বাচ্চাদের খাবার রুচি বাড়ানোর উপায়

প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।
বাচ্চাদের খাবার রুচি বাড়ানোর উপায়

যারা বাচ্চাদের খাবার রুচি বাড়ানোর উপায় সর্ম্পকে জানতে চান আমার এই পোষ্টটি শুধু তারই জন্য।কারন আজ আমিবাচ্চাদের খাবার রুচি বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করব।আশাকরি শেষ পর্যন্ত আমার সাথেই থাকবেন।

ভূমিকা

প্রতিটা বাবা-মায়ের একটাই অভিযোগ যে তার শিশু খাবার খেতে চাই না। এইটা নিয়ে অভিভাবকদের দুঃশ্চিন্তার শেষ থাকে না। যারা বাচ্চাদের খাবারের রুচি নিয়ে চিন্তিত। কিভাবে বাচ্চাদের খাবারের রুচি বাড়াবেন,রুচি বাড়ানোর ওষুধ কি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে চান, আমার এই পোস্টটি তারই জন্য। কারণ এখন আমি বাচ্চাদের খাবার রুচি বাড়ানোর উপায়, কৌশল, ওষুধ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহ। তাই আশা করি মনোযোগ সহকারে আমার এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

কেন বাচ্চাদের খাবারের অরুচি হয়?

পরপূর্ণ ভাবে খিদে

পরিপূর্ণভাবে ক্ষুধা না লাগলে শিশুরা খাবার গ্রহণ করতে চাই না। কিন্তু অনেক বাবা মাই রয়েছেন তখন শিশুকে জোর করে খাবার খাওয়াতে চেষ্টা করেন। এর ফলে শিশুর বদহজম হতে পারে এবং শিশুর খাবারের প্রতি আরুচি সৃষ্টি হয়।

যখন তখন খাবার

যখন তখন খাবার গ্রহণ বাচ্চাদের খাবারের অরুচির অন্য তম কারন।যখন তখন খাবার দেয়ার ফলে সে সময় মতো পেট ভরে খেতে পারে না। অনেক শিশু রয়েছে যারা স্কুল থেকে ফেরার পর বা বাহির থেকে আসার পরে বিস্কুট ফল ও অন্যান্য মুখরোচক খাবার গ্রহণ করে।ফলে তার ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যায়। তখন সে দুপুরের খাবার অথবা রাতের খাবার খেতে পারে না।

খাবারের স্বাদ

চেষ্টা করতে হবে শিশুর পছন্দমত খাবার তৈরি করতে। শিশুরা তার পছন্দের খাবারের কথা বলতে পারে না কিন্তু ওই খাবার তাকে বারবার পরিবেশন করতেছেন। এতে করে ওই খাবারে প্রতি তার অরুচি চলে আসে। তাই খেয়াল রাখতে হবে যে সে কোন ধরনের খাবার পছন্দ করে সে অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করতে হবে।

সময় মত খাবার

বাচ্চাকে সময়মতো খাওবার দিতে হবে। সব শিশুর ক্ষুধা লাগার সময় কিন্তু এক নয়। বয়স ভেদে এর পার্থক্য রয়েছে। তাই আপনার শিশুর বয়স কেমন সে অনুযায়ী সময় মতো আপনার শিশুকে খাবার দিতে হবে। আপনার শিশুকে কোন ধরনের খাবার দিচ্ছেন সেটা বড় কথা নয়, আপনার শিশুকে সময় মত খাওয়ার দিচ্ছেন কিনা এটাই হচ্ছে মূল কথা।

খাবারের বিরতি

সময় মত কিছু খাবারের বিরতি দিতে হবে। ২-৩ বছর বয়সী শিশুদের প্রতিবেলা খাবারের মাঝে ২-৩ ঘন্টা বিরতি দিতে হবে। শিশুকে জোর করে যখন তখন খাওয়ানো যাবে না। এ বিরতির সময়ে সে যদি অন্য কোন খাবার গ্রহণ না করে তাহলে তার খাবারের প্রতি রুচি গড়ে উঠবে।

অযথা জোর না করা

শিশু খায় না বলে শিশুকে যখন তখন জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। একবার তাকে জোর করে খাওয়ালে সে আর খাবার খেতে চাইবে না এবং খাবার দেখে ভয় পাবে।

বাহিরের খাবার

বাহিরের খাবার যেমন চকলেট, আইসক্রিম, চিপস ইত্যাদি খাবার থেকে আপনার শিশুকে বিরত রাখাই ভালো। বাহিরের খাবার যে একেবারেই দিবেন না তা নয়। যখন পরিবারের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাবে তখন তাকে বাইরের (স্বাস্থ্যসম্মত ) খাবার দিবেন। কিন্তু প্রতিদিন রুটিন করে বাইরের খাবার দেবেন না।

একই খাবার বারবার পরিবেশন করা

একই খাবার বারবার দিবেন না। একই খাবার বারবার দিলে তার খাবারের প্রতি অরুচি চলে আসে। তাই খাবারের মধ্যে ভিন্নত আনতে হবে। তার পছন্দমত স্বাস্থ্যসম্মত বিভিন্ন ধরনের খাবার ঘরোয়া ভাবে তৈরি করে দিতে চেষ্টা করবেন।

খাওয়ার সময় টিভি কার্টুন মোবাইল ইত্যাদি দেখা থেকে বিরত রাখতে হবে

খাবার খাওয়ার সময় শিশুকে টিভি কার্টুন মোবাইল ইত্যাদি থেকে বিরত রাখতে হবে। কারন সে এগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। সে খাবারের দিকে মনোযোগ না দিয়ে এগুলো দেখে বেশি মনোযোগী হয়ে পড়ে। এমনি এগুলো দেখা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

বাচ্চাদের খাবারের রুচি বাড়ানোর উপায়

একটি শিশুর খাদ্যাভ্যাসকে উন্নত করা একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এখানে কিছু কৌশল রয়েছে যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে:

মজাদার মজাদার খাবার তৈরী করতে হবে

বাচ্চাদের খাবার রুচি বাড়ানোর উপায় হল মজাদার খাবার তৈরী করা। সৃজনশীল উপায়ে স্বাস্থ্যকর খাবার উপস্থাপন করতে হবে। ফল এবং শাকসবজির আকার দিতে কুকি কাটার ব্যবহার করুন বা বিভিন্ন ধরণের খাবারের সাথে রঙিন ঝকঝকে আকর্ষনীয় প্লেট ব্যবহার করতে পারেন।

তাদেকে রান্নার সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে 

বাচ্চাদের খাবার রুচি বাড়ানোর উপায় হিসাবে আপনার শিশুকে রান্নার সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে । শিশুরা এমন কিছু খেতে পারে যা তারা তৈরি করতে সাহায্য করেছে।বাচ্চাদেরকে শাকসবজি ধোয়া বাছা বা উপকরন গুলো নাড়ার মতো সহজ কাজগুলি তাদেরকে করতে দিতে হবে এতে তাদের খাবারের প্রতি আকর্ষন সৃষ্টি হতে পারে।

খাবারের মধ্য বৈচিত্র্য আনতে হবে 

বাচ্চাদের খাবার রুচি বাড়ানোর উপায়ের মধ্য অন্যতম হল খাবারের মধ্য বৈচিত্র্য আনা । বাচ্চাদেরকে প্রতিদিন নতুন নতুন খাবারের সাথে পরিচয় করতে হবে। । বিভিন্ন রকম সাদ তৈরীর জন্য এবং স্বাদ বিকাশে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন রকম ফল, শাকসবজি এবং প্রোটিন দিতে হবে।

নিয়মিত খাবারের একটি সময় নির্ধারণ করতে হবে

বাচ্চাদের খাবার রুচি বাড়ানোর উপায় হিসাবে নিয়মিত খাবারের একটি সময় নির্ধারণ করতে হবে। নিয়মিত খাবারের সময় নির্ধারণ করলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করতে এবং ভাল খাওয়ার অভ্যাসকে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে।

বাচ্চাকে জোর না করে তাদেকে খাবারের প্রতি উতসাহিত করতে হবে

আপনার শিশুকে নতুন খাবার চেষ্টা করতে উত্সাহিত করতে হবে, কিন্তু তাদেরকে খেতে বাধ্য বা জোর করা যাবেনা। এতে তার বদহজম হতে পারে।

চিনিযুক্ত পানীয় থেকে শিশুকে বিরত রাখুন

চিনিযুক্ত পানীয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে এবং এর পরিবর্তে পানি বা দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। কখনও কখনও বাচ্চারা চিনিযুক্ত পানীয় পান করতে চাই কিন্তু এই খাবারে পুষ্টিকর পরিমান কম থাকে।

খাওয়ার পরিবেশকে ইতিবাচক করতে হবে

খাবার সময়কে আনন্দদায়ক এবং চাপমুক্ত করতে হবে।তাই খাবারের সময় টিভি মোবাইল বা ট্যাবলেটের মতো ডিভাইস গুলো থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখতে হবে। কারণ এগুলো বাচ্চার খাবার রুচিকে নষ্ট করতে পারে ।

শিশুকে প্রশংসা ও উত্সাহ করতে হবে

আপনার সন্তান যখন নতুন খাবার খেতে চেষ্টা করে তখন তাকে প্রশংসা করতে হবে এবং খাবারের প্রতি উতসাহ প্রদান করতে হবে।

শিশুদেকে পুষ্টি খাবার সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে

বাচ্চাদের খাবার রুচি বাড়ানোর আর একটি উপায় হলো, আপনার সন্তানকে মজাদার,পুষ্টকর এবং বয়স-উপযুক্ত বিভিন্ন খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে।যাতে তারা নিজেরাই তাদের ভাল মন্দ পছন্দ করতে পারে।

ধৈর্য ধারন করতে হবে

নতুন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে সময় লাগে। নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য নতুন খাবার গুলোর সাথে পরিচিত করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং ধৈর্য ধারুন কারতে হবে । আপনার সন্তান নতুন খাবারের স্বাদ গ্রহন না করা পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হবে।
ধারাবাহিকতা এবং একটি ইতিবাচক পদ্ধতির চাবিকাঠি। খাওয়ার আশেপাশে একটি সহায়ক এবং আকর্ষনীয় পরিবেশ তৈরি করে, সময়ের সাথে সাথে আপনার শিশুকে আরও ভাল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারেন।
বাচ্চাদের খাবারের রুচি বাড়ানোর আরো কিছু টিপস
  • বাচ্চাদের খাবারের একটি রুটিন তৈরি করতে হবে
  • ঘরের পরিবেশ শিশু বান্ধব রাখতে হবে
  • খাবারের ঘনত্ব ঠিক রাখতে হবেঝ
  • খাবারে বৈচিত্র বা ভিন্নতা আনতে হবে
  • নতুন নতুন খাবারের সাথে পরিচিত করতে হবে
  • পর্যবেক্ষণ করতে হবে
  • ক্ষুধা তৈরি করতে হবে
  • শিশুকে সবসময় হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করতে হবে
  • সকালের নাস্তা বাধ্যতামূলক করা
  • খাবারের আধা ঘন্টা আগে পানি পান করা
  • প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর খাবার পরিবেশন করা
  • মাঝে মাঝে হালকা খাবার দেওয়া
  • খাবারের মধ্যে বৈচিত্র আনা
  • জিংক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান
  • শিশুর মাথা এবং শরীর ঠান্ডা রাখা
  • মাঝে মধ্যে তার প্রিয় খাবারগুলো পরিবেশন করা

শিশুর ক্ষুদা বৃদ্ধিতে এই খাবারগুলো খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে

চিনা বাদাম

চিনা বাদাম শিশুদের ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চিনা বাদাম দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শিশুদের ক্ষুধা বৃদ্ধি করে।

বড়ই ফল

শিশুদের ক্ষুধা বৃদ্ধিতে বড়ই ফল একটি অন্যতম উপাদান। এই ফল অনেক শিশু খেতে পছন্দ করে। এই ফলটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই শিশুদের ক্ষুধা বৃদ্ধিতে এই ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গাজর

গাজরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু অনেকেই জানে না যে গাজর ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন আপনার শিশুকে খাবার আধা ঘন্টা আগে একটি করে গাজর কেটে দিন। অথবা গাজরের হালুয়া তৈরি করেও খাওয়াতে পারেন। এতে আপনার শিশুর রুচি বেড়ে যাবে।

লেবু

লেবু ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই আপনার শিশুকে লেবুর শরবত বানিয়ে খাওয়াতে পারেন অথবা খাবারের মধ্যে লেবুর রস দিয়ে খাবার খাওয়াতে পারেন। এতে খাবারের সাদ যেমন বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে খাবার হজম করার পাশাপাশি খাবারের রুচি বৃদ্ধি করবে।

কুমড়ার বীজ

কুমড়োর বীজ আমরা অনেকেই ফেলে দিই।কিন্তু আজ থেকে এই বীজ আর ফেলবেন না।এই শুকিয়ে কড়ায়ে ভেজে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।এই কুমড়োর বীজ শুধু শুসাদুই নয়,এটি শিশুদের খাওয়ার রুচি বৃদ্ধিতেও সাহায্যে করে।

বাচ্চাদের খাবার রুচি বাড়ানোর ঔষধ

  • Sy:  Zinc-b
  • Sy:  Mixavit
  • Sy:  Wellkid
  • Sy:  Bicozin
  • Sy:  Dorakid
  • Sy:  Filwel kid
  • Sy:  Bextram kid
  • Sy:  Zovia gold
  • Etc.
এই গুলো শিশুর খাওয়ার রুচি বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো কোন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করাই ভালো।

অভিভাবকদের জন্য কিছু টিপস

  • শিশুদের খাদ্য আকর্ষণীয় করতে হবে
  • শিশুদের খাদ্য তৈরিতে সচেতন থাকতে হবে
  • সময় মত খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে
  • বাচ্চাদেরকে জোর করে খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
  • শিশুদের মানসিক বিকাশে সময় দিতে হবে
  • বাসার ভেতরের পরিবেশ ভালো ও হাসি খুশি রাখতে হবে
  • বাচ্চার সামনে পিতা মাতাকে অবশ্য ভালো আচরণ করতে হবে
  • আপনার অপছন্দনীয় খাবার শিশুর সামনে পরিবেশন করবেন না।
  • শিশুদের পছন্দের খাদ্য তালিকা অনুযায়ী খাবার তৈরি করার চেষ্টা করবেন
  • পরিবারের সকলে ও শিশুদের নিয়ে একসঙ্গে খাবার অভ্যাস করবেন
  • খাবার খাওয়ার সময় শিশুদের সামনে শিক্ষণীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবেন
  • খাবার গ্রহণের সময় শিশুদের প্রশংসা করবেন

শেষ কথা

বেশিরভাগ বাবা মাই তাদের বাচ্চাদের খাবার বিষয়ে বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন। বাচ্চার ভূমিষ্ঠ হওয়ার ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধের যথেষ্ট। ছয় মাস পর থেকে বাচ্চাকে খাবার দিতে হবে। এ সময় নতুন নতুন খাবার সম্পর্কে পরিচিত করতে হবে। এ সময় অনেক শিশুই খাবার খেতে চাই না। তখন বাবা মায়ের চিন্তার শেষ থাকে না। এসময় শিশুকে কি খাওয়ানো উচিত কোন খাবার খাওয়ানো উচিত রচি বাড়ার ভিটামিন ই বাকি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। আমার এই পোষ্টের মধ্যে এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।এতক্ষণ হয়তো বা আপনারা এগুলো পড়ে ফেলেছেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ এতক্ষণ আমার সঙ্গে থাকার জন্য। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url