গাজর খাওয়ার কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা
গাজর পুষ্টি গুণে পরিপূর্ন একটি সবজি। গাজর আমাদের দেশের প্রায় সব জেলাতেই পাওয়া যায়। গাজর কাচা বা রান্না করে খাওয়া যায়। গাজরের বিভিন্ন রেসিপি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়।
যেমন,হালুয়া, গাজরভাজা,খিচুড়িতে গাজর ইত্যাদি রেসিপিতে গাজর ব্যবহার করে থাকি। তাই প্রিয় পাঠক আজ আমি গাজর খাওয়ার কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।
ভূমিকা
গাজর ভিটামিন ও মিনারেল পরিপুর্ন একটি খাবার।গাজরের ইংরেজী শব্দ হচ্ছে (Carrot) এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম (Daucus carota)যা এক প্রকার মূল জাতীয় সবজি। গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। কারন বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ একটি খাদ্য গাজর।বিভিন্ন প্রকার খাদ্য তৈরিতে গাজার ব্যবহার করা হয়। যেমন, গাজরের হালুয়া খিচুড়ি রেসিপি, ইত্যাদি খাবারে ব্যবহার করা হয়। প্রিয় পাঠক, আজ আমি গাজর খাওয়ার কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গাজরের বিভিন্ন পুষ্টি গুণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।
গাজরের পুষ্টি উপাদ
১০০ গ্রাম কাচা গাজরে যে পুষ্টিউপাদান গুলো থাকে নিম্নে তার তালিকা তুলে ধরা হল।
ভিটামিনের নাম পরিমাণ
- কার্বহাইড্রেট ৯ গ্রাম
- চিনি ৬ গ্রাম
- ডায়েটারি ফাইবার ৩গ্রাম
- প্রোটিন ১ গ্রাম
- ফ্যাট ০.২ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম ৩৩্মি লি গ্রাম
- ম্যাগনেশিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস ৩৬ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম ২৪০মিলিগ্রাম
- সোডিয়াম ২.৪ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন-বি ০.০৪ মিলি গ্রাম
- ভিটামিন-বি২ ২০.০৬ মিলি গ্রাম
- ভিটামিন-বি৩ ৩১.০২ মিলি গ্রাম
- ভিটামিন-বি৪ ৬২.০১ মিলি গ্রাম
- ভিটামিন-সি ৭ মিলি গ্রাম
লবন ছাড়া ১০০ গ্রাম রান্না করা গাজরে যা থাকে
- ক্যালরি ৩৫ কিলো ক্যালরি
- প্রোটিন ০.৮ গ্রাম
- কার্বস ৮.২গ্রাম
- সুগার ৩.৫গ্রাম
- ফ্যাট ০.২গ্রাম
- ক্যালসিয়াম ৩০ মিলি গ্রাম
- ম্যাগনেশিয়াম ১০ মিলি গ্রাম
- ফসফরাস ৩০ মিলি গ্রাম
- পটাশিয়াম ২৩৫ গ্রাম
- সোডিয়াম ২৮ মিলি গ্রাম
বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল
গাজরে যে গুরুতপুর্ন ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে সেগুলো নিম্নে দেওয়া হল।
ভিটামিন -A
গাজরে প্রচুর পরিমানে বেটাক্যারোটিন থাকে।যা শরীরে ভেংগে ভিটামিন-এ তে রুপান্তর হয়।আর ভিটামিন -এ আমাদের চোখের জন্য খুব উপকারি। তাই চোখ ভাল রাখতে প্রতিদিন গাজর খেতে হবে।
ভিটামিন -k1
গাজরে ভিটামিন -k1 রয়েছে অনেক।ভিটামিন k1 রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করে এবং হাড়ের জন্য খুব উপকারি।
ভিটামিন-B6
ভিটামিন k6 খাদ্যকে শক্তিতে রুপান্তর করে।ফলে আমরা কাজ করার জন্য এনার্জি পাই এবং শরীর সুস্থ থাকে।
বায়োটিন
বায়োটিনকে ভিটামিন H ও বলা হয়ে থাকে। এই ভিটামিন ফ্যাট ও প্রোটিনকে মেটাবলিজম করতে সাহায্য করে।এছাড়া শরীরের তক,নখ,ও চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে।
পটাশিয়াম
গাজরে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম রয়েছে।আর পটাশিয়াম রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন করে এবং রক্তের ইলেকট্রোলাইটের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
গাজরের প্রধান প্রধান ভেজষ উপাদান গুলো হলো
বেটা ক্যারোটিন
গাজরে প্রচুর পরিমানে বেটাক্যারোটিন রয়েছে।কমলা রঙ্গের গাজরে বেশি রয়েছে।এছাড়াও রান্না করা গাজরে বেটা ক্যারোটিন বেশি পরিমানে পাওয়া যায়।বেটা ক্যারোটিন শরীরের জন্য খুব উপকারি।
লুটেইন
লিটাইন চোখের জন্য খুবই উপকারি।আর কমলা ও হলুদ রংগের গাজরে বেশি থাকে।
আলফা ক্যারোটিন
আলফা ক্যারোটিন এক ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ভিটামিন -এ তে রুপান্তরিত করে।
লাইকোপেন
গাজরে লাইকোপেন নামক এক ধরনের ভিটামিন থাকে।এই ভিটামিন লাল ও বেগুনি রঙ্গের গাজরে বেশি পাওয়া যায়।যা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুতপুর্ন ভুমিকা পালন করে।
গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
গাজর খাওয়ার উপকারিতা
গাজর অত্যান্ত পুষ্টিসম্পন্ন একটি খাবার।এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে।তাই গাজর খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা।তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক গাজরা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
ক্যান্সারে ঋুকি কমাতে গাজর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কারণ গাজরে রয়েছে (Falcarinol ও Falcarindiol) যা আমাদের শরীরের ক্যান্সার তৈরি করা উপাদান গুলোকে কমিয়ে দে। তাই গাজর খেলে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকে থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেমন, ফুসফুস ক্যান্সার, কলোরেক্টাল ক্যান্সার, এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার ইত্যাদি ক্যান্সারের ঝুঁকি কামাই।
চোখের জন্য উপকারী
গাজরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে যা হয়তোবা অনেকেই জানেনা। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গাজর খুবই উপকারী। কেননা গাজরের মধ্যে রয়েছে বেটাক্যারোটিন। এই বেটাক্যরোটিন একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লিভারে গিয়ে ভিটামিন এ তে পরিণত হয়। আর এই ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ত্বকের জন্য উপকারী
ত্বকের জন্য গাজর খুবই উপকারী। ত্বক ভালো রাখতে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে গাজর সহায়তা করে। আপনি যদি আপনার ত্বককে সুন্দর কমল মসৃণ রাখতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত গাজর খেতে হবে। কারণ গাজরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাল্টিভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার ত্বকে ভাজপড়া কালো দাগ ব্রণের দাগ ইত্যাদি দূর করে। যার ফলে আপনার ত্বক সুন্দর মসৃণ লাবণ্যময় হয়ে উঠবে।
ওজন কমাতে গাজর
গাজর অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ গাজর খুব কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। তাই গাজর বেশি পরিমাণে খেলেও ওজন বাড়ে না। তাই তাদের ওজন কমানো দরকার তারা নিয়মিত গাজর খেতে পারেন। কারণ গাজর খেলে একদিকে যেমন পেট ভরবে অন্যদিকে ওজনও বাড়বে না।
হৃদ রোগের ঝুকি কামাই
হৃদরোগের ঝুকি কমাতে গাজর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাজরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে এবং গাজরে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
হাড়কে মজবুত করে
গাজরে রয়েছে ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি যা হাড়কে মজবুত করতে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে গাজর খুবই উপকারি।কারন গাজরে রয়েছ উচ্চ মানের ফাইবার যেটা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং মলত্যাগে সহযোগিতা করে।তাই যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তাদের নিয়মিত গাজর খেতে হবে।
যৌন শক্তি বাড়াই
যারা যৌন সমস্যায় ভুগছেন এবং দাম্পত্য জীবনের সুখে নাই।গাজর হতে পারে তাদের জন্য সহজ সমাধান। কারণ গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল।সেই সাথে আছে বেটাক্যারোটিন। তাই গাজর, খুরমা খেজুর , কিসমিস, কাজুবাদাম, মুরগির ডিমের কুসুম একসঙ্গে হালুয়া তৈরি করে নিয়মিত খেলে শারীরিক শক্তি বাড়ার সাথে সাথে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে গাজর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাবার। যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তাদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম যুক্ত খাবার খেতে হয়। আর গাজরে এই উপাদানটি কম থাকে। তাই আপনি যদি নিয়মিত গাজর খান তাহলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
গর্ভবতী মায়ের জন্য আদর্শ খাবার
গাজারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। আর গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেলের প্রয়োজন হয়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য গর্ভবতী মহিলাদের জন্য একটি কমন রোগ। তাই গাজর খেলে একদিকে যেমন ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে শরীরকে সুস্থ রাখে অন্যদিকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কারণ গাজরের রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার। তাই গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন গাজর খাওয়া উচিত।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গাজরে কোন তুলনা হয় না। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তারা নিয়মিত গাজর খেতে পারেন। কারণ গাজরে রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কোলন পরিষ্কার করে রাখে।
ক্ষত সারাই
ক্ষত সারিয়ে তুলতে গাজর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। যা আপনার ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই ক্ষত সারাতে নিয়মিত গাজর খেতে হবে।
চুলের যত্নে
যাদের চুল ঝরে যাই বা পড়ে যাই। নিয়মিত গাজর খেলে চুল শক্ত মজবুত হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
দাঁতের যত্নে
দাঁত আমাদের অনেক মূল্যবান একটি সম্পদ। কথায় আছে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝি না। তাই দাঁত থাকতে দাঁতের যত্ন নিতে হবে। তাই দাঁত ভালো রাখতে নিয়মিত গাজর খেতে হবে। কারণ গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ও ক্যালসিয়াম যা দাঁত কে শক্ত মজবুত করে এবং দাঁতের সমস্যা দূর করে।
কানের ব্যথার উপকারিতা
কানের যন্ত্রণা যে কতটা বেদনাদায়ক আমরা সবাই জানি। কানে যন্ত্রণা হলে আমাদের শরীর ও মন কোনটাই ভালো থাকে না। এই কানের যন্ত্রণা কমাতে গাজর খুব ফলদায়ক।পরিমাণ মতো কলা গাজর আদা এবং রসুন একসাথে পেস্ট তৈরি করে ১-২ ফোটা কানে ব্যবহার করলে ব্যথা কমে যায়।
বাতব্যাতা নিয়ন্ত্রণ করে
বাত ব্যথা প্রায় প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে। বিশেষ করে যাদের বয়স ৪০ থেকে ৬০ বছর। আর বাতের ব্যথা খুবই কষ্টদায়ক। ঠিক ভাবে চলাফেরা করা যায় না হাটা যায় না, ওঠা বসা করা যায় না। এক্ষেত্রে গাজর হতে পারি আপনার সহজ সমাধান।কারণ গাজরের রয়েছে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি যা বাথ রোগের জন্য খুবই উপকারী।
লিভারের সমস্যা দূর করে
লিভারের সমস্যা দূর করতেও গাজর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে দ্রব্য নিয়েও ফাইবার যা মলত্যাগের উদ্দীপনা সৃষ্টি করে লিভার ও কোলনকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে গাজর খেতে পারেন তাহলে লিভারের প্রদাহ ফোলা ভাব এবং সংক্রমণ কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
গাজর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। কারণ গাজরের রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বিটামিন সি, ও আন্টি অক্সিডেন্ট যা ইমিউনিটি সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
গাজার খাওয়ার অপকারিতা
আমরা জানি গাজর একটি পুষ্টি সম্পূর্ণ খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে। তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। তাই গাজর খাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরকে কিছু সচেতনতা বা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।নিম্নে গাজর খাওয়ার কিছু অপকারিতা তুলে ধরা হলো।
- যাদের কিডনি রোগ রয়েছে তাদের গাজর না খাওয়াই ভালো। কারণ গাজর খেলে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। যেটা কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
- অনেকেরই গাজর খেলে এলার্জির প্রভাব দেখা দেয়। যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা গাজর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তারা বেশি পরিমাণে গাজর খাবেন না। কারণ গাজরে সুগারের পরিমাণ বেশি রয়েছে যেটা ডায়াবেটিকস বাড়িয়ে দিতে পারে।
- যদিও গাজরে বেটাক্যরোটিন এবং ভিটামিন এ রয়েছে তবুও বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে ত্বকের রং পরিবর্তন এবং ক্ষতি সাধন হতে পারে।
- যে সকল মায়েরা বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তারা বেশি পরিমাণে গাজর গ্রহণ করবেন না। এতে আপনার বুকে দুধের স্বাদ পরিবর্তন হতে পারে।
- গাজরে উচ্চমানের ফাইবার রয়েছে যেটা হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে। কিন্তু আপনি যদি বেশি পরিমাণে গাজর খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার পাতলা পায়খানার মত সমস্যা হতে পারে।
- প্রিয় পাঠক, উপরিক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে গাজর খেতে হবে। তাহলে আশা করি আপনার শরীরে কোন ক্ষতি হবে না।
শেষ কথা
আমরা জানি গাজর কতটা পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে। গাজর খেলে ক্ষুধা নিবারনের পাশাপাশি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে গাজর খাওয়ার কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। গাজর খাওয়ার উপকারিতার পরিমাণই বেশি তবুও গাজর খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করে খেতে হবে। কারণ অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য। আল্লাহাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url