খালিপেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা কি?ও লেবু খাওয়ার ঔষধী গুনগু কি?
লেবু আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি। লেবু বিভিন্ন ভিটামিনে পরিপূর্ণ। এই লেবুর রয়েছে নানান ঔষধি গুনগুন। লেবু আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি। খাওয়া থেকে শুরু করে শরীরের যত্নে আমরা লেবু ব্যবহার করে থাকি।
তাই প্রিয় পাঠক আজ আমি আলোচনা করব, লেবুর বিভিন্ন ঔষধি গুনগুন, লেবু খাওয়ার উপকারিতা, লেবু খাওয়ার নিয়ম, ইত্যাদি। তাই ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত আমার সাথেই থাকুন।
ভূমিকা
লেবু সাইট্রাস লিমন রুটেসি পরিবারের চিরসবুজ সম্পূরক উদ্ভিদের একটি প্রজাতি। লেবু বাংলাদেশের একটি অত্যান্ত জনপ্রিয় একটি ফল। আমরা কম বেশি সবাই লেবু খেতে পছন্দ করে থাকি। লেবুর রয়েছে নানান ঔষধি গুনাগুন।এটা বাংলাদেশের কমবেশি সব জেলাতেই চাষ হয়।বিশেষ করে বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, ও রাজশাহীতেও লেবু বেশি চাষ হয়।
লেবু
লেবু মূলত রুটেসি পরিবারের চিরসবুজ একটি গাছ। সাধারণত এটি দক্ষিণ এশিয়ার, উত্তর পূর্ব ভারতের একটি স্থানীয় গাছ। এই ফলটি সারা বিশ্বে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়।এছাড়াও আরো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় যেমন,পরিষ্কারের কাজেও ব্যবহার করা হয়। লেবুর শাস ও খোশা রান্না ও বেকিং এর কাজে ব্যবহার করা হয়। লেবুর রসে ২.২ পি এইচ এবং ৫%-৬%সাইট্রিক এসিড থাকে যার কারনে এটি খেতে টক লাগে। এছাড়াও লেবুর শরবত খুবই জনপ্রিয়।
লেবুর জাত বা ধরন
সারা বিশ্বে প্রায় ৩০ জাতের লেবু পাওয়া যায়। আমাদের দেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশেও বিভিন্ন জাতের লেবু দেখতে পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশ কয়েকটি জাতের লেবু পাওয়া যায়। যেমন
মিঠা বা শরবত লেবু
এই লেবু আকারে কিছুটা বড় হয়।এই লেবু সাধারণত শরবতের জন্য বেশি ব্যবহার করা হয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে রস থাকে।
বাতাবি লেবু
এ ধরনের লেবু গুলো আকারে অনেক বড় হয়ে থাকে।এগুলোকে জাম্বুরা বলা হয়। এছাড়া মালটা লেবু ও কমলালেবু রয়েছে এর ভিতরে। এগুলোকে মালটা বা কমলা নামে লোকে বেশি চিনে।
কাগজি বা পাতি লেবু
এই লেবু সাধারণত আকারে ছোট হয় এবং আমাদের বছর বাড়ির আশেপাশে দেখতে পাওয়া যায়। এই লেবু খেতে খুব সুস্বাদু।
লেবুর ঔষধি গুনাগুন
লেবু এন্ট্রিঅক্সিডেন্টের একটি অন্যতম উৎস যা শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। শরীরকে সুস্থ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও লেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। বিশেষজ্ঞদের মতে একটি লেবুর রসের প্রায় ১৮. ৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে।
প্রতি ১০০ গ্রাম লেবুতে যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ থাকে তা নিম্নে দেয়া হলো।
উপাদান পরিমাণ
ক্যালোরি ২৯ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৯.৩ গ্রাম
ডায়াটারি ফাইবার 2.৮ গ্রাম
সুগার ২.৫ গ্রাম
প্রোটিন ১.১ গ্রাম
ফ্যাট ০.৩ গ্রাম
ভিটামিন সি ৫.৩ মিলি গ্রাম
ক্যালসিয়াম ২৬ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম
ফস করস ১৬ মিলিগ্রাম
আইরন ৬মিলিগ্রাম
লেবুর উপকারিতা বা পুষ্টিগুণ
লেবু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি এ পরিপূর্ণ একটি ফল।এছাড়াও লেবুতে রয়েছে বায়ো ফ্লাভোনয়েস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আন্টি ইনফ্লামেটরি হিসাবে কাজ করে।নিম্নে লেবুর উপকারিতা গুলো তুলে ধরা হলো।
হার্ট ভালো রাখে
হার্ট ভালো রাখতে লেবু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি মাঋারি সাইজের লেবুতে প্রায় ৪৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। আর এ ভিটামিন সি হার্টের জন্য খুবই উপকারী। তাই লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সাথে সাথে হার্টকেও ভালো রাখে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাই।
ওজন কমায়
লেবুতে রয়েছে ডায়াটরি ফাইবার যা শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে। তাই যাদের শরীরে ফ্যাট বেশি বা ওজন বেশি তারা নিয়মিত লেবু পানি পান করলে পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ওজনও কমে যাই।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে
লেবুতে ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। তাই লেবু আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল বা (LDL)কামিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বা(HDL)তৈরি করতে সাহায্য করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
লেবু হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড যা পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, হজম না হওয়া, ইত্যাদি সমস্যা দূর করে। ফলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
এনিমিয়া দূর করতে
লেবু অ্যানিমিয়া রোগ দূর করতে অনেকটা সাহায্য করে। কারণ লেবুর রস আয়রন যুক্ত খাবারের (absorption) বা শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দে। যেমন কচুর পাতাই প্রচুর পরিমাণ আইরন রয়েছে এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর শোষণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় এবং অ্যানিমিয়া রোগ দূর হয়।
কিডনির সমস্যা দুর করে
লেবু কিডনির পাথর দূর করতে সাহায্য করে। কারণ লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা পাথরকে ভেঙ্গে দেয় এবং প্রসাব নালীর মাধ্যমে পাথর বের করে দেয়।
ক্ষত সারাতে সাহায্য করে
লেবু ক্ষত সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অপারেশনের ক্ষত, কেটে যাওয়ার ক্ষত, বা আঘাত পাওয়া ক্ষত ইত্যাদি যে কোন ধরনের ক্ষত সারাতে লেবুর কোন বিকল্প নাই। কারণ লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ক্ষত সারাতে সাহায্যে করে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমায়
পিরিয়ডের ব্যথা উপশম করতে চা খুবই উপকারী। তবে এই চা এর সাথে আরো কিছু উপাদান যোগ করা দরকার যেমন (দারুচিনি, আদা,তেজপাতা,লবঙ্গ,ইত্যাদি)। আবার কাঁচা হলুদের রস মিশালে আরো বেশি উপকার হয়।
টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
লেবু বা লেবুর শরবত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। লেবুর রস বা শরবত খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিয়ে ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রণ করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে লেবু সাহায্য করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের যেকোনো সময় ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে। এ সময় লেবুর রস বা শরবত খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত লেবুর শরবত খাওয়া উচিত।
শরীরে এনার্জি যোগাই
গরমের দিনে অনেকেই অতিরিক্ত ঘামাই, এতে করে পানি শূন্যতা দেখা যেতে পারে ।এই পানি শূন্যতা রোধ লেবু শরবত খুবই উপকারী। এতে রয়েছে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম। সোডিয়াম আমাদের লবণের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি পটাশিয়াম আমাদের শরীরে এনার্জি যোগাই ও দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ফুসফুস কে সুরক্ষিত রাখে
ফুসফুসের সুরক্ষায় লেবুর কোন বিকল্প নাই। লেবু শরীরের চর্বি ও লিপিডের মাত্রা কমিয়ে ফুসফুস কে সুরক্ষিত রাখে।
ক্যান্সার প্রতিব করে
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে লেবু সহায়তা করে। কারণ লেবুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।বিশেষ করে স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী।
গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
গর্ভবতী মায়েদের জন্য লেবু খুবই উপকারী। কারণ গর্ভবতী মায়ের পাশাপাশি তার অনাগত সন্তানের জন্য বেশ উপকারী। কারণ লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফসফরাস, যা শিশুর হাড়,মস্তিষ্ক গঠনে খুবই কার্য করি।
লিভার ভালো রাখে
লিভারের সুরক্ষার জন্য লেবু খাওয়া খুবই দরকার। কারণ লেবুতে থাকা এসিড আমাদের দেহের দূষিত টক্সিত পদার্থ দূর করে। লিভার কে সুরক্ষিত রাখে।
সিজনাল সমস্যা দূর করে
লেবু আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে মজবুত করে। সিজনাল সমস্যা যেমন জ্বর সর্দি কাশি এলার্জি, ইত্যাদি রোধে সাহায্য করে।
পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখে
লেবু আমাদের শরীরের পিএইচ (PH)এর ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। লেবুতে থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইটো কেমিক্যাল আমাদের দেহের ইলেক্ট্রোলাইটের ব্যালেন্স ঠিক রাখে।
লেবুর অপকারিতা
এতক্ষণ আমরা জানলাম লেবুর গুনাগুন বা লেবু খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি। প্রতিটি জিনিসই নিয়ম মেনে খেলে উপকার হয়। নিয়মের বাইরে খেলে বা ব্যবহার করলে ক্ষতি বা শরীরের জন্য অপকার হতে পারে। প্রিয় পাঠক এখন আমরা জানবো লেবু খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি।
- যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের অতিরিক্ত লেবুর রস না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং বমি বমি ভাব আসতে পারে।
- অতিরিক্ত লেবু পান করলে শরীরকে দুর্বল করে ফেলে। এতে শরীরের এনার্জির ঘাটতি হতে পারে।
- অনেকেই শরীরের ওজন কমানোর জন্য লেবুর রস বা শরবত খেয়ে থাকেন। এতে শরীরে পুষ্টিগুণের অভাব দেখা যেতে পারে।
- লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড যা অতিরিক্ত খাবার ফলে মুখের ভিতরের নরম কষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- লেবুতে সাইট্রিক এসিড রয়েছে। তাই লেবু সরাসরি ত্বকে লাগানো যাবে না এতে করে ত্বক পুড়ে যেতে পারে। তাই লেবুর অতিরিক্ত ব্যবহার সাস্থ্যর জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে।
লেবু খাওয়ার নিয়ম বা খালি পেটে লেবু পানি খাওয়া কি উপকারী?
খালি পেটে লেবু পানি পান করা কি ক্ষতিকর না উপকারী অনেকের মনে এই প্রশ্ন রয়েছে। প্রিয় পাঠক, আজ আমি এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। তাই ধৈর্য ধরে আমার সাথেই থাকুন।
অনেকেই ঘুম থেকে উঠে চা বা কফি ইত্যাদি খেয়ে থাকেন। এতে গ্যাস্টিকের সমস্যা সহ নানান শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও মরন ব্যাধি ক্যান্সারের মতো রোগ হতে পারে। তাই খালি পেটে চা বা কফি না খাওয়ায় ভাল। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে লেবু পানি পান করা কি ক্ষতিকর কি না।
অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করে থাকেন। কেউআন্টি আন্টি অক্সিজেন ব্যবহার করে থাকেন শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য কেউ বা খেয়ে থাকেন গ্যাস্টিকের সমস্যার জন্য। তবে লেবুর তৈরি শরবত সবারই প্রিয়।বিশেষ করে গরমে বাহির থেকে এসে লেবুর শরবত খুবই জনপ্রিয় এবং সাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী।
অনেকই আবার এর সাথে হালকা চিনি মিশিয়ে পান করতে ভালবাসেন।কিন্তু অনেকেই জানেনা যে এতে শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে। কিন্তুু একটু পরিবর্তন এনে লেবু পানি পান করলে সাস্থ্যর জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে দুই চামচ লেবুর রস এবং সেই সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে চমৎকার ফল পাওয়া যায়। কোনভাবেই ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে পান করা উচিৎ নয়।
গরম পানি মেদ কমাতে, লেবু পানি পাকস্থলী পরিষ্কার করতে এবং মধু হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও হাড়ের ক্ষয় রোধ,হাড়কে শক্তি শালিকরে,রোগ প্রতি রোধ ক্ষমতা বাড়াতে, এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্যে করে। এছাড়াও লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। যা শরীরের অ্যন্টিঅক্সিডেন্টে হিসাবে কাজ করে। এবং রক্তের শর্করা কামিয়ে দেয়।ওজন কমাতে এবং দাতের মাড়ি মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই প্রিয় পাঠক,উপরিউক্ত নিয়মে লেবু পানি পান করলে শরীরের জন্য উপকার হবে ইনশাআল্লাহ,।
শেষ কথা
লেবুএকটি জনপ্রিয় ফল।বিশেষ করে রান্নার কাজে এবং শরীরের যত্নে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও লেবুর শরবত খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয়। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে খালিপেটে লেবু খাওয়া যাবে কিনা।প্রিয় পাঠক আজ আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে এই বিষয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আশাকরি আপনারা উপকৃত হয়েছেন।যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আত্মাীয় সজন বন্ধু বান্ধবদের মাঝে এই পোষ্টি শেয়ার করে দিবেন যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য ধরে আমার সাথে থাকার জন্য।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url