জন্ডিস হলে করনীয় কি এবংজন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া উচিত
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। প্রিয় পাঠক, আজ আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হলো জন্ডিস হলে করনীয় কি এবংজন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া উচিত। লিভার মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি আমাদের দেহের হজম প্রক্রিয়াতে কাজ করে থাকে। এছাড়াও দেহের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে লিভারের ওজন প্রায়১.৫০ কেজি হয়।
দুই ধরনের কোষ দিয়ে লিভার গঠিত হয় যেমন প্যারেনকাই মাল এবং নন প্যারেনকাই মাল। আমাদের মাঝে অনেকে জানতে চাই জন্ডিস হলে করনীয় কি এবংজন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া উচিত, এছাড়াও আরো জানতে চাই যে জন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া যাবেনা, এবং জন্ডিস হলে কি ওষুধ খাওয়াবো ইত্যাদি। তাই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমার এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
জন্ডিস আসলে কোন রোগ নয় এটি রোগের লক্ষণ। লিভার আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয় এমনকি শরীরের মৃত কোষগুলো বের করে দেয়। আর এ কাজটি যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে এ ক্ষতিকারক পদার্থ জমে জন্ডিসের সৃষ্টি হয়। আমাদের শরীরে যে লোহিত রক্তকণিকা রয়েছে তা ভেঙ্গে গিয়ে তৈরি হয় বিলোরুবিন। জন্ডিস বলতে সাধারণত লিভারে পদাহ জনিত রোগ কে বলা হয়।
এটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, ভাইরাস থেকে শুরু করে নানা ধরনের ওষুধ অ্যালকোহল প্রভৃতি কারণে লিভারে প্রদাহ হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো পানি ও খাদ্য জনিত এবং রক্তের মাধ্যমে হতে পারে। তাই আমাদের মাঝে অনেকে জানতে চাই জন্ডিস হলে করনীয় কি এবংজন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া উচিত। তাই প্রিয় পাঠক, আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এ সমস্ত বিষয় আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
জন্ডিসের লক্ষণ সমূহ
জন্ডিস হলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল ত্বক হলুদ হওয়া, এমনকি নখ, প্রসাব,চোখ হলুদ হয়ে যায়। শরীর অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে যায় এবং খাদ্য হজমে দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা। নিম্নে কিছু লক্ষণ তুলে ধরা হলো
- জন্ডিসের অন্যতম লক্ষণ হলো চোখ, প্রসব, ও শরীর হলুদ বর্ণ হয়ে যায়।
- ভাইরাস হেপাটাইটিসের ক্ষেত্রে খাবার রুচি এমনকি বমি বমি ভাব আসতে পারে
- অনেক সময় বমিও হতে পারে
- শরীরে অস্বাভাবিক দুর্বলতা থাকে
- জ্বর জ্বর অনুভব হতে পারে
- পেট ব্যাথা হতে পারে
- শরীরের চুলকানি ও ফ্যাকাসে ভাব সাদাটে পায়খানা হতে পারে
- অনেক সময় রক্তভূমি হতে পারে
- আলকাতরা্র মত কালো পায়খানা হতে পারে
- পেটে পায়ে পানি এসে ফুলতে পারে
- পেটে চাকা বা লাম্প অনুভূত হতে পারে
জন্ডিস হওয়ার কারণ
আমাদের শরীরের জন্ডিস বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এরমধ্যে, ভাইরাসজনিত, ঔষধ ও অ্যালকোহলজনিত, প্রভৃতি বিভিন্ন কারণে জন্ডিস হতে পারে। ডাঃ.আবেদ হোসেন জন্ডিসের কারণগুলোকে কয়েক ভাবে ভাগ করেছেন যেমন -
- ভাইরাসের সংক্রমণে
- থ্যালাসেমিয়া
- হিমোলাইটিক এনিমিয়া
- ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- লিভার সিরোসিস
- লিভার /প্যানক্রিয়াস /পিত্তনালীর ক্যান্সার
- কিছু বিরল জেনেটিক রোগ ইত্যাদি কারণে জন্ডিস হতে পারে।
জন্ডিস হলে করনীয় কি এবংজন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া উচিত
প্রিয় পাঠক, প্রথমেই আমরা জানবো জন্ডিস হলে করণীয় কি এ বিষয়গুলি সম্পর্কে। তাহলে আসুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক জন্ডিস হলে আমরা কি করব বা আমাদের করণীয় কি রয়েছে।
জন্ডিস হলে করনীয় কি
জন্ডিস হলে আমরা যে বিষয় গুলো আমাদের করা উচিৎ তার মধ্য অন্যতম হল ,বেশি বেশি পানি পান করা।পরীক্ষা করে যদি মনে হয় রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন তাহলে রক্ত নিতে হবে ।বিশেষ করে হেপাটাইসিস বি এর টিকা নিতে হবে।শেভ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন একই ব্লেড বা ক্ষুর বার বার ব্যাবহার না করা হয়।একই সিরিঞ্জ বার বার ব্যাবহার না করা।এছাও বেশি মশলা যুক্ত খাবার না খাওয়া,বেশি রোদের ভিতরে না যাওয়া,বেড রেস্ট করা, তরল খাবার খাওয়া যেমন ,আখের রস,লেবু রস ইত্যাদি পান করতে হবে।এবং অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
জন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া উচিত
জন্ডিস রোগীর জন্য যে খাবার গুলো বেশি বেশি খাওয়া উচিৎ তার মধ্যে তরল জাতীয় খাবার যেমন, আখের রস বা শরবত,বেশি বেশি পানি পান করতে হবে, সহজে হজম যোগ্য খাবার, পুষ্টিকর ঘন ুএবং কম চরবিযুক্ত খাবার এইখাবার গুলোর দিকে বেশি নজর দিতে হবে।জন্ডিস রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় বা উপযুক্ত কিছু খাবার তালিকা দেওয়া হল
তাজা ফল ও শাকসবজিৎ
জন্ডিস রোগীর জন্য বেশি বেশি তাজা শাকসবজি খেতে দিতে হবে। কারণ তাজা ফল ও শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা লিভারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয় এবং স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এই খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে যা হজম শক্তি বাড়াতে এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দুরকরতে সাহায্য করে।আপেল কমলা ,পালং শাক গাজর বিট জন্ডিস রোগীদের জন্য খুবই কার্যকারি খাবার।আপনি চাইলে এই খাবার গুলো বিভিন্ন ভাবে খেতে পারেন।যেমন,জুস বানিয়ে, রান্না করে বা হালকা সিদ্ধ করে ।
প্রোটিনযুক্ত খাবার
প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি পুষ্টি উপাদান।এটি টিস্যুর গঠনে এবং লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।তাই কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন খাবার তালিকায় রাখতে হবে। এই খাবার গুলোর মধ্য রয়েছে চামড়াবিহিন মুরগি মাছ ,টফু এবং লেবু অন্যতম।জন্ডিস রোগীদের জন্য এই খাবার গুলো প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখতে পারেন।
গোট শস্য
গোটা শস্য জন্ডিস রোগীদের জন্য খুব কার্যকারি একটি খাবার।এই খাবার গুলোর মধ্য রয়েছে বাদাম ,চাল,কুইনোয়া ওটস,এবং ফাইবার জাতীয় খাবার ইত্যাদি।এই খাবার গুলো শরীরে শক্তি যোগানোর পাশা পাশি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে থাকে।এই গোটা শস্য শুধু হজমে সাহায্য করেনা শরীরের শক্তি উৎপাদনে সাহয্যকরে থাকে।তাই এই খাবার গুলো জন্ডিস রোগীদের খাবার তালিকায় যুক্ত করতে হবে।
বেশি বেশি পানি পান
এই সময় বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।বেশিবেশি পানি পান করলে শরীর থেকে শরীর থেকে ক্ষতিকর পাদর্থ বের হয়ে যায়।ফলে লিভার ভাল থাকে।
কফি এবং গ্রিন টিঃকফি বা গ্রিন টি জন্ডিস কমাতে সাহায্য করে থাকে।আপনি যদি দিনে ২-৩ কাপ কফি বা গ্রিন টি পান করেন তাহলে লিভারের সমস্যা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায়। কারন গ্রিন টিতে থাকে এ্যান্টিওক্সিডেন্ট যা লিভারের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে।
ধনে
গোটা ধনে জন্ডিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী। একটি পরিষ্কার পাত্রে গোটা ধনে অল্প পরিমাণে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে উঠে এই পানি পান করতে হবে। এতে করেও ধীরে ধীরে জন্ডিস ভালো হয়।
আখের রস
জন্ডিস রোগীদের জন্য আখের রস খুবই কার্যকরী একটি খাবার। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা আখের রস খাবেন না। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে সুগার রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তবে এই ডায়াবেটিস রোগী বাদে সবাই আখের রস খেতে পারবেন। এই আখের রস জন্ডিস রোগীদের জন্য খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আখের রসের পাশাপাশি লেবুর শরবত এবং কমলালেবুর রহস্য খেতে পারেন।
ত্রিফলা চূর্ণ
একটি গ্লাসে এক চামচ ত্রিফলা চূর্ণ সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে উঠে এই পানি পান করতে হবে। তাহলে আশা করি ধীরে ধীরে জন্ডিস ভালো হয়ে যাবে।
এই খাবারগুলো গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করা উচিত।
কোন কোন খাবার গুলো খাওয়া যাবেনা বা এড়িয়ে চলতে হবে
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমরা জানলাম জন্ডিস রোগীদের জন্য কোন কোন খাবারগুলো বেশি বেশি খেতে হবে। এখন আমরা জানবো কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। তাই আসুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক এই খাবারগুলোর তালিকা
চর্বিযুক্ত ও ভাজা পোড়া খাবার
যে সকল খাবারগুলোতে চর্বির পরিমান বেশি থাকে সে খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার যেমন, ফাস্টফুড, স্নাক্স, প্রক্রিয়াজাত মাংস, চর্বিযুক্ত বা দুগ্ধ জাতীয় পণ্য ইত্যাদি। এই খাবারগুলো জন্ডিস রোগীদের কোনভাবেই দেয়া যাবে না এবং এর পরিবর্তে প্রোটিনযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো দিতে হবে।
অ্যালকোহল এবং ক্যাফিন
অ্যালকোহল এবং ক্যাফেন যুক্ত খাবার জন্ডিস রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ এই খাবারগুলো লিভার কে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বিলুরুবিনের পরিমাণ বাড়িও তুলতে পারে। তাই জন্ডিস রোগীদের জন্য এই খাবারগুলো কোনভাবেই দেয়া যাবে না।
বেশি মসলাযুক্ত খাবার
বেশি মশালা যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না কারণ এই খাবারগুলো হজম প্রক্রিয়াকে বাধা গ্রস্থ করে। লিভারের সমস্যা আরো বাড়িয়ে তোলে এমনকি জন্ডিসের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই ভারী মসলা, কাঁচা মরিচ এবং ভারী শসের ব্যবহার কমাতে হবে। এর পরিবর্তে খাবারের স্বাদ বাড়াতে অল্প পরিমাণে আদার রস এবং লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে।
জন্ডিস রোগীকে কি ওষুধ খাব
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমরা জানলাম জন্ডিস রোগীর লক্ষণ গুলো কি কি, জন্ডিস রোগীকে কোন খাবার গুলো বেশি বেশি দিতে হবে, এখন কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে এতক্ষণ আমরা জেনে ফেলেছি। এখন আমরা জানবো জন্ডিস হলে কি ওষুধ খাওয়াতে হবে। তাই আসুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক।
আমাদের মধ্যে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে জন্ডিস হলে কি ওষুধ খাওয়াবো। জন্ডিস রোগীদের জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই জন্ডিস সনাক্ত করার পরে একজন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে লক্ষণগুলো মিলিয়ে সঠিক ওষুধ নির্ধারণ করে রোগীকে দিতে হবে আর এটা একজন আদর্শ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের দ্বারাই সম্ভব। তাই সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে ওষুধ প্রয়োগ করলে সম্পূর্ণরূপ জন্ডিস ভালো হবে ইনশাল্লাহ। রোগীদের জন্য সচরাচার যে ওষুধগুলো দেওয়া হয়ে থাকে তারমধ্যে,
- একোনাইট
- ব্রায়ুনিয়া
- চায়না
- চেলিডুনিয়াম
- কারডোয়াস মেজ
- কারিকা পেপায়া
- লাইকোপুডিয়াম
- মাইরিকা,
- সালফার
- ,নাক্স ইত্যাদি।
যে কাজগুলো থেকে বিরত থাকবেন
কঠোর পরিশ্রম, রোদে থাকা যাবে না, বেশি মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না, ভারী মশাযুক্ত খাবার ও ভাজাপোড়া খাওয়া যাবে না, বাঁশিপচা খাবার ঝাল মুড়ি টক জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
যা করতে হবে
বাহিরে না গিয়ে বেডে বিশ্রাম নিতে হবে, পানি জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে, যেমন আখের রস, লেবুর শরবত, ডাবের পানি, এবং বিশুদ্ধ পানি বেশি বেশি পান করতে হবে। তাজা ফল ও শাকসবজি খেতে হবে।
মন্তব্য
জন্ডিস যদিও এটি কোন রোগ নয়, এটি রোগের লক্ষণ। তাই বলে জন্ডিস হলে অবহেলা করা যাবে না, সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তাই অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে যে জন্ডিস হলে করনীয় কি এবংজন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। প্রিয় পাঠক, আজ আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এই পুরো বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো পোস্টটি পড়েছেন তারা অনেক বেশি লাভবান হয়েছেন। তাই আপনার কাছে যদি এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশী বন্ধুবান্ধব সবার কাছে শেয়ার করে দেবেন এবং যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট অপশনে গিয়ে কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url