অনিয়মিত মাসিক হলে নিয়মিত করার ঘরোয়া পদ্ধতি সর্পকে জেনে নিন
প্রজনন ক্ষমো নারীদের দেহে যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঘটে তাকে পিরিয়ড বা মাসিক বলা হয়। প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর মেয়েদের যোনি পথ দিয়ে যে রক্ত স্রাব বা রক্ত বের হয় তাকে পিরিয়ড বা ( মাসিক) বলে।এটা প্রতি মাসে সাধারণত একবার হয়ে থাকে। এটা ৩-৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে কমবেশি হতে পারে।
প্রথম দুই তিন দিন বেশি রক্তচাপ হয় পরবর্তীতে এটা কমতে থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে এক মাসের আগে বা পরেও হয়ে থাlকে যেটাকে অনিয়মিত পিরিয়ড বা(মাসিক) বলা হয়। অনিয়মিত পিরিয়ড মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার অনেক ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যে গুলো নিয়ে আমি আলোচনা করব আমার এই পোস্টে।
ভূমিকা
প্রজনন ক্ষমা নারীদের প্রতিমাসে মাসিক বা পিরিয়ড হওয়া একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। এটি প্রতিমাসে হয় বলে এটা কে বাংলায় সাধারণত (মাসিক) বলে অভিহিত করা হয়। মাসিকের ইংরেজি শব্দ (Menstrual cycle) বা ঋতু চক্র বলা হয়। প্রথম শুরু হয় সাধারণত ১০ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তবে এটা ভৌগলিক আবহাওয়া, শারীরিক গঠন, ইত্যাদির উপর নির্ভর করে সময়ের কম বেশি হতে পারে। নারীদের সময় মত নিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক হওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে বর্তমানে শতকরা ৯০ ভাগ মহিলাই অনিয়মিত মাসিক বা পিরিয়ড সমস্যায় ভুগছেন। প্রিয় পাঠক,আর নয় চিন্তা, যারা এ সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যই এই পোস্টটি। আজ আমি আলোচনা করব অনিয়ত মাসিক কেন হয়, কি সমস্যা হতে পারে, এবং এর ঘরোয়া চিকিৎসা। তাই আশা করি শেষ পর্যন্ত আমার সাথেই থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
মাসিক বা পিরিয়ড কি
মাসিক বা পিরিয়ড (Menstrual cycle)বলতে নারীদেহের ২৮ দিনের একটি পর্যায়ক্রমিক শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে বোঝাই। এটা সাধারণত কিশোর বয়সে বা ১০ থেকে ১৬ বছরের বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে। সাধারণত ভৌগলিক আবহাওয়া, শারীরিক গঠন বা শক্তি, খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে এর সময় কম বয়সী হতে পারে। এই চক্র ২৮ দিন পরপর বা তার কিছু আগে বা পরে হতে পারে। এটি একটি শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যা প্রজননের সাথে সম্পর্কিত।
এ সময় প্রজননের উদ্দেশ্যে নারীর ডিম্বাশয় ডিম্ব স্ফুটন হয় এবং তা ফ্যালোপিয়ন টিউব দিয়ে জরায়ুতে চলে আসি এবং তিন থেকে চার দিন অবস্থান করে। এ সময় যদি পুরুষের যৌনমিলনের মাধ্যমে নারীর জরয়াুতে শুক্রানু না আসে আর এই কারণে যদি ডিম্ব নিষিক্ত না হয় তবে তা নষ্ট হয়ে যায় এবং জরায়ু গাত্রের অভ্যন্তরতম সরস স্তর ভেঙে পড়ে।এবং এর ফল সরুপ যোনিপথ দিয়ে কয়েক দিন ধরে যে রক্তপাত হয় সেটাই ঝতুচক্র মাষিক নামে পরিচিত।
মাসিক বা পিরিয়ড কেন হয়
প্রতি মাসে মেয়েদের প্রিরয়ড বা মাসিক হওয়া একটি সাধারন প্রক্রিয়া। কিন্তু এটা কি কারণে ঘটে এর বৈঙ্গানিক ব্যাখাই বা কি তা অনেকরই অজানা। প্রিয় পাঠক, আসুন জেনে নেওয়া যাক এর বৈঙ্গানিক কারণ।
প্রতি মাসে, জরায়ুর আস্তরন,ডিম্বাণুর জন্য প্রস্তুত হয়।যদি এই ডিম্বাণু সার না হয়,তাহলে এই আস্তরণটি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়,যার ফলে রক্তপাত হয়।এছাড়াও মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নামক হরমোন। ডিম্বাসয়ে ডিম্বাণু উৎপন্ন হলে, এই হরমোনের মাত্রা বূদ্ধি পায় এবং জরায়ুর আস্তরন ঘন হয়।যদি ডিম্বাণু সার না হয়, তাহলে হরমোনের মাত্রা কমে যায় এবং জরায়ুর আস্তরব ভেঙ্গ যায় যে কারণে রক্তোত ঘটে।
পিরিয়ডের কিছু লক্ষণ
পিরিয়ডের কিছু লক্ষন আছে যেগুলো নিম্নে দেওয়া হল
রক্তপাত
এটি মাসিকের সাধারণ ও প্রধান লক্ষন।এই রক্তপাত ২-৫ দিন স্থানীয় হয় তবে কারো কারো ক্ষেত্রে কম বা বেশি হতে পারে।
পেট ব্যথা
পেট ব্যথা মাসিকের একটি সাধারন লক্ষন।এই ব্যথা ব্যক্তিবিষেশে কম বেশি হতে পারে।
বুক ব্যথা
কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে বুক ব্যথা হতে পারে।
মেজাজ পরিবর্তন
যাদের ব্যথা তীব্র হয় তারা অনেক সময় মেজাজ হারিয়ে ফেলে। এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
অবসাদ
কিছু মহিলা মাসিকের সময় অবসাদ বা হতাশ অনূভাব করতে পারে।
শরীরে ব্যথা
অনেক সময় মাসিকের সময় পেশিতে টান বা ব্যথা অনূভূত হয়।
পিরিয়ড সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- মাসিক সাধারণত ২১-৩৫ দিনের মধ্যে হয়।
- রক্তপাতের পরিমান ৫-৮৫ মিলিলিটার হতে পারে।
- মাসিক ৯-১৬ বছর বয়স থেকে শুরু হয় এবং ৪৫-৫৫ বছর বয়সে থেমে যায়।
- গর্ভবতী ও স্তন্য দানকারী মহিলাদের মাসিক হয়না।
- এছাড়াও কিছু ঔষধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি মাসিককে প্রভাবিত করতে পারে।
অনিয়মিত পিরিয়ড কি
মহিলাদের মাসিক সাধারণত ২৮ দিন বা এক মাস পরপর হয়ে থাকে। কিন্তু যখন এর ব্যতিক্রম ঘটে তার অর্থাৎ এর আগে বা পরে হয় তখন তাকে অনিয়মিত মাসিক বলেএটা বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে। নিম্নে এই কারনগুলা দেওয়া হল।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
ঋতুচক্র বা মাসিক নিয়ন্ত্রণ করে এস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টোরন নামক হরমোন। এই হরমোনের মাত্রার কমবেশির কারনে অনিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক হতে পারে
চিকিৎসা গতকারনে
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (pcos),এটা একটি সাধারণ অবস্থায় যা ডিম্বাশয় ছোট ছোট সিস্ট তৈরি করে। pcosএর ফলে হরমোনের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং অনিয়মিত মাসিক হতে পারে।
থাইরয়েড সমস্যা
থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোন উৎপাদন করে। যা শরীরের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। এই থাইরয়েডের সমস্যা হলে অনিয়মিত মাসিক হাতে পারে।
গর্ভ অবস্থা
যখন মহিলারা গর্ভবতী হয় তখন মাসিক বন্ধ থাকে।
স্তন্যদান
স্তন্যদানকালে মহিলাদের মাসিক নিয়মিত নাও হতে পারে।
জরায়ুর সমস্যার কারনে
জরায়ুর ফাইব্রেড,পলিপ বা কান্সারের মতো সমস্যা হলে অনিয়মিত মাসিক হতে পারে।
জীবন ধারণগত কারণ
অতিরিক্ত ওজন
অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে হরমোন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক হতে পারে।
অল্প ওজন
ওজন বেশি হলেও জীবন সমস্যা অন্যদিকে ওজন কম হলেও সমস্যা সৃষ্টি করে। যাদের শরীরের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম তাদের এ সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত ব্যায়াম
অনেক সময়অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয় ফলে অনিয়মিত মাসিক হতে পারে।
মানসিক চাপ
অনেক সময় মানসিক চাপে এ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক হয়।
অপর্যাপ্ত ঘুম
ঘুম মানুষের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি বস্তু। অনেক সময় ঘুম কম হলে হরমোনের তারতম ঘটে যার কারণে অনিয়মিত মাসিক হয়।
ধূমপান বা মাদকাসক্তি
নিয়মিত ধূমপান বা অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস নিয়মিত খেলে। হরমোনের পরিবর্তন ঘটতে পারে । এর ফলে অনিয়মিত মাসিক হতে পারে।
ঔষধ
কিছু ঔষধ সেবনের কারনে হরমোনের ভারসাম্য হারাতে পারে। যেমন, জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ, আন্টিডিপ্রেসেন্ট এবং আন্টি কনভাল সেন্ড, এই ওষুধগুলো খেলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হতে পারে ফলে অনিয়মিত মাসিক হতে পারে।
অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করার ঘরোয়া পদ্ধতি বা টিপস
প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের প্রতিমাসে ঋতুচাপ বা পিরিয়ড হওয়াটা একটি সাধারণ বিষয়। যদিও এটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে এখনো আমাদের সমাজে এটা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা সহজভাবে গ্রহণ করে না। ঋতু চক্রের দৈর্ঘ্য (পিরিয়ড শুরু থেকে পরবর্তী পিরিয়ড শুরুর মধ্যকার সময়) ২৮ দিন হয়। তবে এটা যদি এক সপ্তাহের বেশি দেরিতে শুরু হয় বা পূর্বে শুরু হয় তবে এটাকে অনিয়মিত মাসিক বলা যেতে পারে। অনিয়মিত মাসিক নারীর স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও সূখকর নয়।অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করনের অনেক ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। তারমধ্যে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা অন্যতম। নিম্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতি তুলে ধরা হল।
কাঁচা পেঁপে খাওয়া
কাঁচা পেঁপে অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করোনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এটা জরায়ুর পেশী তন্ত্র কে সংকুচিত করতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত কাঁচা পেঁপের রস পান করলে এ সমস্যা সহজে দূর হয়ে যাবে। তবে মনে রাখতে হবে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে এটা মোটেও পান করা যাবে না।
হলুদ
হলুদের গুনাগুন সম্পর্কে কারোরই অজানা নেই। তাহলে কি আমরা রান্না মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। এটি পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ বইন করে। এটা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি এর অ্যান্টিস্পাসমোডিক ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য মাসিকের ব্যথা উপশম করে। এটা দুধ মধু বা গুড়ের সঙ্গে এক চতুর্থাংশ চা চামচ হলুদ খেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
অ্যালোভেরা
একটি তাজা সতেজ অ্যালোভেরার পাতা থেকে অ্যালোভেরা জেল বের করুন, এক চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে নিয়মিত খেতে থাকুন। এর জাদুকরী ফল আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন। তবে বলে রাখা ভালো এটা মাসিকের সময় খাওয়া যাবে না।
আদা
অনিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক নিয়ন্ত্রণে আদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক টেবিল চামচ আদা পাঁচ মিনিট পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে এর সাথে সামান্য পরিমাণ মধু যোগ করে নিয়মিত খান। এতে আপনি ভাল ফল পাবেন ইনশাল্লাহ।
জিরা
মাসিক নিয়মিত করনে জিরার কোন জুড়ি নেই। প্রথমে দুই চামচ জিরা পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এরপর সকালে এটা ভালোভাবে সেকে নিয়মিত পান করুন। আশা করি আপনার সমস্যার সমাধান পাবেন।
দারুচিনি খাওয়া
দারুচিনি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি মাসিক চক্রকে নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক গ্লাস গরম দুধের সাথে ১ চা চামচ দারুচিনি গুড়া মিশিয়ে নিয়মিত পান করুন। এটি অনিয়মিত মাসিক দূর করবে ইনশাল্লাহ।
যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন
স্ট্রজ শরীরের ভারসাম্যহীনতার জন্য অন্যতম কারণ। যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন মাসিক চাপ উপশম করতে সাহায্য করে। তাই ওষুধ ছাড়াই নিয়মিত এ দুটি পদ্ধতি অনুসরণ করলে মাসিক নিয়মিত হবে ইনশাল্লাহ।
গরম পানি
অনেকেরইপিরিয়ডের সময় তলপেট ও অনেক ব্যাথা করে। এ সময় হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে ব্যথার জায়গায় চেক দিলে আরাম পাওয়া যায়। এবং কোন কারনে যদি মাসিকের রক্ত জমে থাকে তাহলে গরম সেকের ফলে জমে থাকা রক্ত দ্রুত বের হয়ে আসে। ১০-১৫ মিনিট পর পর দিনে ২-৩ বার সেক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
মৌরি
মৌরি পানিতে ফুটিয়ে চা তৈরি করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এ চা পান করলে অনিয়ত মাসিকের সমস্যা অনেক অংশ দূর হয়। এছাড়াও রাতে এক গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ মৌরী ভিজিয়ে রেখে সকালে ওই পানি পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
খাবার খাওয়ার আগে দুই চা চামচ আপেল সাইটার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এটি রক্তের ইনসুলিন ও ব্লাড সুগার কমিয়ে দিয়ে মাসিক কে নিয়মিত করে থাকে।
প্রিয় পাঠক, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন যে, খুব সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ওষুধগুলো তৈরি করে নিয়মিত সেবন করলে খুব সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করার কিছু জাদু করে টিপস
প্রিয় পাঠক, এছাড়াও আরো কিছু জাদু করে টিপস আপনাদের মধ্যে আলোচনা করব।আসুন জেনে নেয়া যাক এই জাদুকরী টিপস গুলো কি কি?
- কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম রয়েছে যা নিয়মিত করলে অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত হয়ে যায়।ওই ব্যায়াম পিরিয়ডের আগে কিংবা পিরিয়ডের সময় করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কোন ব্যায়াম গুলো করবেন সেগুলো উইটিউবে দেওয়া আছে।প্রিয় পাঠক, এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো মুখে বলে বোঝানো সম্ভব নয়, তাই (youtub) দেখে ব্যায়াম গুলো করাই ভালো।
- টক জাতীয় ফল, যেমন তেতুল, মালটা, জলপাই, আমলকি, ইত্যাদি ফল নিয়মিত খেলে পিরিয়ড নিয়মিত হয়।
- অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করতে তিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ তিলের উপাদান হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। অল্প পরিমাণ তেলের সাথে এক চা চামচ গুড মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে খেলে দেখবেন জাদুকরি উপকার পাচ্ছেন।
শেষ কথা
একটি নির্দিষ্ট বয়সে কিশোরী কিংবা তরুণীর পিরিয়ড বা মাসিক হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এটা প্রতিমাসে সার্কেল অনুযায়ী আবর্তিত হয়ে থাকে। তবে এই নিয়মের যদি ব্যতিক্রম ঘটে তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে কোন সমস্যা হয়েছে। আর একেই অনিয়মিত ঋতুস্রাব বলা হয়। এটা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে যার ব্যাখ্যা আমি আগেই দিয়েছি। অনিমিত পিরিয়ড নিয়মিত করার বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আমার এই আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক, আমার এই আর্টিকেলটি আপনার যদি উপকারে আসে তাহলে আমার লেখা সার্থক। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url