শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি? বাচ্চাদের জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত

সাধারনত বড়দের তুলনায় শিশুদের শরীরের তাপমত্রা বেশি থাকে।তবে বয়স সাস্থ্য,দৈন্দিন ক্রিয়াক লাপ ও সময়ের সাথে সাথে পরিবরতিত হয়।সাধারনত মানুষের শরীরের তাপমত্রা বিকাল থেকে সন্ধার মধো সরবচ্চ আর মধোরাত থেকে ভোরের মধো সরব নিম্ন থাকে।এমন কি একজন মানুষ কি পোশাক
পরে তার উপরও তার শরীরের তাপমাত্রা নিরভর করে।


শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে বা শিশুর জর ১০২ ডিগ্রী হলে করণীয় কী তা জানতে হলে আমার এই পোষ্টী শুরু থেকে শেষ পুরযন্ত ভাল ভাবে পড়তে হবে।শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে, সাধারনত বাবা মা চিন্তিত হয়ে পড়েন ।এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে গামুছ করে দেবেন এবং তরল খাবার যেমনঃ ডাবের পানি,শরবত স্যুপ ইত্যাদি বেশি বেশি করে খাওয়াবেন।গোসল বন্ধ না করে প্রয়োজনে হালকা গরম পানি করে গোসল করাতে হবে।স

ভুমিকা

শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে বা জর হলে ভেঙ্গে পরার কিছু নেই ।কারন বড়দের তুলনায় ছোটদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে।শিশুদের জর হলে প্রথমে পাতলা কাপড় পানিতে ভিজিয়ে গা মুছ করে দিতে হবে। তাতেও জর না কমলে। শিশুদের জন্য বহুল ব্যাহত ও কারযকারি ঔষধ হল প্যারাসিটামুল।পেট ব্যাথা ,মাথা ব্যাথ্‌ কান ব্যাথা ও সরদি কাশির চিকিৎসায় ব্যাবহত হয়ে থাকে। 
এগুলো ডাক্তারের পরামরস অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।

সূচিত্র

  •  শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কী?
  • বাচ্চাদের শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর ধরা হয়?
  • বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করনীয়
  • বাচ্চার জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত?
  • বাচ্চাদের জ্বরের জন্য কোন এন্টিবায়োটিক ভালো?

  • শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয়

শিশুদের শরীরের তাপমাত্রা (১০০থেকে১০২)ডিগ্রী ফারেন্ট হাইট হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।প্রথমে ভিজা কাপড় বা গামছা দিয়ে গামুছ করে দিতে হবে । মুখে ঔষধ খাওয়াতে হবে।ট্যাবলেট বা সিরাপ (বয়স অনু্যায়ী) খাওয়ানো যেতে পারে।এবং বেশি করে তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।যাতে শিশুর শরীর দুর্বল না হয়ে পড়ে ।
এবং শিশুকে বিশ্রাম নিতে দিন ও ভাল ঘুমাতে দিন।শিশু ঘুমিয়ে গেলে ঘুম ভাঙ্গিয়ে ঔষধ খাওয়ানোর দরকার নেই।

বাচ্চাদের শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর ধরা হয়?

জর তখন বলা হবে যদি মুখে নেওয়া তাপমাত্রা ৩৭.৬০ সেন্ট্রিগেটের বেশি ,পায়ু পথে নেওয়া তাপমাত্রা ৩৮.০০ সে.-এর বেশি ,বগলের নিচে নেওয়া তাপমাত্রা ৩৭.৪০ এর বেশি হয় ।সঙ্গে উপ সরগ হিসাবে থাকতে পারে কাপুনি ,মাংশ পেশিতে ব্যাথা,ক্ষুধামন্দা ,বেশি ঘুম ক্লান্তি,জল তেষ্টা ও প্রসাব কমে যাওয়া ইত্যাদি।

বাচ্চাদের হঠাৎ জ্বর হলে করনীয়ঃ

শিশুদের হঠাত শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বা জর হলে মা বাবা উদ্দীগ্ন বা চিন্তীত হয়ে পড়েন অনেক সময় বাচ্চার কাছে কান্না কাটি শুরু করেন। এতে বাচ্চা বা শিশু ঘাবড়ে যেতে পারে। তাই বাচ্চার কাছে কান্নাকাটি করা থেকে বিরত থাকাই ভাল।জর কোন অসাভাবিক অসুখ নয়। এটা হতে পারে অন্য কোন রোগের সতরকতা বা উপ সরগ ।

 তাই ঘাবড়ে না গিয়ে জর কমানোর ব্যাবস্থা করতে হবে।
শিশুর শরীরের তাপমাত্রা যদি স্নাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়,চোখ মুখ লাল হয়ে যায় অতিরিক্ত ঘামতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে এই সবই শিশুর জ্র আসার প্রাথমিক লক্ষন।শিশু ঘন ঘন তেষ্টা পেতে পারে।এই ল ক্ষন গুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে শিশু জরে আক্লান্ত হয়েছে ।

অনেক সময় বাবা মা শিশু যে ঘরে থাকে সে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দেন এবং শিশুকে কাথা ,কম্বল মুড়িয়ে রাখেন।এটা ঠিক নয় এতে করে শিশুর জ্র আর ও বেড়ে যেতে পারে।শিশুর ঘর যাতে ঠান্ডা থাকে এবং প রযাপ্ত আলো বাতাস চলাচল ক রতে পারে সে দিকে ল ক্ষ্য রাখতে হবে ।

কোনভাবেই যেন শিশুর শরীরে পানি শূন্যতা দেখা না দেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । তাই শিশুকে বেশি বেশি তরল খাবার খেতে দিতে হবে ।যেমনঃ জুস ,পানি ,ডাব সু্প,ইত্যাদি।

বাচ্চার জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত?

প্যারাসিটামল হল শিশুদের ব্যাথানাশক হিসাবে ব্যাবহত একটি বহল পরিচিত ঔষধ।এটি মাথা ব্যাথা ,কান ব্যাথা ও সরদি কাশির চিকিতসায় ব্যাবহত হয়।এছড়া জর কমাতে ও এটি ব্যাবহত হয়।
বাজারে প্যারাসিটামুল ট্যাবলেট , সিরাপ ,ও পেডিয়াট্রিক ড্রপ হিসাবে পাওয়া যায়।তবে এটি বয়স অনুযায়ীবা ডক্তারের পরামরশ অনুযায়ী সেবন করাতে হবে।

বাচ্চাদের জ্বরের জন্য কোন এন্টিবায়োটিক ভালো?

অনেক বাবা মা বা অভিভাবক শিশু বা বাচ্চার জর হলে চিন্তীত হয়ে পড়েন।তাই শিশুর জর দূত কমানোর জন্য চেষ্টা করেন।এজন্য অনেকেই জানতে চান কোন ঔষধ বা এন্টিবায়ুটিক খাওয়ালে শিশু দ্যুত জর থেকে মুক্তি পাবেন।

তবে প্রাথমিক অব্যাস্থায় এন্টি বায়ুটিক খাওয়ানো উচিত নয়।প্রথমে প্যারাসিটামুল ট্যাব লেট বা সিরাপ (বয়স অনুযায়ী ) খাওয়াতে হবে ।তারপরেও যদি জর না যায় ,তাহলে ডাক্তারের পরামরশ অনুযায়ী এন্টীবায়ুটিক সেবন বা খাওয়াতে হবে। এন্টিবায়ুটিকের আবার বেশ কিছু গ্রুপ রয়েছে। নিচে কিছু
এন্টিবায়ুটিকের নাম উল্লেখ করা হল।

১। যেমনঃ ম্যাক্রলাইট গ্রুপের এন্টিবায়ুটক হল এ্যজিথ্রমাইসিন।এগুলো বাজারে বিভিন্ন নামে পাওয়া যায়। যেমনঃজিমাক্স,জিক্সিন,একোজিত ইত্যাদি।



২।এছাড়া সে ফিক্স জিম গুপ: যেমন: Clavucef,Clacef,Cefotil,ইত্যাদি। বাজারে বিভিন্ন ফরম্যাট এ পাওয়া যায়। যেমন : সিরাপ,ট্যাবলেট,পেডিয়্যাকিট ডপ ইত্যাদি। বয়স ও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।

মন্তব্য

আশাকরি আমার এই পোস্ট পড়ে আপনারা উপকৃত হতে পেরেছেন। আমার এই পোস্টি পড়ে যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার আত্মাীয় ও বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন জাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারেন।আমার লেখার মধ্যে ভুল থাকতে পারে। যদি ভুল থাকে আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং পরামর্শ দিয়ে যাবেন যাতে আমি আমার ভুল বুঝতে পারি এবংআরো ভাল লিখতে পারি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url