ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
আমাদের মধ্য অকেই জানতে চাই ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সর্ম্পকে।তাই আজ আমি ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা,ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুন,ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।তাই এই পুরো বিষয়টি সর্ম্পকে জানতে হলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।ড্রাগন একটি বিদেশি ফল হলেও এটি দেখতে যেমন চমৎকার তেমনি খেতেও সুস্বাদ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই ড্রাগন ফল আবার পিতায়া নামেও পরিচিত।
এটি মেক্সিক, মধ্যে আমেরিকা, এবং দক্ষিণ আমেরিকার স্থানীয় ও ফল। এটি বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে তবে ড্রাগন ফল উজ্জ্বল গোলাপী বা হলুদ ত্বক এবং কালো বীজ যুক্ত সাদা শাসযুক্ত,একটি ফল।ড্রাগন ফলের হালকা মিষ্টি স্বাদ রয়েছে। এটা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়, আপনি চাইলে কাঁচা বা রান্না করে খেতে পারেন, এছাড়াও আপনি জুস বানিয়ে খেতে পারেন।
ভূমিকা
ড্রাগন ফল শুধু দেখতে চমৎকার নয় খেতে ও সুস্বাদ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি রূপকথা বা গল্প কাহিনীর ড্রাগন নয় এটি বাস্তব একটি ফল। এটি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এর ওপরের খোসা লাল বা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে এবং ভিতরে দিকটা সাদা এবং লাল বর্ণের হয়।এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে সেই সাথে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষের ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। তাই ড্রাগন ফল আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শরীরকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রিয় পাঠক, আজ আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা, ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আর এ পুরো বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে এ পোস্টটি পড়তে হবে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
ড্রাগন ফল একটি বিদেশি ফল হলেও এখন আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে চাষ হচ্ছে। এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল। এটি দেখতেও যেমন সুন্দর খেতেও তেমনি সুস্বাদু। তাই আমাদের মাঝে অনেকে জানতে চাই ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তাই প্রথমে আমি ড্রাগন ফলের উপকারিতা গুলো আলোচনা করবো ইনশাল্লাহ।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
ড্রাগন ফল ডাইবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ড্রাগনের রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ইন্সুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এবং ড্রাগন ফল একটি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল যা রক্তের সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ড্রাগন ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ড্রাগন ফলে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড,ফেনোলিক এসিড এবং বিটাসায়ানিন যেটা ফ্রি রেডিকেল দ্বারা ক্ষতি প্রতিরোধ করে থাকে। আর এ ফ্রি রেডিকেল এমন একটি পদার্থ যা ক্যান্সার এবং অকাল বার্ধক্য সৃষ্টিকারী করে। তাই ড্রাগন ফল এই ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল গুলো শরীর থেকে বের করে দেয় এবং ক্যান্সারের ঝুকি কমাই।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
ড্রাগন ফল হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে থাকে। কারণ ড্রাগন ফলে রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার। এ ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এছাড়াও এতে রয়েছে প্রোটিওলাইটিক এনজাইম যা খাবার হজমে সাহায্য করে থাকে।
হার্টের জন্য উপকারী
ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে হৃদপিন্ডের রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। এছাড়াও এতে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড এবং পলিআন
স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড হৃদপিন্ডের জন্য খুবই উপকারী।
বার্ধক্যজনিত ত্বকের জন্য উপকারী
ড্রাগন ফল ত্বকের জন্য খুব উপকারী। ড্রাগন ফলে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ভিতরে থাকা দূষিত পদার্থ, স্ট্রেস, খারাপ ডায়েট ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং বার্ধক্যজনিত ত্বকের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। এছাড়াও ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বককে উজ্জল সুন্দর সতেজ করতে সাহায্য করে।
চুলের জন্য উপকারী
ড্রাগন ফল চুলের জন্য বেশ উপকারী। প্রতিদিন দুধের সাথে ড্রাগন ফল খেলে চুলকে দূষণ এবং কৃত্রিম রঙ্গের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। এছাড় ড্রাগন ফলে থাকা ওমেগা থ্রি এবং ফ্যাটি এসিড চুলের জন্য বেশ উপকারী। এটি চুল পড়া রোধ করার পাশাপাশি চুলকে উজ্জ্বল চকচকে করে তোলে।
হাড়ের জন্য উপকারী
হাড়ের জন্য ড্রাগন ফল খুব উপাকারি।কারন ড্রাগন ফলে রয়েছে ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম যা হাড়কে শক্ত ও মজবুত করে।এছাড়াও হাড়ের ক্ষয় রোদ করে,জয়েন্টের ব্যাথা,বাত ব্যাথা ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।
তাই হাড়কে সুস্থ্য রাখতে নিয়মিত ড্রাগন ফল খেতে হবে।এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের ঘনন্ত বাড়িয়ে হাড়কে মজবুত করে।
চোখের জন্য উপকারী
চোখ ভাল রাখতে ড্রাগন ফল খুবই উপকারি। কারন ড্রাগন ফলে রয়েছে বিটাক্যারোটিন যা ভেঙ্গে ভিটামিন এ তে পরিনত হয়।এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমানে লুটেইন ,জিক্সানথিন,যা মানুষের চোখের লেন্স ভাল রাখতে এবং চোখের সাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় ভালো
ড্রাগন ফল গর্ভাবস্তার জন্য খুব উপকারি।ড্রাগন ফল যেভাবে গর্ভাবস্থায় সাহায্য করে তা নিম্নে তুলে ধরা হল।
চর্বির সমৃদ্ধ উৎস
চর্বি শরীরের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।শরীরের শক্তি যোগানোর পাশাপাশি ভ্রুনের মস্তিকের বিকাশে সাহায্য করে থাকে।
সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে
ড্রাগন ফল বিভিন্ন সংক্রামন থেকে রক্ষা করে এবং কোষ ভাল রাখতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
গর্ভবতী মহিলাদের ক্যালসিয়াম খেতে হয় নিয়মিত এতে কষ্ঠ্য কাঠিন্য হয়ে থাকে।এ সময় ড্রাগন ফল খেলে কষ্ঠ্য কাঠিন্য দূর হয়।কারন ড্রাগন ফলে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ফাইবার যা কষ্ঠ্য কাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে
ড্রাগন ফলে রয়েছে আয়রন,যা হিমগ্লোবিনের মাত্রা বুদ্ধি করে।আর এ হিমগ্লোবিন কোষে অক্সিজেন বহন করে।যা গর্ভবতী মহিলাদের হিমগ্লোবিনের মাত্রা বুদ্ধির পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনসিয়াম ভিটামিন সি ইত্যাদি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বুদ্ধি করে।ফলে শরীর বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে রক্ষা পাই।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রেও ড্রাগন ফল সাহায্য করে থাকে।কারন ড্রাগন ফলে রয়েছে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রে সাহায্য করে থাকে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
ওজন কমাতেও ড্রাগন ফল সাহায্য করে থাকে।কারন ড্রাগন ফলে ক্যালরির মাত্রা কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকে ফলে ওজন বাড়ার সম্ভবনা কম থাকে
ঘুম
ড্রাগন ফল ঘুমের জন্য খুবই উপকারি।কারন ড্রাগন ফলে প্রাকৃতিক সুগার থাকে যা নিদ্রাকে মধু ময়করে তুলে।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে
মানুসিক সাস্থ্য ভাল রাখতে ড্রাগন ফল সাহায্য করে থাকে।ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন মানষিক সাস্থ্য ভাল রাখে এবং মানসিক মনোবল বুদ্ধি করে।
পটাশিয়ামের ভালো উৎস
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম রয়েছে।প্রায় ১৮ শতাংশ পটাশিয়াম থাকে।যা হর্টের জন্য খুবই উপকারি।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম ড্রাগন ফলের বিভিন্ন উপকারিতা। প্রতিটি জিনিসের কিছু ভালো-মন্দ দিক রয়েছে তাই ড্রাগন ফলের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। ড্রাগন ফলের কিছু অপকারিতা রয়েছে। এখন আমরা ড্রাগন ফলের অপকারিতা গুলো কি কি তা জানবো। তাহলে আসুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফলের অপকারিতা গুলো।
এলার্জির প্রতিক্রিয়া
সব খাবার সবার শরীরে সমানভাবে শুট করে না। তাই ড্রাগন ফল কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যা অনেক সময় প্রকাশ পায় বিভিন্নভাবে যেমন, নিষ্পেষ, ফোলা , আম্বাত, ইত্যাদি হিসেবে। যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদেরকে ড্রাগন ফল খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
হজমের অস্বস্তি
ড্রাগন ফলে রয়েছে অত্যাধিক ফাইবার। উচ্চ মাত্রার ফাইবার থাকায় পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা এমনকি ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। তাই অবশ্যই ড্রাগন ফল খাওয়ার সময় এ সকল বিষয়ই নজর দিতে হবে।
হালকা রেচক প্রভাব
ড্রাগন ফলের ফাইবার হালকা রেচক হিসেবে কাজ করতে পারে। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ড্রাগন ফলে অবাঞ্ছিত রিচ প্রভাব ফেলতে পারে।
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
ড্রাগন ফল অনেক সময় ওষুধের সাথে মিথস্ক্রিয়া ঘটাতে পারে। বিশেষ করে যারা উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবন করছেন তারা ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী ড্রাগন ফল খাবেন। কারণ ড্রাগন ফল এ সকল ওষুধের কার্যকারিতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
কিডনি পাথরের ঝুঁকি
যাদের কিডনিতে পাথর রয়েছে তারা অবশ্যই ড্রাগন ফল খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। কারণ ড্রাগন ফলে অক্সালেট রয়েছে যাকে দিতে পাথর তৈরিতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণের তালিকা (প্রতি ১০০গ্রামে)
পুষ্টি উপাদান |
পরিমান |
দৈনিক চাহিদা
মুল্য(%DV) |
মোট চর্বি |
০গ্রাম |
০% |
সোডিয়াম |
০মিলি গ্রাম |
০% |
পটাশিয়াম |
২২৫মিলি গ্রাম |
৫% |
মোট কার্বোহাইড্রেট |
১৩গ্রাম |
৪% |
ডায়েটারি
ফাইবার |
৩গ্রাম |
১২% |
চিনি |
৮গ্রাম |
৯% |
প্রোটিন |
১.২গ্রাম |
২% |
ভিটামিন-সি |
৯মিলি গ্রাম |
১০% |
আয়রন |
০.৬মিলিগ্রাম |
৩% |
ম্যাগনেসিয়াম |
৩৯মিলি গ্রাম |
১০% |
ক্যালোরি |
৬০কিলো ক্যালোরি |
৩% |
ড্রাগন ফলে প্রকারভেদ
ড্রাগন ফল বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে। গোলাপি, লাল, হলুদ, বেগুনি ইত্যাদি। এবং ভেতরের দিকটা রসালো গোলাপি বর্ণের এবং সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। নিম্নে ড্রাগন ফলের প্রকারভেদ গুলো দেওয়া হলঃ
হলুদ ড্রাগন ফল
এটা ড্রাগন ফল গ্রীষ্ম মন্ডলীও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং মিষ্টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
বেগুনি ড্রাগন ফল
এটি দেখতে ঠান্ডা এবং দারুন স্বাদের এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যে আপনার শরীরের দূষিত পদার্থগুলো বের করে দেয় এবং ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে শরীর সুস্থ রাখে সাহায্য করে।
গোলাপি ড্রাগন ফল
এটি খেতে মিষ্টি তবে কিছুটা ট্রানজি। তবে এতে ভিটামিন সি এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি রয়েছে। যা হাড় ও দাঁত মজবুত করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
লাল ড্রাগন ফল
এটি দেখতে উজ্জল লাল বর্ণের এবং এর ভিতরে লাল বর্ণের মাংস থাকে এবং এতে রয়েছে লাইকোপেন নামক একটি উপাদান যা হৃদরোগের জন্য খুবই উপকারী এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ সাহায্য করে থাকে।
কিভাবে ড্রাগন ফল খাবেন
ড্রাগন ফল বিভিন্নভাবেই খাওয়া যায়। যেমন কাঁচা বা রান্না করে খেতে পারেন। নিম্নে ড্রাগন ফল খাওয়ার কিছু পদ্ধতি তুলে ধরা হলো
পাকা ফল
ড্রাগন ফল খাওয়ার সময় উজ্জ্বল রঙের অর্থাৎ সমানভাবে রং হয়েছে এবং হাত দিলে নরম লাগবে কিছুটা এ ধরনের ফল খেতে হবে। বাদামি বা ছাই বর্ণের দাগ যুক্ত ফল খাওয়া যাবেনা। কারণ এগুলো পুরোপুরিভাবে পাকেনি।
ধোয়া এবং কাটা
খাবার পূর্বে পরিষ্কার ঠান্ডা পানির নিচে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন এবং পরিষ্কার ছুরি দিয়ে এর খোসা ছাড়িয়ে কেটে খেয়ে ফেলুন।
স্কোপ বা খোসা
আপনি ড্রাগন ফল দুইটা উপায়ে খেতে পারেন। যেমন স্কুপ এবং খোসা।
স্কুপ
এটি চামড়া থেকে মাংস বের করতে চামচ ব্যবহার করতে হবে। এ ড্রাগনটি হবে সাদা বা ছোট কালো বীজসহ লাল বর্ণের।
খোসা
যদি ড্রাগন ফলের খসাটি শক্ত হয় তাহলে আপনি একটি ধারালো ছুরি দিয়ে এর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপরে ভিতরে মাংসকে কিউব করে কেটে নিতে হবে।
পরিবেশন করুন
ড্রাগন ফল বিভিন্নভাবে পরিবেশন করা যায়। যেমন, ফল হিসেবে খোসা ছাড়িয়ে পরিবেশন করা যায়, ফলের সালাতে যোগ করা যায়, এবং বিভিন্ন খাবারে গার্নিশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
ঐচ্ছিক
অতিরিক্ত সাদ বৃদ্ধির জন্য এর উপরে কিছু তাজা এবং লেবুর রস সেভেন নিতে পারেন এবং এটি পরিবেশন করার আগে ঠান্ডা করে নিতে পারেন।
শেষ কথা
আমি আশা করি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে ড্রাগন ফলের উপাকারিত ও অপকারিতা সর্ম্পকে জানতে পেরেছেন।এছাড়া ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম ,ড্রাগন ফলের পুষ্টি উপাদান ইত্যাদি সর্ম্পকে জেনেছেন।আমার পোষ্টিটি পড়ে যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে সবার মাঝে শেয়ার করে দিবেন ।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতক্ষন আমার সাথে থাকার জন্য।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url