ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়এবংওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

বর্তমান বিশ্বে নীরব ঘাতক হিসাবে ডায়াবেটিস পরিচিত।ডায়াবেটিকস আসলে কোন রোগ নয়। সাধারণত শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকে ডায়াবেটিস বলা হয়। দিন দিন ডায়াবেটিকস রোগের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়এবংওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
অনেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই কিন্তু তারা ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়এবংওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে জানেনা। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে।

ভূমিকা

ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়এবংওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে আমাদের মাঝে অনেকেই জানতে চাই।সাধারণত গ্লুকোজের তারতম্যের কারনেই ডায়াবেটিকস হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে ইনসুলিন নামক একপ্রকার হরমোন রয়েছে যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আর এ গ্লুকোজ আমাদের দেহের প্রধান চালান হিসেবে কাজ করে থাকে। এই গ্লুকোজ ব্যবহারের জন্য শরীরে ইন্সুরেন্স এর প্রয়োজন হয়।

আর যখন আমাদের দেহে ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যায় তখন ডাইবেটিক্স আক্রান্ত হয়ে থাকে। আর এই ডাইবেটিস হলে আমাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতিসাধন হতে পারে যেমন, হার্ট, কিডনি,চোখ, নার্ভ ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক, তাই আমার এই পোস্টের মাধ্যমে ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়এবংওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহ। আর এ পুরো বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়তে হবে।

ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ

ডায়াবেটিসের অনেক প্রকারভেদ থাকলেও গবেষকরা ডায়াবেটিকসকে প্রধানত দুইটি ভাগে ভাগ করেছেন। যেমন টাইপ -১ এবং টাইপ -২ ডায়াবেটিকস। এছাড়াও আরো কি ডায়াবেটিস রয়েছে যেমন, প্রিডায়াবেটিক ডায়াবেটিকস,জেস্টেশনাল ডায়াবেটিক ডায়াবেটিকস (গর্ভকালীন ডায়াবেটিকস) তাদের মধ্যে অন্যতম।

টাইপ -১ ডায়াবেটিকস

যখন আমাদের শরীরের নিজস্ব এন্টিবডি অগ্নাশয় কে আক্রমণ করে তখন টাইপ -১ ডায়াবেটিস কন্ডিশন দেখা দেয়। অগ্নাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ইনসুলের উৎপাদন কমে যাই। এছাড়াও আমাদের জিন (যেটা বংশগতির ধারক ও বাহক) এ ধরনের ডায়াবেটিসের জন্য অনেকাংশে দায়ী। টাইপ -১ ডায়াবেটিস হলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। টাইপ -১ ডায়াবেটিস সাধারণত শিশু এবং যুবকদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে।

টাইপ -২ ডায়াবেটিকস

টাইপ ট-২ এই ডায়াবেটিসটি বেশি দেখা যায়। টাইপ -২ডায়াবেটিস হলে আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পরীমানে ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না বা তৈরি হলেও সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর প্রায় ৯৫ ভাগই টাইপ -২ ডায়াবেটিসের অন্তর্ভুক্ত। অতিরিক্ত অলসতা এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়। টাইপ -২ ডায়াবেটিক্স সাধারণত মধ্যবয়স্ক এবং বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তাই এ ডায়াবেটিস কে এডাল্ট হ্যান্ডসেট ডায়াবেটিকস ও ইনসুলিন রেজিস্টার ডায়াবেটিকস ও বলা হয়ে থাকে।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমরা জানলাম ডায়াবেটিকস কি, ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ ইত্যাদি সম্পর্কে এখন আমরা জানবো ডায়াবেটিসের লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে। তাই আসুন দেরি না করে লক্ষণ গুলো জেনে নিন।
  • ঘনঘন প্রসাব, (রাতে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে) হতে পারে।
  • ঘন ঘন পানির পিপাসা লাগতে পারে
  • শরীরের ওজন কমে যাওয়া
  • ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • হা্তে ও পায়ের অনুভূতি কমতে থাকা
  • শরীরে অতি্রিক্ত ও ক্লান্তি অনুভব হওয়া
  • ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
  • শরীরে কোথাও কেটে গেলে বা ক্ষত হলে সহজে না সারা
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
  • এছাড়াও টাইপ -১ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বমি ভাব এবং পেট ব্যথা হতে পারে।

ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার কারণ

  • বিভিন্ন কারণে রক্ত সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো নিম্নে দেওয়া হল। যেমন,
  • মানসিক চাপ
  • যে কোন অসুস্থতা
  • অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ
  • শরীরের ব্যায়াম না করা
  • নিয়মিত ডায়াবেটিসের ওষুধ না খাওয়া
  • নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ সেবন করা (যেমন :স্টরয়েড জাতীয় ওষুধ অতিরিক্ত সেবা করা)
  • রক্তে সুগারের মাত্রা অতিরিক্ত কমে গিয়ে হাইপো লাইসেমিয়া হলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়এবংওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

দিন দিন ডায়াবেটিকস রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে।তাই অনেকেই ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় এবংওষধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চায়। তাই এখন আমি এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়

যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের অনেক কিছুই মেনে চলতে হয়। যেমন খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে হাঁটা চলাফেরা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা নিষেধ মেনে চলতে হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাই তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যেমন কিডনি হার্ট মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই অনেকেই ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাই।

আদা

ডায়াবেটিস কমাতে আদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদা আমাদের দৈনন্দিন রান্নার কাজে মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই আদার রয়েছে নানা রকম গুন।আদা আমাদের শরীরের শর্করার মাত্রা কমায় এবং পাশাপাশি ইন্সুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখ। চায়ের সাথেও আপনি আদা খেতে পারেন। আশা করি এতে ভালো ফল পাবেন।

আমলকি

আমলকির রস ডায়াবেটিস কমানোর অন্য তম একটি ঘরোয়া উপায়। কারণ আমলকিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।এইএ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে।তাইঔষধখাওয়ার পাশাপাশি আমলোকির রস নিয়মিত পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

করলা

করলা আমরা সবজি হিসাবে রান্না করে খেয়ে থাকি।ডায়াবেটিস কমাতে এই করলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ করলাতে রয়েছে চ্যারিটিন এবং মোমোরডিসিন নামক দুইটি উপাদান। যেটা রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা নিয়মিত খালি পেটে করলার রস খেতে পারেন। পাশাপাশি তরকারি হিসেবেও করলা খেতে পারেন। নিয়মিতভাবে করলা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে।

চর্বিযুক্ত মাছ

চর্বিযুক্ত মাছ ডায়াবেটিকস কমাতে সাহায্য করে।যে সকল মাছ খেলে ডায়াবেটকস কমে তার মধ্য স্যামন মাছ,সার্ডিন হেরিং ইত্যাদি।এছাড়াও এই সব মাছে রয়েছে ওমেগা -৩ ,ফ্যাটি এ্যাদসিড,যা ডায়াবেটিকস কমানোর পাশাপাশি হিদ রোগের ঝুকি কমায়।

জাম

যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা অনেকই জানেনা যে কোন ফল খাওয়া যাবে আর কোন ফল খাওয়া যাবে না।ডায়াবেটিস হলে সব ফল খাওয়া যায় না কারন কিছু ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) অনেক বেশি থাকে। কিন্তু যে ফলটি আপনি চোখ বন্ধ করে খেতে পারেন তা হলো জাম।বিশেষ করে জামের গুড়া বেশি করে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়।

শাকসবজি

মাছ মাংসের পরিবর্তে নিয়মিতভাবে সবজি খেতে হবে এতে করে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন বাড়বে না এবং শরীর সুস্থ থাকবে। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টাটকা শাকসবজি রাখতে হবে।

ভিটামিন সি

প্রতিদিন ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার , খাবার তালিকা রাখতে হবে। তাহলে হাট, চোখ এবং শরীর সুস্থ থাকবে।

ডিম

ডিমের পুষ্টিগুণ্ডের কথা আমরা সবাই জানি। ডিম শরীরের পুষ্টির চাহিদা পুরনের পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডিম সেদ্ধ করে খাওয়াই ভালো।

ডুমুর

ডুমুর ডায়াবেটিকস রোগিদের জন্য খুবই কার্যকরি একটি ফল।করন ডুমুরে ফাইবারের পরিমান বেশি যা রক্তের শর্করার পরিমান কমাতে সাহায্য করে থাকে।এক গবেষনায় দেখা গেছে ডুমুরে হাইগ্লাইসোমিক উপাদান রয়েছে যা ডায়াবেটিকস কামাতে সাহায্য করে থাকে।

মটরশুটি

আপনি নিয়মিত মটরশুঁটি খেতে পারেন। কারন মটরশুঁটিতে গ্লাইসেমির ইনডেক্সর পরিমান কম থাকে। সে সাথে শরীরের পুষ্টির চাহিদা পুরন করে থাকে। মটরশুঁটির পাশাপাশি খেতে পারেন ব্রকোলি। কারন এতে কার্বহাইড্রট একেবারেই নেই। বরং পুষ্টি গুণে পরিপূর্ন।

টক দই

টকদই ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। রাক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, ওজন কমাতে এবং হৃদ ত রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিতভাবে আপনি টক দই খেতে পারেন।

চিয়া সীডস

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতেও চিয়া সীড কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিতভাবে এটি খেতে পারলে শরীরের বিভিন্ন রকম উপকারে আসে।

আমের পাতা

আপনি জানেন কি আমের পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাজা আমের পাতা নিয়ে রোদে শুকিয়ে গুড়া করে নিতে হবে। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে পানির সাথে মিশিয়ে পান করতে হবে। আমের পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং ট্যানিন থাকে যা শক্তি শালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ডায়াবেটিকস কমাতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

দারুচিনি

যাদের টাইপ-২ডায়াবেটিকস রয়েছে দারুচিনি তাদের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। কারণ এটি অগ্নাশয় এর ইনসুলিন উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং রক্তের শর্করার লেভেল কমাই। এই দারুচিনি আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন যেমন দারুচিনির গুঁড়া চা, পানি বা অন্য পানীয়ের সঙ্গে মিশেও খেতে পারেন।

অ্যালোভেরা

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ রাখতে অ্যালোভেরা জেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ অ্যালোভেরা জেল শক্তিশালী ফাইটোস্ট্যারলস নামক উপাদান রয়েছে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও টাইপ -২ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, হলুদ, তেজপাতা ও অ্যালোভেরা জেল। এইচ এল পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুইবার পান করতে পারেন।

মেথি

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেথি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি পরিষ্কার গ্লাসে ২ টেবিল চামচ মেথি বীজ ভিজে রাখতে হবে সারারাত। সকালে এই মেথিবীজসহ পানি পান করতে হবে। এই বীজ ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়া এতে উচ্চ মাত্রার ফাইবার রয়েছে স্টাচকে গ্লুকোজে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়।

ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

অতিরিক্ত ওজন কমে ফেলতে হবে

শরীরের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তাই যত দ্রুত সম্ভব শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে হবে। এক গবেষণা দেখা গেছে শতকরা ৭-১০ভাগ বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেললে ডায়াবেটিকস কমে যায়। তাই ডায়েট কন্ট্রোলের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম ব্যায়ামও করতে হবে।

শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়াতে হবে

অলসভাবে বসে না থেকে শারীরিক পরিশ্রমের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কারণ কায়িক শ্রম ওজন কমাতে ইনসুলিন এর প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীর ও মন সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

অ্যারোবিক এক্সারসাইজ

দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট বা সপ্তাহে ১৫০ মিনিট, দ্রুত হাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, দৌড়াদৌড়ি করা ডায়াবেটিস কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

রেজিস্ট্রেন্সএক্সারসাইজ

সপ্তাহ দুই থেকে তিনবার এই কাজগুলো করতে পারেন। যেমন ভারউত্তোলন,ইয়াগো ইত্যাদি। অলস ভাবে বসে না থেকে এই ব্যায়ামগুলো করতে পারেন। এতে শরীর ভালো থাকার পাশাপাশি রক্তে মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

খাদ্যঅভ্যাসে পরিবর্তন

খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন, বেশি মসলা ও তেল যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। বীজ এবং সিম জাতীয় খাবার,যেমন, ব্রুকলি, ডিম, টক দই, ফুলকপি, বাঁধাকপি, চামড়া ছাড়া পল্টি মুরগি, টফি, টুনা মাছ, সারডিন মাছ,সালমন মাছ,কডমাছ,বেরি জাতীয় ফল, যেমন, আপেল, লেবু, কলা, কমলা, বাদাম, ইত্যাদি ডায়াবেটিকস কমানোর জন্য খেতে পারেন।

ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে

ধূমপান মদ্যপান এবং অ্যালকোহল জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। কারণ এই জাতীয় খাবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এবং ইনসুলিন রেজিস্তেন্সে সাহায্য করে থাকে। তাই এ জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।

বেশি বেশি পানি পান করতে হবে

ডায়াবেটিকস রোগীদের কে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। বেশি বেশি পানি পান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কামাতে সাহায্য করে।

মানসিক চাপ কমাতে হবে

নিজেকে যতটা সম্ভব মানসিক চাপমুক্ত রাখতে হবে। কারণ শারীরিক মানসিক চাপ ডায়াবেটিসের ঝুঁকে বাড়িয়ে দেয়। তাই মানসিক চাপমুক্ত রাখতে। গান শোনা মেডিটেশন, পছন্দের কাজ করা ইত্যাদিভাবে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে।

চিনি মুক্ত পানি পান করা

চিনি যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। চিনিযুক্ত পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এতে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

নিয়মিত পর্যবেক্ষণ

নিয়মিতভাবে ডায়াবেটিকস চেকআপ করতে হবে। কারণ রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে হাইপো হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই খাবার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে ডায়াবেটিকস চেক করতে হবে।

শেষ কথা

ডায়াবেটিকস বা বহুমূত্র রোগ আমাদের দেশে বেড়েই চলেছে। কিন্তু অনেকেই জানে না ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়এবংওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে। তাই প্রিয় পাঠক আজ আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এই পুরো বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এ পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন আশা করি তারা উপকৃত হয়েছেন। আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমার এই লেখাটি সার্থক হবে। অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url