উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায় বা পদ্ধতি

উকুন একটি কমন নাম।উকুনের সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। উকুন নিয়ে সমস্যায় পড়েনি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ছেলে মেয়ে ছোট বড় সবাই আমরা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। উকুন একটি উটকো ঝামেলা। মাথায় একবার উকুন হলে সহজে যেতে চাই না। তবে এটি কোন স্থায়ী সমস্যা নয়।
উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায় বা পদ্ধতি

কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। উকুন দূর করার রয়েছে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি বা উপায় । প্রিয় পাঠক, আজ আমি উকুন দুর করার ঘরোয়া উপাই বা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।

ভূমিকা

উকুন একবার মাথায় এসে পড়লে আর সহজে যেতে চাইনা।বিশেষ করে অল্পবয়স্ক বা স্কুল পড়ুয়া শিশুরাই বেশি উকুন নিয়ে সমস্যায় পড়ে থাকেন।ছেলে মেয়ে উভয়ই মাথায় কমবেশি উকুন হয়ে থাকে। তবে পুরুষের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয়ে থাকে। আর এ সমস্যা থেকে সবাই মুক্তি পেতে চাই। এটা কোন স্থায়ী সমস্যা নয়।সঠিক সময়ে যত্ননিলে এবং কিছু ঘরোয়া উপায় বা পদ্ধতি অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

বিভিন্ন কারনে আমাদের মাথায় উকুন হয়ে থাকে ।যেমন ,অনেকেই একজনের চিরনি অন্যজন ব্যাবহার করে থাকি ।চিরনি ভাল্ভবে পরষ্কার করেনা ।একজনের ব্যবহার করা তোয়ালে ,বালিশ বিছানা ব্যবহার করে থাকেন ।এক্ষেত্রে একজনের মাথার উকুন অন্যজনের মাথায় চলে যায়।তাই এইগুলো পরহার করতে হবে।প্রিয়পাঠক ,আজ আমি উকুন দুর করার ঘরোয়া উপায় বা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।

কিভাবে বুঝবেন আপনার মাথায় উকুন হয়েছে 

মাথায় অসহ্য চুলকানি এবং কোন কিছুর বিচরন অনভব করলে বুঝবেন যে আপনার মাথায় উকুন হয়েছে।মাথায় উকুন আসার ৭-১০ দিনের মধ্য ডিম পাড়ে এবং ১০দিন সময় লাগে বড় হতে।এক সাথে অনেক গুলো ডিম পাড়ে তাই মাথায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ।আমাদের দেশে অনেক উকুন নাশক সাবান শ্যাম্প রয়েছে যেমনঃ ইংলিশ উকুন নাশক শ্যাম্প ,ইত্যাদি।কিন্তু এগুলো ব্যবহার করার পরও উকুন বারবার ফিরে আসে।আর এই প্রসাধনিতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দুব্য ব্যবহার করার ফলে চুল পড়া এবং বিভিন্ন এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়।প্রিয় পাঠক ,ভয়ের কোন কারন নেই,এর রয়েছে কিছু ঘরোয়া টোটকা বা পদ্ধতি।এখন আমি উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায় বা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।

উকুন হয়ার কিছু কারন

  • মাথা অপরিষ্কার থকলে
  • ভেজা চুল বেধে রাখলে
  • অন্যর চিরনি,গামছা ,তোয়ালে ব্যবহার করলে
  • অন্যর মাথা থেকে উকুন চলে আসলে
  • মাথায় উকুন আছে এমন কারো সাথে মিশলে
  • ইত্যাদি কারনে মাথায় উকুন হতে পারে ।

মাথার উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায় বা পদ্ধতি

উকুন একবার মাথায় চলে আসলে আর সহজে যেতে চাই না। অনেকেই আমরা উকুন নির্মূলের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য যেমন সাবান ,শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকি। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এসব রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এতে, মাথার চুল ওঠা সহ বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগের সমস্যা হতে পারে। প্রিয় পাঠক, তাই যারা এসব রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা ছাড়াই মাথা থেকে উকুন দূর করতে চান। আজ আমি তাদের জন্য উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায়া বা পদ্ধতি নিয়ে এসেছি। নিম্নে কিছু ঘরোয়া টিপস বা উপায়াগুলো আলোচনা করা হলো।

ভিনেগার

উকুন দূর করার অন্যতম ঘরোয়া উপায় হচ্ছে ভিনেগার। এই ভিনেগার দিয়ে খুব সহজেই মাথা থেকে উকুন দর করা সম্ভব।

প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার

সমপরিমাণ পানি ও ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে ভেজা তোয়ালে দিয়ে আধাঘন্টা মাথা ঢেকে রাখুন।এবার ঘন চিরনি মাথায় চালিয়ে বের করে ফেলুন ডিম সহ সকল উকুন। আপনি চাইলে ভিনেগারের সাথে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন।

অলিভ ওয়েল

আপনি অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করেও খুব সহজেই মাথা থেকে উকুন দূর করতে পারেন। কারণ অলিভ অয়েলের গন্ধ উকুন সহ্য করতে পারে না। যার ফলে অনেক উকুন মারা যায়। এছাড়া আপনি অলিভ অয়েল তেল মাথায় লাগিয়ে কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে মাথা মুড়িয়ে সারা রাত রেখে দিন। এরপর চিকন পাশের চিরনী ব্যবহার করে চুল আচড়িয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।সপ্তাহে একবার এভাবেই ব্যবহার করে থাকুন। আশা করি মাথা থেকে উকুন চলে যাবে।

এসেনশিয়াল অয়েল

এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করে মাথা থেকে উকুন দূর করা সম্ভব। ভেজিটেবল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে একটি তোয়ালি দিয়ে এক ঘণ্টা মাথা ঢেকে রাখুন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। উকুন দূর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

ভেজা চুল আচড়ানো

প্রথমে মাথার চুল ভিজে কন্ডিশনাল লাগাতে হবে। এবার যে কোন পাশের চিরুনি দিয়ে গোড়া থেকে আগা পযর্ন্ত আচড়াতে হবে। এভাবে কয়েকবার ভেজা চুল আঁচড়ালে মাথা থেকে ডিমসহ সকল উকুন বের হয়ে আসবে।

নারকেল তেল ব্যবহার

মাথা থেকে উকুন দূর করতে নারিকেল তেল কার্যকারি ভূমিকা পালন করে। কারণ নারিকেল তেল উকুনের শ্বাসরোধ করে দেয় ফলে উকুন বেশিক্ষন মাথায় থাকতে পারে না। ৩ -টেবল চামচ নারিকেল তেলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ কর্পূর মিশিয়ে তেলটি চুলের গোড়া থেকে আগ পর্যন্ত ভালোভাবে মেসেজ করুন। এরপর তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন। আশা করি এভাবে কয়েকদিন করলে মাথা থেকে উকুন দূর হবে।

পেয়াজের রস

পেঁয়াজের রস উকুন দূর করতে বেশ কার্যকরী। কারণ পেঁয়াজের রসের সালফার রয়েছে।

প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার

প্রথমে চার থেকে পাঁচটা পেঁয়াজ রস করে নিতে হবে। এই রস চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে ২ ঘন্টা তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। ২ ঘণ্টা পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মাথা শ্যাম্পু করে নিন। এবার চুল শুকানোর পর চিরুনি দিয়ে চুল আচড়ালে উকুন বের হয়ে আসবে।

রসুন

রসুন দিয়ে উকুন দূর করা যায়। কারণ রসুনের গন্ধ উকুন সয্য করতে পারে না। ফলে উকুন মারা যায়।

প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার

প্রথমে ১০-১২ কোয়া রসুন ভালোভাবে খোসা ছাড়িয়ে নিন।এরপর রসুন বেটে নিন। এর সাথে দুই চাচা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর এই পেস্ট মাথার ত্বকে ভালোভাবে ঘষে লাগিয়ে নিন। এভাবে ৩০ মিনিট রাখার পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। আশা করি নিয়মিত এভাবে কয়েকদিন করলে উকুন কমে যাবে।

নিম

নিম গাছকে বাড়ির ডাক্তার বলা হয়। নিমের ঔষধি গুনাগুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। নিম হলো প্রাকৃতিক প্রতিষেধক। তাই নিম, মাথার উকুন দূর করতেও কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।

প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার

প্রথমে কিছু নিমপাতা বেটে নিতে হবে। এরপর ২ টেবিল চামচ পাতি লেবুর রস, ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, এবং ২ টেবিল চামচ নিম পাতার রস একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপরে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে এ পেস্টটি লাগিয়ে রাখতে হবে। এভাবে এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে নিতে হবে।

বেবি অয়েল

প্রথমে বেবি অয়েল দিয়ে মাথা ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর সামান্য পরিমাণে কাপড় ধোয়ার পাউডার দিয়ে মাথা আবার ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর মাথায় সাদা ভিনেগার দিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পড়ে ঘুমিয়ে পড়তে হবে। সকালে চিরুনি ব্যবহার করে চুল আচড়ে নিন। দেখবেন সকল উকুন মরে গেছে।

মেয়নেজ

মাথার উকুন তাড়াতে কার্যকর মেয়নেজ।যা আমরা বার্গার, বারবিকিউ, স্যান্ডউইচ ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্যের সাদ বাড়াতে ও মজাদার করতে ব্যবহার করে থাকি।

ব্যবহার

এই মেয়নেজ মাথায় ভালভাবে লাগিয়ে ক্যাপ দিয়ে মাথা ভালোভাবে ঢেকে দিন। এভাবে সারারাত রাখলে উকুন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। এবার সকালে উঠে চিরুনি ব্যবহার করে মাথা ভালোভাবে আচড়িয়ে নিন।এতে উকুনের ডিম সহ সকল উকুন উকুন বেরিয়ে আসবে। এরপর কন্ডিশনাল ব্যবহার করে মাথা ভালো ভাবে কয়েকবার ধুয়ে ফেলুন। তাহলে একদিকে যেমন মৃত উকুন গুলো বেরিয়ে আসবে অন্যদিকে মাথার চটচটে ভাব দূর হবে।

টি ট্রি অয়েল

টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করে উকুন দূর করা যায়। এতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওঅ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান। যা উকুন নিধনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

ব্যবহার

স্ক্যাল্পে কয়েক ফোটা টি ট্রি অয়েল নিতে হবে। এইটা ভালভাবে মাথায় লাগিয়ে ম্যাসাস করে নিতে হবে। এইভাবে ২-৩ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। এভাবে প্রতি সপ্তাহে একবার করে এক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করুন। এভাবে ব্যবহার করলে আশা করি উকুন দূর হবে ইনশাল্লাহ। 

চুল ব্লো ড্রাই

হেয়ার ড্রায়ারের সাহায্য ব্লো ড্রাই ব্যবহার করে চুল থেকে উকুন দূর করা সম্ভব।

ব্যবহার

উকুন দূর করার জন্য ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। হেয়ার ড্রায়ার হিট করে চুলে ধরতে হবে।এক্ষেত্রে তাপমাত্রার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাপমাত্রা যেন অতিরিক্ত না হয়। এই ভাবে বেশ কিছুক্ষণ ব্লো ড্রাই করুন।তার পর চুল ভালভাবে চিরুনি ব্যবহার করে আচড়িয়ে নিন। তাহলে উকুন বের হয়ে আসবে।

নিট কম্ব ব্যবহার

নিট কম্ব ব্যবহার করে উকুন দূর করা সম্ভব। সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে নিট কম্ব বা চিরুনি ব্যবহার করে উকুন দূর করা। এটা খুব সহজেই আপনি যেকোন বাজার থেকে কিনতে পাবেন। এটা দিয়ে দিনে ২-৩ বার চুল আঁচড়াতে হবে।এক সপ্তাহ পরে শুধু রাতে আঁচড়াতে হবে।ফলে উকুনের ডিম সহ অন্যান্য নতুন উকুন গুলো বের হয়ে আসবে। নিট কম্ব ব্যবহার করার পরে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে অথবা ভিনেগারে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে।

চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার

চুলে কন্ডিশনাল ব্যবহার করে উকুন দূর করা যায়। চুলে কন্ডিশনাল দেয়ার পরে কিছুক্ষণ রেখে দিন। কন্ডিশনাল পিচ্ছিল হওয়ার ফলে উকুন চলাফেরা করতে পারবে না। এবার চিরুনি দিয়ে বা নিট কম্ব দিয়ে চুল ভালো ভাবে আচড়িয়ে নিন।তাহলে উকুন আর চুলের সাথে সাথে লেগে থাকতে পারবেনা।

আপেল সাইডার ভিনেগার

শ্যাম্পু করার আগে অথবা শ্যাম্পু করার পরে আপেল সাইডার ভিনেগার দিয়ে চুল ভালোভাবে ভিজে নেই। ভিজে নিয়ে তিন থেকে চার মিনিট রেখে দিন। এই সময়টুকুতে শুকনোতোয়ালি দিয়ে চুল আলতোভাবে মাথার উপর উঁচু করে বেধে রাখবেন। এভাবে ভিজিয়ে রাখার ৩-৪ মিনিট পর নিট কম্ব দিয়ে চুল ভালো ভাবে আচড়িয়ে নিন।

ওভার নাইট ট্রিটমেন্ট

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপেল সাইডার ভিনেগার দিয়ে চল ভালোভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে। এরপর ভিনেগার শুকিয়ে গেলে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে। এরপর একটা সাওয়ার ক্যাপ মাথা ঢেকে রাখতে হবে। এভাবে ৬-৭ ঘন্টা রাখার পরে নিট কম্ব ব্যবহার করে চুল ভালোভাবে আচড়িয়ে নিতে হবে। এরপর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহার করলে আশা করি উকিন দূর হয়ে যাবে।

হেয়ার স্ট্রটনার ব্যবহার

যদিও হেয়ার স্ট্রেটনার চুলের জন্য ভাল নয়।তারপরও আপনি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন। এটা সহনীয় পর্যায়ে তাপ দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। ফলে উকুন মারা যাবে। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। (যাদের চুল কম পড়ে এবং চুল ঘন তারাই এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন)।

ফেস ওয়াস ব্যবহার করে

যেকোনো ফেসওয়াশ দিয়ে উকুন দূর করা সম্ভব। ফেসওয়াশ চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে দিন। এভাবে লাগে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা রাখতে হবে। ফলে উকুন আর নিশ্বাস নিতে পারবে না। এবং সকালে শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধরে ফেলতে হবে। এতে আশাকরি উকুন অনেক কমে যাবে।

শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক আশাকরি এতক্ষন আমার এই পোষ্টি পড়ে শেষ করেছেন।এবং উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো সর্ম্পকে জানতে পেরেছেন। উকুন দূর করার ঘরোয়া উপায় বা পদ্ধতি গুলোর একটিও যদি প্রয়োগ করেন আশাকরি ভাল ফল পাবেন।তবে আমার ব্যাক্তি গত মতামত হচ্ছে বাজারের রাসায় যুক্ত পন্য ব্যবহার না করে ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করাই ভাল।যদিও এতে একটু সময় বেশি লাগে।এতে ক্ষতির পরিমান কম থাকে।তবে আপনার সুবিধা মত পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারেন।আজ আর নয় ,কথা হবে অন্য কোন পোষ্ট নিয়ে ততক্ষন আল্লাহ আপনাদের ভাল রাখুক।আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url