেরি
যুক্তরাষ্ট্রের হারভারড বিশ্ববিদ্যালয়র এক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব নারী সপ্তাহে অন্তত এক কাপ পরিমাণ স্ট্রবেরি ও ব্লব্রেরি খেয়ে থাকেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্য যারা খান না তাদের তুলনায় আড়াই বছর ধীর হয়ে থাকে।
কমলালেবু
আমরা জানি কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যেটা মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন আমাদের খাবার তালিকায় কমলালেবু রাখা উচিত।
আপেল
প্রতিদিন আপেল খেলে স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায়। কারণ আপেলে রয়েছে কোয়ার সেটটির নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটা নিউরনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
বিটরুট
বিট রুট আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিটরুট এর মধ্যে থাকা উপাদান শরীরের ভেতরের অতিরিক্ত টনিক অপসারণ করে দেযে ।এছাও এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম সহ অনেক পুষ্টি উপাদান যেটা আমাদের মস্তিষ্ক সতেজ সুস্থ ও ভালো রাখতে সাহায্য করে।
চেরি
চেরি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কারণ চেরিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুস্তিষ্ক সহ শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল থেকে রক্ষা করে থাকে।কলা
কলা আমাদের একটি দেশীয় ফল যা বারোমাসি পাওয়া যায়। কলা খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কলাতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা মস্তিষ্কের স্নায়ুর কাজ কে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
ডালিমের রস
মস্তিষ্ক ভালো রাখতে ডালিমের রসের তুলনা হয় না। কারণ ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়াও ডালিম ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক রাখে যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে দে। প্রতিদিন দুপুরে খাবারের আগে বা পরে ডালিমের শরবত খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ স্বাভাবিক সতেজ থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
কাজুবাদাম
কাজুবাদাম পুষ্টিগুণী ভরপুর একটি খাবার। কাজুবাদাম যদি আপনি প্রতিদিন খান তাহলে আপনার মস্তিষ্ক সতেজ থাকবে এবং স্মৃতিশক্তি বেড়ে যাবে। আপনি যদি পড়াশোনা করেন তাহলে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে কাজু বাদাম খেতে পারেন। এতে শরীরকে ভালো রাখার পাশাপাশি মস্তিষ্কেও কেউ তীক্ষ্ণ
করে তোলে। ফলে স্মরণশক্তি বেড়ে যায়।
ব্যায়াম
শরীর ও মন সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। আমরা সবাই জানি ব্যায়াম করলে আমাদের পেশী মজবুত হয়। এই ব্যায়াম এর প্রভাব শুধু শরীরেরই পড়ে না বরং মস্তিষ্ককেও প্রভাবিত করে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যায় ফলে ব্রেনের কার্য ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন সকালবেলা উঠে একটু একটু হাটাহাটি করলে ব্রেনের কোষের সংখ্যা বেড়ে পায়।
মেডিটেশন
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে মেডিটেশন খুবই ভালো কাজ করে। এটা নিয়মিতভাবে করতে হবে। অনেকেই কিছুদিন করার পরে যখন ভালো ফলাফল পাইনা তখন ধৈর্য হারিয়ে মেডিটেশন করা বন্ধ করে দেয়। যেটা মোটেও ঠিক নয়। এর ফলাফল পেতে হলে কিছুটা সময় ধৈর্য সহকারে প্রতিদিন মেডিটেশন করতে হবে।
গান শোনা ও বই পড়া
প্রতিদিন একটু করে বই পড়া যেমন, ধর্মীয় বই,পবিত্র কুরআন শরীফ, এবং অন্যান্য ধর্মালম্বীদের যে বইগুলো রয়েছে সেগুলো প্রতিদিন একটু একটু করে পড়া। কারণ এগুলো পড়লে ব্রেন সক্রিয় হয় এবং মন মেজাজ ফ্রেশ থাকে। এছাড়াও আপনি চাইলে পছন্দমত গান শুনতে পারেন। কারণ গান ব্রেন কে খুব দ্রুত সক্রিয় করে তোলে।
পর্যাপ্ত ঘুম
শরীরের একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হচ্ছে ঘুম। শরীরে প্রয়োজন অনুযায়ী ঘুম না হলে দিনে দিনে স্মৃতিশক্তি কমে যায়। কারণ প্রতিদিন আমরা যে কাজকর্ম করি এর ফলে যে মস্তিষ্কের ক্ষয় হয় ঘুমের মধ্য দিয়ে তা দূর হয়। তাই মস্তিষ্ককে ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।
খাদ্যাভ্যাস
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়। প্রতিদিনের খাবার রুটিনে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রাখতে হবে। যেমন বাদাম, দুধ , ডিম ,মাখন , মাছের , তেল ইত্যাদি। কারণ এই খাবারগুলো স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে এবং বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনি অমেগা -৩ খেতে পারেন এটি ফ্যাটি এসিডের একটি অন্যতম উৎস, যা মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে থাকে।
এছাড়াও যে খাবারগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে সে খাবার গুলো বেশি বেশি খাওয়া। যেমন রঙ্গিন শাকসবজি ও ফলমূল,ইত্যাদি খেতে হবে। চিনি, ও চিনি জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
নতুন নতুন কিছু করা
প্রতিদিন একই ধরনের একই রুটিনে কাজ করা ভালো লাগেনা। তাই ব্রেনও অনেক সময় ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে না। তাই জীবন যাত্রায় কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা দরকার। যেমন অবসর সময়ে পরিবারের সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। কোথাও ভ্রমণ বা নতুন স্থানে ঘুরে বেড়ালে মাইন্ড ফ্রেশ হয় এবং স্মৃতিশক্তি বেড়ে যাই। এছাড়াও আপনি নতুন নতুন ছবি আঁকা শেখা, নতুন নতুন ভাষা রপ্ত করা, বিভিন্ন ধরনের রান্না করা, ফুলের বাগান করা ইত্যাদি কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন। কারণ নতুন নতুন কাজের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি থাকে এবং ব্রেনও সতেজ ও সক্রিয় হয়।
মনে রাখার উপায়
পড়া মনে রাখার কিছু ট্রিক্স রয়েছে। যেমন পড়া মনে রাখার সঠিক সময় হচ্ছে ভোরবেলা। সারারাত ঘুমিয়ে থাকার ফলে ব্রেন সতেজ থাকে। তাই সকাল বেলা পড়াশোনা করলে বা কোন কাজ করলে খুব সহজেই স্মৃতিতে ধরে রাখে। এছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ নোট করে রাখা যেতে পারে। এছাড়া আপনি ডাইরি লেখার অভ্যাস করতে পারেন এতেও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। আমরা যদি কোন কিছু লিখি তাহলে সেটি ব্রেন খুব সহজে ধরে রাখতে পারে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বর্তমান যুগে সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে নলেজ বা জ্ঞান। যার যত বেশি জ্ঞান রয়েছে সে তত বেশি শক্তিশালী। তাই জ্ঞান বৃদ্ধি করতে এবং ধরে রাখতে মস্তিষ্ককে ভালো রাখার কোন বিকল্প নেই। তাই এ মস্তিষ্কে ভালো রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে কিছু খাবার এবং প্রেমের কোন বিকল্প নেই। তাই আজ আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির কিছু ঘরোয়া কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি এগুলো আপনারা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করলে লাভবান হবেন। যদি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অনুরোধ রইলো এ পোস্টটি সবার মাঝে শেয়ার করে দিবেন। এবং আমার এই পোস্ট সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমিটির মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url