আনারসের উপকারিতা অপকারিতা ও আনারস খাওয়ার নিয়ম ।
আনরস বাংলাদেশের একটি জনপ্রীয় ফল ।বাংলাদেশ প্রকৃতিক সুন্দরযে ভরপুর।এখানে অনেক দেশীয় ফল ফলাদি পাওয়া যায়।যেমনঃ আম, জাম, কলা,লিচু, পেপে ,ও আনারস তাদের মধো অন্যতম
আনারস বাংলাদেশের মধুপুরের প্রায় সব উনিনয়নে চাষ হলেও অরোন খোলা,শোলাকুড়ী, আউশ নাড়া ইউনিয়নে বেশি চাষ হয় ।
আমাদের দেশে আনারস খুবই একটি জনপ্রিয় ফল ।ফলটি খুবই রসাল ওমিষ্টি।
Bahunetraphalam,etc
.এর বৈঙ্গানিক নাম ও আছে।যেমনঃAnanus Comosus.এই ফলটির জন্মস্থান দক্ষিন আমিরিকা মহাদেশে।ব্রজিল ,ফিলিপাইন,এবং কোস্টারিকা এই তিনটা দেশে প্রচুর পরিমানে আনারস চাষ হয়।এই তিনটা দেশ মিলে বিশের আনারস উতপাদনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ উতপাদন করে থাকে।
ভুমিকা আনারস বাংলাদেশের একটি অনেক জনপ্রীয় ফল।এটা বিষেশ করে বাংলাদেশের পাহাড়ী অঞ্চলে বেশি উতপাদিত হয়।যেমনঃসিলেট,মধুপুর,ইত্যাদি অঞ্চলে বেশি চাষ হয়।আনারস খাওয়ার যেমন উপকারতা রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে।এবং আনারস খাওয়ার কিছু নিয়মও আছে।
সূচিপ্ত্র।
- আনারসের উপকারিতা অপকারিতা
- খালি পেটে আনারস খাওয়ার উপকারিতা
- জ্বরে আনারসের উপকারিতা
- রাতে আনারস খেলে কি হয়
- আনারসের উপকারিতা অপকারিতা ও আনারস খাওয়ার নিয়ম
- গরবতী মায়েরা আনারস খেতে পারবে ক?
এই ফলের কিছু উপকারিতা রয়েছে।যেমনঃ সকাল বেলা
খালি পেটে আনারস ও পানি খেলে অনেক উপাকার হয়।এছাড়াও
আনারসে আছে এনজাইম,ব্রমেলেইন,এন্টি অক্রিডেন্ট,ভিটামিন সি ইত্যাদি।
বাংলাদেশের দেশীয় ফল ফলাদি ।
![]() |
কিন্তু খালি পেটে শুধু দুধ ও আনারস খেলে যাদের এন্টি আলসারেন্ট আছে তাদের গ্যাস বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।কারন আনারসে থাকে সাইট্রিক ও ম্যালিক এসিড।
জ্ররে আনারস খেলে কি কি উপকার হয় ।
জ্বরে আনারসের উপকারিতা
আমরা জানি যে আনারসে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে।তাই ভাইরাস জনিত জ্ররে আনারস খেলে সদি ,কাশিতেও বেশ উপকার হয় ।এছাড়া জর ও জন্ডিস প্রতিরোধে বেশ কাযকারি।এছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া গলা ব্যাথা ও ব্রঙ্কাইটিস রোগেও বেশ ভুমিকা পালন করে থাকে।কারন আনারসে থাকে প্রচুর পরিমানে ফাইবার বা আশ।
রাতে আনারস খেলে কি হয় ?
রাতে টক জাতীয় কোন খাবার বা আনারস খেলে অনেক সময় ব্যাক্তি বিশেষে এসিডিটি বা গ্যাস্টিক হতে পারে।তাই রাতে টক জাতীয় কোন খাবার বা আনারস না খাওয়ায় ভাল ।আনারস খাবারের আগে খাওয়া ভাল ,তাহলে গ্যাস্টিক হবার সম্ভবনা কম থাকে । আনারস খাওয়ার পরে দুধ খাবেননা। কারন দুধে থাকে ল্যাক্টিক এসিড ।
গরববতী মায়েরা আনারস খেতে পারবে কি?
আমাদের দেশে একটি কথা প্রচলিত আছে যে গরববতী মায়েরা নাকি আনারস খেতে পারবেনা। কারন আনারস খেলে গরববতী মায়েদের এবশন হওয়ার ঝুকি বাড়ে ।
যুক্তরাজ্য ভিক্তীক মাও শিশু সংস্থা উইকে এক প্রতিবেদবনে প্রকাশ করে যে গরভাবস্থায় আনারস খাওয়া সম্পুন্ন নিরাপদ। এতে এবশনের কোন ঝুকি এই মুহুতে বিঙানীদের হাতে নেই।
![]() |
এটি অন্যান্য ফলের মত অত্যান্ত সুসাদু ও সাস্থ্যকর রসাল ফল ।এতে অনেক বেশি ফাইবার থাকায় গরববতী মায়েদের কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দুরকরে ।আনারসে ব্রোমিলিন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে যা পুবে এবরশোনের জন্য ব্যাভার করা হতো ।কিন্তু একটি আনারসে এর পরিমান অনেক অনেক কম ।
দশটি আনারস যদি কেউ এক সাথে খায় এতে যে পরিমান ব্রোমিন থাকে তাতে এবরশনের ঝুকি মাত্র ৩০%শতাংশ ।তাহলে চিন্তা করুন কেউ যদি ৩/৫টুকরো আনারস খায় তাহলে তার কতটুকু এবোরশনের ঝুকি থাকতে পারে।মজার বিষয় যে ,অন্যান্য টক জাতীয় ফল যেমনঃআমড়া,কমলা,ইত্যাদি ফলেও অনেক ব্রোমিলিন থাকে। যা আনারসের চেয়েও বেশি।
আম ,জাম, লিচু,পেপে,খাওয়া সাস্থ্যকর তবে কাচা বা আধা কাচা পেপে না খাওয়ায় ভাল ।কারন এতে লাইটেক্স উপাদান থাকায় গরব পাতের ঝুকি থাকে।
আনারস খাওয়ার নিয়মঃ
আনারস একটি অত্যান্ত রসালো ও সুসাদু একটি ফল। এই ফলটি বেশির ভাগ মানুষই পছন্দ করে থাকে।। আবার অনেকেই এটি অপছন্দ করে থাকে
তবে আনারস খাওয়ার উপকারিতা জানলে অনেকেই হয়তোবা আনারস খেতা চাইবেন। কারন আনারসে অনেক উপকা্রিতাউপাদান রয়েছে ।অনেকেই মনে করেন আনারস ও দুধ এক সাথে খেলে বিষ্ক্রিয়া হয় । কিন্তু মোটেও এই ধারনা ঠিক না ।কারন আনারস এসিটিক ও টক জাতীয় ফল ।
লেখকের মন্তব্য
আমার এই পোষ্টি পড়ে ,আশাকরি আপনারা উপকৃত হতে পেরেছেন। যদি উপকৃত হন তাহলে আমার এই পোষ্টি লেখা সাথক হবে।আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে দয়া করে অন্যদের মাঝে এই পোষ্টি শেয়ার করবেন ,যাতে করে তারাও লাভবান হতে পারেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url