চর্ম রোগের হোমিও চিকিৎসা
মানবদেহে সবচেয়ে বড় অঙ্গ হলো ত্বক। আর এলার্জি সাধারণত তোকেই হয়ে থাক। আর ত্বক মানব দেহকে বিভিন্ন ক্ষতিকর বস্তু থেকে যেমন সুরক্ষা দান করে অন্যদিকে মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কর। তাই ত্বকের প্রতি যত্ন নেয়া উচিত। আর এলার্জি হচ্ছে ত্বকের ওপরে ফুসকা পড়া ব্রণ চুলকানি মেজতাইত্যাদি হয়ে থাকে। যেটা ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি রোগ।
তাই চর্ম রোগের হোমিও চিকিৎসা হতে পারে সহজ সমাধান। শরীর প্রচুর পরিমাণে চুলকাতে থাকে যা খুবই বিরক্তি কর বিষয়।এলার্জির লক্ষণ দেখা দিলে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে কিছু বিষয় এড়িয়ে চললে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভ। যেমন নির্দিষ্ট কিছু খাবার যেগুলো খেলে এলার্জি দেখা দিতে পারে এছাড়া এলার্জির সৃষ্টিকারী বিভিন্ন বস্তু যেমনঃ ধুলাবালি ,ফুলের রেনু, বা পশুর লোম ,অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম ইত্যাদি বিষয়ে অ্য়ভয়েট করে চললে এলার্জি থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।প্রিয় পাঠক,আজ আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে চর্ম রোগের হোমিও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।
তবে এলার্জি চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি বা এ্যালোপ্যাথি উভয় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। এটা সেই ব্যক্তি বা রোগীর উপর নির্ভর করে যে ,সে কোন চিকিৎসা নিলে ভালো থাকবে।
এলার্জির চিকিৎসার জন্য কয়েকটি হোমিও ওষুধের নাম
- Graphites
- Arsenic Alb
- Psorinum
- Hepar
- Rhus tox
- Nat Sulph
- Acid Nit
- Petrolium
- Mezerium
- Dulcamara
- Thuja
- Dolichos
- Bacillinum
- Silicea
- Kali Brom
- Graphites
ক্যালেন্ডুলা
ভ্যাসলিন ক্যালেনডুলা ওষুধের সাথে মিশিয়ে সেবন করলে ভালো উপকারে আসতে পারে। এর ব্যবহার খুবই সহজ এটি আপনি যে কোন ভ্যাসলিনর সাথে মিশিয়ে ক্রিমের মতো করে ব্যবহার করতে পারবেন সালফার চুলকানির একটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ।তবে শরীরে যে সকল লক্ষণ দেখা দিলে সালফার প্রয়োগ করা বা গ্রহণ করা যাবে। যেমনঃসকাল 11 টার সময় প্রচুর পরিমাণে খিদে পাওয়া, শরীরে গরম লাগা,বা রাতে চুলকানি বৃদ্ধি পাওয়া ,মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা , মাথার তালু বা পায়ের তালু গরম ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলেই বা পাওয়া গেলে সালফার প্রয়োগ করতে হবে।
লাপিস অ্যালবা
এটি সাধারণত মহিলাদের যৌনাঙ্গের চুলকানিতে একটি কার্যকর মহা ঔষধ। এ রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হল জ্বালাপোড়া সুই ফোটানো বা হুল ফোটানোর ব্যথা অনভব করা, রাক্ষসী ক্ষুধা মিষ্টি খাবারের প্রতি ভীষণ লোভ ইত্যাদি। এক্ষেত্রে লেপিস অ্যালবা (Lapis alba) এই হোমিওপ্যাথি ঔষধটি খুবই কার্যকরী।তবে শরীরে কোন প্রকার অসুখ পুষে রাখা উচিত নয়। এলোপ্যাথি বা হোমিওপ্যাথি যেকোনো একটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসা নিয়েই ভালো। কারণ এটি এক সময় জটিল আঁকার ধারণ করতে পারে। আমার আপনার মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসা নিয়ে নিজেকে রোগ মুক্ত রাখুন এবং সুস্থ থাকুন৪
এপিস মেলিফিকা
এটি মূলত আরটিকেরিয়াল সংক্রমণের জন্য ব্যাপকভাবে ওয়েল্টস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে তখন এই ঔষধ গুলো খুবই কার্যকর। এগুলো সাধারণত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং বেড র্যাশের জন্য জন্য খুবই উপকারী ও কার্যকরী।
হেপার সালফার
এই ঔষধ সাধারণত ত্বকের ভাজ এবং জয়েন্টগুলোতে যখন আর্দ্র ব্রন ফুসকুড়ি বের হয় তখন এই ঔষধ খুবই কার্যকরী।
এটি একজামেটাস স্কাল্প এবং যে সব ক্ষেত্রে চামড়া খুব সংবেদনশীল হয়ে উঠে সেখানে এই ঔষধ খুব কার্যকরী। বিশেষ করে যেখানে ফোড়ার দ্বারা আক্রান্ত এছাড়াও যৌনাঙ্গের হিপার সালফার থেকে উপকৃত হতে পারে।
ক্যালসিয়াম
এটি সাধারণত যাদের হাঁপানি রয়েছে তাদের জন্য খুব উপকারী। এ ধরনের হাঁপানি ফুসকুড়ি জন্য এই ওষুধ বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
মেডরনিয়াম
এই ওষুধ সাধারণত বাচ্চাদের মলদ্বারের (ডায়াপার ফুসকুড়ি) চারপাশের র্যাস কমানোর জন্য ওষুধ ব্যাবহিত হয়ে থাকে।
সালফার
চুলকানির পাশাপাশি জ্বালাপোড়া করে তাদের জন্য এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও কিছু ঠান্ডা জিনিস ওখানে দিলে আপনি আরাম পাবেন।যখন আপনার ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যাই সেক্ষেত্রে আপনি এই ওষুধ প্রয়োগ করতে পারেন । এছাড়াও গারো লাল রঙ্গের চামড়ার মধ্যে ফোসকা পড়ে এবং তা তরলে পরিপূর্ণ থাকে। সে ক্ষেত্রে এই ওষুধ কবি কার্যকরী। এছাড়াও জয়েন্ট এবং ত্বকের ভাজে চুলকানি রাসের মতো হলে এই ওষুধ কাজ করে।
সোরিয়াম
হাঁটু বা কোনুয়ের চামড়ায় চুলকানি এবং র্যাশের মতো হলে এই ওষুধ খুবই কাজ করে। শরীরের যেখানে অসহ্য রকমের চুলকায় এবং চুলকানোর সাথে সাথে রক্ত বের হয় সেখানে ওষুধ খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই সমস্যা হলে ঘুম হারাম হয়ে যায়। তাই এ লক্ষণ গুলো যাদের মধ্যে রয়েছে তারা এই ঔষধ সেবন করতে পারেন ।
হিপার সালফার
এটি ফোঁড়া ফুসকুনির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। যেসব ফোঁড়া প্রচন্ড ব্যথা করে এবং ব্যথার জন্য স্পর্শ করা যায় না সেক্ষেত্রে এর ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি যদি ফোড়া পাকাতে চান তাহলে (৩,৬)আর যদি আপনি ফোড়া না পাকিয়ে সারিয়ে তুলতে চান সে ক্ষেত্রে (২০০)ব্যবহার করতে হবে।
আর্সেনিক সিয়াম অ্যালবাম
এ রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হল উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা, জ্বালাপোড়া, খুঁতখুঁতে স্বভাব, কাজে কর্মে একেবারে নিখুঁত, মৃত্যুকে ভয় পাই আবার আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করে, রাত একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত বিষণ্ণতায় ভুগে। মানুষ খুন করার মত টেনশন করে ইত্যাদি। এছাড়াও মাথার চামড়া শুকনা খসখসে স্পর্শ করলে ব্যথা করে রাতের বেলায় ভীষণ চুলকায় ইত্যাদি লক্ষণগুলো দেখা দিলে ওষুধ সেবন করতে পারেন।
সে পিয়া
এ রোগের লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে, তলপেটে বল বা চাকার মতো কিছু একটা আছে এরকম অনুভব করা, রোগীর মনে হয় তলপেটের অঙ্গ পতঙ্গ গুলো পায়খানার রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাবে এই ভয়ে দুই পা দিয়ে চেপে ধরে রাখে। এবং শীতে সবসময় কাঁপতে থাকে, দোস্ত সহ্য করতে পারে না ঘন ঘন গর্ভপাত হয় স্বামী সন্তান এবং চাকরি-বাকরির প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। এ ধরনের লোকাল গুলো দেখা দিলে আপনি এই ওষুধ সেবন করতে পারেন।
মেজারিয়াম
এ রোগের লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে মাথা থেকে মোটা মোটা চামড়ার মত চলটা উঠতে থাকে এবং এগুলোর নিচে পুজ জমতে থাকে এবং চুল আঠা দিয়ে জোট লেগে থাকে। এ পুজ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে এবং প্রচন্ড চুলকায় চুলকানির জন্য রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়।
মন্তব্য
চর্মরোগ একটি খুবই বেদনাদায়ক রোগ। এটি বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। এ রোগ বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। যেমন ধুলাবালি ফরেন পাটিকেল, ফুলের রেনু,পশুর লোম ইত্যাদি। এ রোগ হলে ত্বকের সুন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং ভদ্র সমাজে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে যেমন, অ্যালোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক, ভেষজ ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে, চর্ম রোগের হোমিও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আল্লাহাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url