চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায়

চুল পড়া বর্তমান সময়ের একটি সাধারন কিন্তু ভয়াবহ সমস্যা। তবে এটা যে শুধু নারীদের সমস্যা তা নয়,এটা ছেলে মেয়ে উভয়রই সমস্যা হতে পারে।
চুল পড়া বন্ধের জন্য আমরা বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত কৃত্রিম পণ্য ব্যবহার করে থাকি। এতে করে মাথায় এলার্জি বা চর্ম রোগ হতে পারে। তাই আজ আমি আলোচনা করব চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায়।

চুল পড়া বন্ধের জন্য আমরা বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত কৃত্রিম পণ্য ব্যবহার করে থাকি। এতে করে মাথায় এলার্জি বা চর্ম রোগ হতে পারে। তাই আজ আমি আলোচনা করব চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায়।

ভূমিকা

মানুষের সৌন্দর্য বিকাশে যে কয়টি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তার মধ্যে চুল অন্যতম।এটা  শুধু মেয়েদর ক্ষেত্রেই নয়,ছেলেদের সোন্দর্য বিকাশেও গুরুতপুর্ন ভুমিকা পালন করে ।চুল পড়ে যাওয়া ছেলেদের জন্যও ভীষণ দুশ্চিন্তার কারণ। আমেরিকান একাডেমি অফ ডারমাটোলজি এক গবেষণায় প্রকাশ করে যে একজন ব্যক্তি প্রতি দিন ৫০-১০০ স্ট্র্যান্ড চুল হারাতে পারে। যদিও চুল পড়ার পরে আবারও বৃদ্ধি পায়। তবুও কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দ্রুত চুল পড়ে এবং এটি স্থায়ী সমস্যা হতে পারে।

তাই চুল পড়া বন্ধ করতে প্রথমেই আমাদের জানতে হবে এর কারন।সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।অনেকেই বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত পণ্য ব্যবহার করে থাকেন।এতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এলার্জি বা চর্মরোগ হতে পারে। তাই যারা ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করতে চান,এই পোষ্টি শুধু তারই জন্য। কারন আজ আমি চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।

কেন চুল পড়ে

ছেলে মেয়ে উভয়ই বিভিন্ন কারমে চুল পড়তে পারে। যেমন,বংশগত প্রভাব, পরিবেশ গত প্রভাব, বয়স,হরমনগত কারন,মানুষিক কারন, ধুমপান, পুষ্টিহীনতা,হরমোনের প্রভাব, মাথায় গরম ওঠা,হাই ব্লাড পেশার,উচ্চমাত্রায় রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার ইত্যাদি কারণে মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। তাই এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।

চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায়

চুলপড়া বন্ধে প্রথম করনীয় বিষয় হলো অধিক সচেতন থাকা, অর্থাৎ মাথা ও চুল পরিষ্কার রাখা।বাহির থেকে আসলে শ্যাম্প কিরে নিয়া।অতিরিক্ত ধুলাবালি পরিহার করুন।এবং চুল পড়া বন্ধের কারন জানার চেষ্টা করুন।তবে আমার পরামর্শ হচ্ছে প্রথমে চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায় গুলো এপ্লাই করা।যারা চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায় জানতে চান আমার এই পোষ্টি শুধু তারিই জন্য।কারন এখন আমি চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায় সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লহ।

তেল মালিশ

চুলপড়া বন্ধের প্রথম পদক্ষেপ হল তেল মালিশ করা।কারন তেল মালিশ করলে মাথার রক্ত চলাচল বেড়া যায় এবং চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত হয়।এক্ষেত্রে আপনি বাদামের তেল,অলিভ অয়েল,জলপাই তেল ,আমলোকি তেল ইত্যাদি তেল ব্যবহার করতে পারেন।এতে মানুষিক অশান্তি দূর হবে এবং মাথা ঠান্ডা থাকবে।

আমলোকি

চুল পড়া রোধে আমলকি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া আমলকিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাটি এসিড যা চুলের গোড়া সতেজ ও মজবুত করে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে ১ টেবিল চামচ আমলোকির নরম শাস ও লেবুর রস হাতে নিয়ে চুলের গোড়ায় মালিশ করতে হবে। সকালে উঠে মাথা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

মেথি

চুল পড়া বন্ধে মেথি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিমানমত মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে, সকালে এই ভিজিয়ে রাখা মেথি মিহি করে বেটে নিতে হবে। এই বাটা মেথি মাথায় লাগিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে আধঘন্টা পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

পেঁয়াজের রস

পেয়াজের রস চুল পড়া বন্ধে খুবই কার্যকরি কারণ এতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় সালফার।এটা চুলের গোড়ার রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। এটা চুলের লোমকুপগুো জীবিত করে। ১ টি পেয়াজ রস করে মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। আপনি সপ্তাহে ৩-৪দিন ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী

অ্যালোভেরা হতে পারে চুল পড়া রোধের অন্যতম কার্যকারি উপাদান। কারণ এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা চুল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই চুল পড়ে গেলেও একেবারে ফাঁকা হয়ে যায় না। এছাড়াও অ্যালোভেরাতে রয়েছে এ্যলকেলাইন প্রোপারটিজ যা স্কাল্পের পি এইচ এর লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এটি কিভাবে ব্যবহার করবেন। পরিমাণ মতো এলোভেরা জেল নিয়ে স্কাল্পে লাগিয়ে ফেলতে হবে। এর কয়েক ঘন্টা পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুরে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে ৩-৪ বার ব্যবহার করলে দারুন উপকার পাবেন।

ডিম


চুল পড়া রোধে ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ডিমের সাদা অংশ মাথার চুলে দিয়ে আধা ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাবে এবং চুল হবে কালো মজবুত।

নারিকেল তেল

নারিকেলের তেল ব্যবহার করেও চুল পড়া রোধ করা যায়। কারণ নারকেল তেলে রয়েছে লরিক অ্যাসিড, ও এক ধরনের ফ্যাটি এসিড, যা চুলের গোড়ায় প্রবেশ করে প্রোটিনের ক্ষতি কমায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, মাথা ত্বকের মাইক্রোবায়োন কে সমৃদ্ধ করে, এবং পাশাপাশি চুলের ফলিকন এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। তাই আপনি প্রতিদিন নারিকেলের তেল মাথায় ইউজ করতে পারেন।

লেবু

চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায় হিসেবে লেবুর তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটা চুল পড়া বন্ধের পাশাপাশি মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে। কারণ লেবুতে একটি বায়ু একটিভ রাসায়নিক রয়েছে যা সিনাপিক এসিড নামে পরিচিত। এটা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

নিমপাতার রস

চুল পড়া রোধে নিম পাতা খুবই কার্যকরী। প্রথমে প্রয়োজন মত নিম পাতা বেটে নিতে হবে, এর সাথে সামান্য পরিমাণ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে মাথায় লাগাতে হবে। লাগানোর কয়েক ঘন্টা পর বাজারের যেকোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে এক থেকে দুই বার এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

কালোজিরা

কালো জিরার গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। কালোজিরাকে বলা হয় মৃত ব্যতীত সকল রোগের মহা ঔষধ। মাথায় চুল গজাতে এবং চুল পড়া রোধে কালোজিরার কোন বিকল্প নেই। আপনি প্রতিদিন কালোজিরার তেল ব্যবহার করবেন এবং অল্প পরিমাণে কালোজিরা ও মধু খাবেন। তাহলে আশা করি এর ফলাফল আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।

গ্রীন টি

গ্রিন টি চুল পড়া রোধের একটি অন্যতম কার্যকারী উপাদান। দুই ব্যাগ গ্রিন টি একটা পরিমাণ ফুটন্ত পানির ভিতরে রাখুন। এরপর পানি ঠান্ডা করুন,। এই ঠান্ডা পানি আপনার চুলের ঘোড়াসহ সারা চুলে লাগিয়ে এক ঘন্টা পর পানিতে ধুয়ে ফেলুন। আপনি কমপক্ষে সপ্তাহে একবার এ পদ্ধতি এপ্লাই করতে পারেন। আশা করি ভালো ফল পাবেন।

কারিপাতা

চুল পড়া রোধে কারি পাতা একটি খুবই কার্যকরী উপাদান। কারণ কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যেটা চুল পড়া রোধ করে। কিছু কারি পাতা দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মাথায় লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পড়া রোধ হবে ইনশাল্লাহ।

দই

টক দই আপনার মাথার চুল পড়া রোধ করতে পারে। পরিমান মত টক দই মাথায় দিয়ে ৩০ মিনিট পর বাজারে যে কোন শ্যাম্পু দিয়ে মাথার চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পড়া রোধ হবে। কারণ টক দই চুলের প্রয়োজনীয় প্রোটিন রয়েছে।

হিবিস্কাস

হিবিস্কাস ফুল এবং এর পাতা চুল পড়া রোধে কার্যকরী একটি উপাদান। এটা চুল পড়া রোধের পাশাপাশি চুল বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। পরিমাণ মতো ফুল ও পাতা একসঙ্গে বেঁটে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্টটি মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।

সানা বীজ

পরিমাণ মতো নারিকেল তেল বা ক্যাস্টর অয়েলের সাথে সানা বীজ মিশিয়ে কুসুম গরম করে একটি পেষ্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মাথায় লাগিয়ে আলতো করে মেসাজ করে দিন।এবং ৩০ মিনিট পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে আলতোভাবে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার ব্যবহার করুন।

তামাকের রস

শ্যামপুর সাথে পরিমাণ মতো তামাকের রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পড়া রোধের পাশাপাশি চুল ঘন ও কালো হবে।

এছাড়াও চুল পড়া বন্ধে আরো কিছু ভিটামিন

ভিটামিন

অনেক সময় ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়। কারণ ভিটামিন এ মাথার ত্বক থেকে উপকারী সিয়াম সরবরাহ করে এবং ভিটামিন এ মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় ফলে মাথায় চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই চুল পড়া রোধ করতে হলে ভিটামিনের দিকে নজর দিতে হবে। এবং ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে।

জিংক ও আয়রন

মাথার ত্বকে অক্সিজেনের স্বল্পতার কারণে চুল পড়ে যায়। আর এই জিংক এবং আয়রন আমাদের মাথার ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। তাই চুল পড়া বন্ধ করতে হলে এ ভিটামিন গুলো বেশি বেশি খেতে হবে। এবংভিটামিনযুক্ত শাক সবজি যেমন, মটরশুটি বাদাম কলিজা মাংস দুধ ইত্যাদি খাবার গুলো খেতে হবে। কারণ এই খাবারগুলোতে অধিক পরিমাণে ফলটি আইরন ও জিংক রয়েছে।

পানি

চুল পড়ার জন্য অন্যতম কারণ হতে পারে পানি। তাই চুল পড়া রোধ করতে চাইলে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। আপনার এই সামান্য প্রচেষ্টার কারণে আপনার চুল পড়া রোধ হতে পারে।

ধুমপান

ধুমপান ও অ্যালকোহল রক্তকে দূষিত করে। ফলে শরীর এবং মাথার ত্বকে রক্ত সরবারহ বাধা গ্রস্থ হয়।এর ফলে মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। তাই সবার আগে নিজেকে ধুমপান ও এলকোহল থেকে বিরত রাখতে হবে।

অতিরিক্ত চিন্তা

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও অবসাদ চুল পড়ার জন্য অন্যতম দায়ী হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব নিজেকে হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করুন। এবং খেয়াল রাখুন মাথায় যেন ঘাম জমে শুকিয়ে না যায়। কারণ মাথার ত্বকে অতিরিক্ত ঘাম চুল পড়ার জন্য দায়ী হতে পারে।

ভেজা চুল না আচড়ানো

চুল পড়া রোধ করতে হলে ভেজা চুল কোন অবস্থাতেই আচড়ানো যাবে না। কারণ ভিজা অবস্থায় মাথার চুল অনেক নরম থাকে। তাই ভেজা অবস্থায় মাথার চুল আঁচড়ালে চুল ঝরে যাই। তাই চুল ভালোভাবে শুকানোর পর আঁচড়াতে  হবে।

চুল পরিষ্কার রাখা

চল সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাহির থেকে আসলে শ্যাম্পু করে গোসল করতে হবে। গোসল করা সম্ভব না হলে শুধু মাথায় শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার করতে হবে। এবং চুল শুকানোর পরে হালকা তেল ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি জলপাই তেল, আমলকি তেল, এই জাতীয় তেল গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

চুল পড়া যদিও একটি কমন সমস্যা তবুও এটি ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই চুলপড়া রোধ করতে হলে প্রথমে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। মাথার চুল ভালো ভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে। চুল পড়া রোধের জন্য অনেকেই অনেকে দামী দামী কেমিক্যাল যুক্ত পণ্য ব্যবহার করে থাকেন। তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায় গুলোই অনুসরণ করাই ভালো। কারন এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ হয়তোবা চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায় গুলো পড়ে ফেলেছেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url